আপনার কি মাথা ব্যাথা? জেনে নিন কারনসমূহ
আপনারা হয়তো বলবেন, “আমি জানি কি কারণে আমার মাথা ব্যাথা হয়। দেরী করে ঘুম থেকে উঠা অথবা অতিরিক্ত কফি পানই সবসময় মাথা ব্যাথার মূল কারণ।“ কিন্তু এর পেছনে শুধুমাত্র একটি কারণ দায়ী নয়. যাদের ঘন ঘন মাথা ব্যাথা হয়, তাদের এই প্রবণতার পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে, যেমন- পনির, সিগারেটের ধোঁয়া, অ্যালকোহল, মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইন, উজ্জ্বল সূর্যালোক, ঘুমানোর নিয়ম না মানা এবং আরো কিছু কারণ। তবে সবসময় যে এসকল কারণেই মাথা ব্যাথা হবে তা নয়, মাঝে মাঝে সর্দি-কাশির ফ্লু ভাইরাসও মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যে ব্যক্তির নিয়মিত মাথা ব্যাথা হয়, তার স্নায়ুতন্ত্রের বিন্যাস এমন হয় যে সে উপরিউক্ত সকল কারণ এবং চাপের সাথে কিছু প্রান রসায়ন বিক্রিয়ার পরিবর্তনের জন্য হয়। এর সাথে আগে থেকেই পরিচিত বলে ভাবে যে তার মাথা ব্যাথা হয়েছে এবং যার ফলাফল স্বরূপ সে ব্যাথা অনুভব করে ও ভাবে এটাই মাথা ব্যাথা হবার আলামত।
সাম্প্রতিককালে মেডিকেল গবেষকরা বিশ্বাস করেন, যে সকল মাথা ব্যাথা হয় মানসিক চিন্তা/টেনশান থেকে সে সকল মাথা ব্যাথার কারণ হল- মাথা ও ঘাড়ের পেশিগুলো পরস্পরের সংস্পর্শে চলে আসে এবং মস্তিষ্ক ও কপালের সম্মুখভাগ এর রক্তনালী গুলোর প্রসারণ ঘটে, যার ফলাফল স্বরূপ এই প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা হয়। ধারণা করা হত যে রক্তনালীর সংকোচন, যার কারনে মাথায় ও চোখে রক্ত সরবরাহ কমিয়ে দেয়, ফলে মাথা-ব্যথা হয়। এসকল মতবাদ চিকিৎসক ও রোগী উভয় এরই নিকট আগে প্রচলিত ছিলে এবং এটাই মনে করা হত মাথা ব্যাথার কারন নির্নয় এর উপায়. এই নালীসম্বন্ধীয় তত্ত্ব আরো অনেক মাথা-ব্যাথা সম্পর্কিত বিষয়ের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। যেমন- মাথা ব্যাথার আগে ও পরে মানসিক অবস্থার ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায় এবং মাথা ব্যাথার সময় যে বিতৃষ্ণাবোধ জাগে ও বমি হয়।
নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, যেমন- “এম আর আই”, “পি ই টি” এবং “সি টি স্ক্যান”, পাশা পাশি মস্তিষ্কের প্রাণরসায়ন বুঝতে যে অগ্রগতি সাধন হয়েছে তা দ্বারা মাথা-ব্যাথা সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত তথ্য অর্জনে সাহায্য করেছে। এখন আমরা যেমন জানি, মাথা ব্যাথার জন্য রক্তবাহিকার গতির পরিবর্তন মনে হয় একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, কিন্তু আসলে