সবাইকে স্বাগতম

এই ব্লগ সাইট ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না এ পেইজ গুরে আসার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলে আবার আসবেন। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। )
অ্যালার্জি স্বাস্থ্য টিপস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অ্যালার্জি স্বাস্থ্য টিপস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩

আপনি কি জানেন শীৎ কালে কেন নাক বন্ধ হয়?

 আপনি কি জানেন শিৎ কালে কেন নাক বন্ধ হয়? 


শিৎ কালে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কিছু কারণ রয়েছে যেমন-

অ্যালার্জি জনিত নাকের সর্দি ও পলিপ, অনেক ধরণের অ্যালার্জেন রয়েছে যেমন- ধুলাবালি,গাড়ির দোয়া নাকে ঢুকে যায়, তাহলে নাকে অ্যালার্জি  জনিত প্রবাহ হতে পারে। এতে নাকি পানি পড়া, হার্চি, নাক বন্ধ ইত্যাদি উপসর্গ হতে পারে। 

এর থেকে বাছার এক নাম্বার উপায় হচ্ছে  বাহিরে গেলে র্মাকস ব্যাবহার করা। তাতে যদি না হয় তাহলে অ্যালার্জি ডাক্তার দেখাতে পারেন।

বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

চোখের রোগ ক্রেনিয়াল নার্ভ পালসি

ক্রেনিয়াল নার্ভ পালসি

ক্রেনিয়াল নার্ভ পালসি  চোখের এমন একটি সমস্যা যেখানে এক বা একাধিক ক্রেনিয়াল নার্ভ সংযুক্ত থাকে। মাংসপেশি অবশ হয়ে গেলে অথবা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এ রোগ দেখা দেয়। ফলে মাংসপেশিতে হঠাৎ করে খিঁচুনিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। ক্রেনিয়াল নার্ভের সঙ্গে সংযুক্ত মাংসপেশিগুলো সহজেই চিহ্নিত করা যায়। যেমন মুখের মাংসপেশির সঙ্গে যুক্ত থাকে। এতে এ রোগ হলে মুখের আকারের পরিবর্তনে দেখা যায়। এ রোগে আক্রান্তদের হাসতে, চোখ নড়াচড়া করতে এবং অন্যান্য মুখভঙ্গি করতে ভীষণ অসুবিধায় পড়তে হয়।

মুখ বাঁকা রোগ

মুখ বাঁকা রোগ 


হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়া

মুখ বাঁকা রোগ

একদিন ঘুম থেকে জেগে দেখলেন হঠাৎ মুখের এক দিক বেঁকে গেছে। কথা বলতে গিয়ে বা হাসতে গেলে ঠোঁটটা বিশ্রীভাবে একদিকে ঝুলে পড়ছে, মুখের এক দিক আর নাড়তে পারছেন না। এমন অবস্থাকে সবাই বলে থাকেন যে ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়েছে।
আসলে স্ট্রোক বা পক্ষাঘাতেও মুখ বেঁকে যেতে পারে বইকি, যখন দেহের একটি দিক পুরোপুরি পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা প্যারালাইসিস হয়ে যায় তখন এর সঙ্গে মুখও আক্রান্ত হয়। কিন্তু পক্ষাঘাত ছাড়াও এমন ঘটনার কারণ স্নায়ুগত সমস্যা। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর নাম বেলস পালসি।
কী হয় বেলস পালসিতে?
ফেশিয়াল নার্ভ বা মুখমণ্ডলের স্নায়ু আমাদের মুখের পেশিগুলোতে নিয়ন্ত্রণ করে। কোনো কারণে এই স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে মুখের পেশি শক্তি হারায় ও মুখ বেঁকে যায়। এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো হারপিস ভাইরাস সংক্রমণ। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, স্ট্রোক ইত্যাদি কারণেও ফেশিয়াল নার্ভ অকার্যকর হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো কারণ নির্ণয় করা যায় না। তখনই একে বলা হয় বেলস পালসি। বেলস পালসি হলে মুখের এক দিকটা ঝুলে পড়ে, পেশি নাড়ানো যায় না, চোখ খুলতে ও বন্ধ করতে সমস্যা হয়। অনেক সময় চোখ খুলেই থাকে। খেতে গিয়ে মুখের এক দিক দিয়ে সব পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। চেষ্টা করেও কপাল কোঁচকানো যায় না। কখনো কানের ভেতর বা পেছনে ব্যথা হয়, কানে বেশি শোনা যায়। জিবের স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
চিকিৎসা কী?
যত দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন, ততই ভালো। কেননা, স্টেরয়েড বা অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শুরু করলেই সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়া চিকিৎসক বিশেষ ধরনের ব্যায়াম শিখিয়ে দেবেন, যা দিনে কয়েকবার করতে হবে। এই সময় চোখ ও মুখের যত্ন নিতে হবে। যেহেতু চোখ সহজে বন্ধ হয় না, তাই তা শুষ্ক হয়ে যায়। চোখের ড্রপ ব্যবহার ছাড়াও বিশেষ প্যাচ ব্যবহার করে চোখ বন্ধ রাখা হয়। খাবার খেতে সমস্যা হলে ধীরে ধীরে তরল বা আধা তরল খাবার খেতে হবে। বেশির ভাগ বেলস পালসি কয়েক দিন বা কয়েক মাসের মধ্যেই সেরে যায়। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যাটা দীর্ঘমেয়াদিও হতে পারে। বেলস পালসি গুরুতর গোছের কোনো রোগ নয়, তবে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়াটাই উত্তম।  মেডিসিন বিভা, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ|
সংগ্রেহিত 

বুধবার, ৭ জুন, ২০১৭

মাথা ব্যথার কার্য করি একটা দোয়া।

শরীর প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করলে কি দোয়া পড়বেন? প্রচন্ড মাথা ব্যথা?

শরীরে ব্যথা অনুভব করলে কি দুয়া পড়তে হবে ?প্রচন্ড মাথা ব্যথা?কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না, আবার এদিকে ব্যথাও সহ্য করতে পারছেন না?আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ওবিশ্বাস নিয়ে আল্লাহকে স্মরণ করুন ও তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন।

আর এই দুয়া পড়ুন, ইন শা ’আল্লাহ ভালো হয়ে যাবে।শরীরের যে জায়গায় ব্যথাসেখানে হাত রেখে প্রথমেতিনবার পড়বেন,ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠﻪِউচ্চারণঃ বিসমিল্লাহ।অর্থঃ আল্লাহর নামে শুরু।তারপর সাতবারﺃَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﺎﻟﻠﻪِ ﻭَﻗُﺪْﺭَﺗِﻪِ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺃَﺟِﺪُﻭَﺃُﺣَﺎﺫِﺭُ .উচ্চারণঃ আ'উযু বিল্লাহি ওয়াকুদরাতিহী মিন শাররি মা আযিদু ওউহা'যিরু।অর্থঃ যে ক্ষতি আমি অনুভবকরছি এবং যার আমি আশংকা করছি তাহতে আমি আল্লাহর মর্যাদা এবংকুদরতের মাধ্যমে আল্লাহরকাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।মুসলিম-৪/১৭২৮।এই দুয়া শরীরের যেকোনো জায়গায় ব্যথা হলেসেখানে হাত রেখে পড়াযাবে।*** মনে রাখবেন, দুয়া কাজকরে আপনি কতটুকু আন্তরিকতাও বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহর কাছেদুয়া করছেন তার উপরে।আপনার নিয়ত যদি হয়, আচ্