এই কারণটি যেমন পুরোপুরি দায়ী নয়, ঠিক তেমনি মূল কারণও নয়। প্রতীয়মান হয় যে, রক্ত সরবরাহ কমে যাওয়া নয়, বরং ব্রেইনের কার্যক্ষমতা হ্রাস মাইগ্রেইন এর সাথে সম্পর্কযুক্ত। একইভাবে কিছু কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে যে যে সকল মাথা ব্যাথা চিন্তা/টেনশান থেকে হয় তার জন্য পেশী সংকোচনই দায়ী। কিছু কিছু গবেষক ধারণা করেন যে জটিল মাথা ব্যথার জন্য কিছু কিছু ধাপের সাথে এই দুই ধরনের মাথা ব্যাথার স্পষ্ট মিল আছে।
আমাদের ব্রেইন, স্নায়ুর সাথে কিছু রাসায়নিক বস্তুর মাধ্যমে যোগাযোগ করে যেগুলোকে বলা হয় নিউরোট্রান্সমিটার। স্নায়বিক সিস্টেম এর কার্যাবলীর জন্য এইসব নিউরোট্রান্সমিটার অত্যাবশ্যক। যেমন- পেশী সংকোচন, ইন্দ্রিয়সমূহের উপলব্ধির ক্ষমতা, চিন্তা-ভাবনা, মানসিক অবস্থা, এবং সচেতনতা ইত্যাদি।কিন্তু কোন একক নিউরোট্রান্সমিটার এইসব কার্যাবলী নিয়ন্ত্রন করতে পারেনা. অধিকন্তু প্রতিটি নিউরোট্রান্সমিটার মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের বহু-সংখ্যক বৈশিষ্টপূর্ন কার্যাবলীতে ভূমিকা পালন করে- যেমন মাথা ব্যাথার জন্য স্বতন্ত্র একটি নিউরোট্রান্সমিটার , ‘’সেরোটিন’’ এর পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
সেরোটিন সাধারণত ঘুম, মনমর্জি/মানসিক অবস্থা,রক্তকনিকার সংকোচন ও প্রসারন ক্ষমতা এবং মাংসপেশীগুলোর সংকোচন (যেমন অন্ত্র) এর ক্ষতি করার জন্য পরিচিত। অধিকন্তু এটা অন্য আরেকটি নিউরোট্রান্সমিটার ‘’সাবস্ট্যান্স-পি’’ এর পরিবর্তন নিয়ন্ত্রন করে।এর ফলে আমাদের শরীর ফুলে যায় তরল জমা হওয়ার কারনে।জ্বালাপোড়া ও দাহজনক রাসায়নিক পদার্থ যেমন-ব্রাডিকাইনিন এর মুক্তির জন্য ব্যাথা পরিবাহী স্নায়ুগুলোকে জেগে উঠে। একই সময়,সাবস্ট্যান্স-পি হল ব্যাথা প্রশমনকারী জিনিসগুলোর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী ব্যাথা প্রশমনকারী। এর উপস্থিতিতে ব্যাথা পরিবাহী স্নায়ুগুলোকে সংবেদনশীল করে তোলে। এটা ধারণা দেয় যে দু’ধরনের তত্ত্ব আছে মাথা-ব্যাথার-যাইহোক সাবস্ট্যান্স-পি এবং ব্রাডিকাইনিন এর কার্যকরী ভূমিকায় ব্যাথার সংবেদনশীলতা খুব বেড়ে যায়।
এই ধারনা ঠিক নয় যে ভুক্তভোগী রোগীর মাথা ব্যাথা অল্পতেই শুরু হয়ে যায়। ব্যাথা অনুভব নির্ভর করে রাসায়নিক পদার্থগুলোর সক্রিয়তার উপর যা ব্যাথার তীব্রতা হ্রাস করে বা বাধাগ্রস্থ করে, যেমন-কিছু রাসায়নিক পদার্থ যা বৃদ্ধি ঘটায় অথবা লাঘব করে যেমন-সাবস্ট্যান্স-পি ও ব্রাডিকাইনিন। যদি সাবস্ট্যান্স-পি নির্গত হয় এবং ব্যাথা-অনুভবকারী স্নায়ু দ্বারা গৃহীত হয় তাহলে আপনি কোন ব্যাথা অনুভব করবেন না। প্রসঙ্গক্রমে, মস্তিষ্ক ব্যাথার জন্য সংবেদনহীন। ব্যাথা-অনুভবকারী অংশগুলো হল কপালের সম্মুকভাগ, মাথা ও ঘাড়ের মাংসপেশি, নাসারন্ধ্র,ব্রেইনের রক্তকনিকা এবং কিছু ব্রেইন ও ঘাড়ের স্নায়ুতন্ত্র।
ভুক্তভোগী রোগীর মাথা ব্যাথার পূর্বের এবং/অথবা পরের অভিজ্ঞতার চাইতে সেরোটিন তত্ত্ব বিভিন্ন ধরনের মানসিক পরিবর্তন যেমন-উত্তেজনা এবং বিষাদ্গ্রস্ততার ব্যাখ্যা দেয়।অন্য একটি নিউরোট্রান্সমিটার নর-এপিনেফ্রিন মাথা ব্যথার জন্য দায়ী।মেয়েদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন নামক হরমোনের জন্য মাইগ্রেইন এর ব্যাথা হয়ে থাকে।
মাথা ব্যাথার সেরোটিন তত্ত্ব যদিও মনে হয় এটা অসম্পূর্ণ, তবুও কিছু প্রকার মাইগ্রেইন এর ব্যাখ্যা দিতে সাহায্য করেছে এবং আরো কার্যকর কিছু তত্ত্ব তৈরীতে পথপ্রদর্শকরূপে সাহায্য করেছে।কিছু ড্রাগ যেমন ‘Sumatriptan’ মাইগ্রেইনের চিকিৎসায় উপকারীতার প্রমান পাওয়া গেছে এবং সাথে সাথে অন্যান্য মাথা ব্যথার কারন উদ্ঘাটনে সহায়তা করছে।.সঠিক ও সম্পূর্ন তত্ত্ব জানা গেলে মাথা ব্যথার চিকিৎসার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া যেত যেখানে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হবে । সংগৃহীত
আপনারা হয়তো বলবেন, “আমি জানি কি কারণে আমার মাথা ব্যাথা হয়। দেরী করে ঘুম থেকে উঠা অথবা অতিরিক্ত কফি পানই সবসময় মাথা ব্যাথার মূল কারণ।“ কিন্তু এর পেছনে শুধুমাত্র একটি কারণ দায়ী নয়. যাদের ঘন ঘন মাথা ব্যাথা হয়, তাদের এই প্রবণতার পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে, যেমন- পনির, সিগারেটের ধোঁয়া, অ্যালকোহল, মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইন, উজ্জ্বল সূর্যালোক, ঘুমানোর নিয়ম না মানা এবং আরো কিছু কারণ। তবে সবসময় যে এসকল কারণেই মাথা ব্যাথা হবে তা নয়, মাঝে মাঝে সর্দি-কাশির ফ্লু ভাইরাসও মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যে ব্যক্তির নিয়মিত মাথা ব্যাথা হয়, তার স্নায়ুতন্ত্রের বিন্যাস এমন হয় যে সে উপরিউক্ত সকল কারণ এবং চাপের সাথে কিছু প্রান রসায়ন বিক্রিয়ার পরিবর্তনের জন্য হয়। এর সাথে আগে থেকেই পরিচিত বলে ভাবে যে তার মাথা ব্যাথা হয়েছে এবং যার ফলাফল স্বরূপ সে ব্যাথা অনুভব করে ও ভাবে এটাই মাথা ব্যাথা হবার আলামত।
সাম্প্রতিককালে মেডিকেল গবেষকরা বিশ্বাস করেন, যে সকল মাথা ব্যাথা হয় মানসিক চিন্তা/টেনশান থেকে সে সকল মাথা ব্যাথার কারণ হল- মাথা ও ঘাড়ের পেশিগুলো পরস্পরের সংস্পর্শে চলে আসে এবং মস্তিষ্ক ও কপালের সম্মুখভাগ এর রক্তনালী গুলোর প্রসারণ ঘটে, যার ফলাফল স্বরূপ এই প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা হয়। ধারণা করা হত যে রক্তনালীর সংকোচন, যার কারনে মাথায় ও চোখে রক্ত সরবরাহ কমিয়ে দেয়, ফলে মাথা-ব্যথা হয়। এসকল মতবাদ চিকিৎসক ও রোগী উভয় এরই নিকট আগে প্রচলিত ছিলে এবং এটাই মনে করা হত মাথা ব্যাথার কারন নির্নয় এর উপায়. এই নালীসম্বন্ধীয় তত্ত্ব আরো অনেক মাথা-ব্যাথা সম্পর্কিত বিষয়ের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। যেমন- মাথা ব্যাথার আগে ও পরে মানসিক অবস্থার ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায় এবং মাথা ব্যাথার সময় যে বিতৃষ্ণাবোধ জাগে ও বমি হয়।
নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, যেমন- “এম আর আই”, “পি ই টি” এবং “সি টি স্ক্যান”, পাশা পাশি মস্তিষ্কের প্রাণরসায়ন বুঝতে যে অগ্রগতি সাধন হয়েছে তা দ্বারা মাথা-ব্যাথা সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত তথ্য অর্জনে সাহায্য করেছে। এখন আমরা যেমন জানি, মাথা ব্যাথার জন্য রক্তবাহিকার গতির পরিবর্তন মনে হয় একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, কিন্তু আসলে এই কারণটি যেমন পুরোপুরি দায়ী নয়, ঠিক তেমনি মূল কারণও নয়। প্রতীয়মান হয় যে, রক্ত সরবরাহ কমে যাওয়া নয়, বরং ব্রেইনের কার্যক্ষমতা হ্রাস মাইগ্রেইন এর সাথে সম্পর্কযুক্ত। একইভাবে কিছু কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে যে যে সকল মাথা ব্যাথা চিন্তা/টেনশান থেকে হয় তার জন্য পেশী সংকোচনই দায়ী। কিছু কিছু গবেষক ধারণা করেন যে জটিল মাথা ব্যথার জন্য কিছু কিছু ধাপের সাথে এই দুই ধরনের মাথা ব্যাথার স্পষ্ট মিল আছে।
আমাদের ব্রেইন, স্নায়ুর সাথে কিছু রাসায়নিক বস্তুর মাধ্যমে যোগাযোগ করে যেগুলোকে বলা হয় নিউরোট্রান্সমিটার। স্নায়বিক সিস্টেম এর কার্যাবলীর জন্য এইসব নিউরোট্রান্সমিটার অত্যাবশ্যক। যেমন- পেশী সংকোচন, ইন্দ্রিয়সমূহের উপলব্ধির ক্ষমতা, চিন্তা-ভাবনা, মানসিক অবস্থা, এবং সচেতনতা ইত্যাদি।কিন্তু কোন একক নিউরোট্রান্সমিটার এইসব কার্যাবলী নিয়ন্ত্রন করতে পারেনা. অধিকন্তু প্রতিটি নিউরোট্রান্সমিটার মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের বহু-সংখ্যক বৈশিষ্টপূর্ন কার্যাবলীতে ভূমিকা পালন করে- যেমন মাথা ব্যাথার জন্য স্বতন্ত্র একটি নিউরোট্রান্সমিটার , ‘’সেরোটিন’’ এর পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
সেরোটিন সাধারণত ঘুম, মনমর্জি/মানসিক অবস্থা,রক্তকনিকার সংকোচন ও প্রসারন ক্ষমতা এবং মাংসপেশীগুলোর সংকোচন (যেমন অন্ত্র) এর ক্ষতি করার জন্য পরিচিত। অধিকন্তু এটা অন্য আরেকটি নিউরোট্রান্সমিটার ‘’সাবস্ট্যান্স-পি’’ এর পরিবর্তন নিয়ন্ত্রন করে।এর ফলে আমাদের শরীর ফুলে যায় তরল জমা হওয়ার কারনে।জ্বালাপোড়া ও দাহজনক রাসায়নিক পদার্থ যেমন-ব্রাডিকাইনিন এর মুক্তির জন্য ব্যাথা পরিবাহী স্নায়ুগুলোকে জেগে উঠে। একই সময়,সাবস্ট্যান্স-পি হল ব্যাথা প্রশমনকারী জিনিসগুলোর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী ব্যাথা প্রশমনকারী। এর উপস্থিতিতে ব্যাথা পরিবাহী স্নায়ুগুলোকে সংবেদনশীল করে তোলে। এটা ধারণা দেয় যে দু’ধরনের তত্ত্ব আছে মাথা-ব্যাথার-যাইহোক সাবস্ট্যান্স-পি এবং ব্রাডিকাইনিন এর কার্যকরী ভূমিকায় ব্যাথার সংবেদনশীলতা খুব বেড়ে যায়।
এই ধারনা ঠিক নয় যে ভুক্তভোগী রোগীর মাথা ব্যাথা অল্পতেই শুরু হয়ে যায়। ব্যাথা অনুভব নির্ভর করে রাসায়নিক পদার্থগুলোর সক্রিয়তার উপর যা ব্যাথার তীব্রতা হ্রাস করে বা বাধাগ্রস্থ করে, যেমন-কিছু রাসায়নিক পদার্থ যা বৃদ্ধি ঘটায় অথবা লাঘব করে যেমন-সাবস্ট্যান্স-পি ও ব্রাডিকাইনিন। যদি সাবস্ট্যান্স-পি নির্গত হয় এবং ব্যাথা-অনুভবকারী স্নায়ু দ্বারা গৃহীত হয় তাহলে আপনি কোন ব্যাথা অনুভব করবেন না। প্রসঙ্গক্রমে, মস্তিষ্ক ব্যাথার জন্য সংবেদনহীন। ব্যাথা-অনুভবকারী অংশগুলো হল কপালের সম্মুকভাগ, মাথা ও ঘাড়ের মাংসপেশি, নাসারন্ধ্র,ব্রেইনের রক্তকনিকা এবং কিছু ব্রেইন ও ঘাড়ের স্নায়ুতন্ত্র।
ভুক্তভোগী রোগীর মাথা ব্যাথার পূর্বের এবং/অথবা পরের অভিজ্ঞতার চাইতে সেরোটিন তত্ত্ব বিভিন্ন ধরনের মানসিক পরিবর্তন যেমন-উত্তেজনা এবং বিষাদ্গ্রস্ততার ব্যাখ্যা দেয়।অন্য একটি নিউরোট্রান্সমিটার নর-এপিনেফ্রিন মাথা ব্যথার জন্য দায়ী।মেয়েদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন নামক হরমোনের জন্য মাইগ্রেইন এর ব্যাথা হয়ে থাকে।
মাথা ব্যাথার সেরোটিন তত্ত্ব যদিও মনে হয় এটা অসম্পূর্ণ, তবুও কিছু প্রকার মাইগ্রেইন এর ব্যাখ্যা দিতে সাহায্য করেছে এবং আরো কার্যকর কিছু তত্ত্ব তৈরীতে পথপ্রদর্শকরূপে সাহায্য করেছে।কিছু ড্রাগ যেমন ‘Sumatriptan’ মাইগ্রেইনের চিকিৎসায় উপকারীতার প্রমান পাওয়া গেছে এবং সাথে সাথে অন্যান্য মাথা ব্যথার কারন উদ্ঘাটনে সহায়তা করছে।.সঠিক ও সম্পূর্ন তত্ত্ব জানা গেলে মাথা ব্যথার চিকিৎসার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া যেত যেখানে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হবে । সংগৃহীত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন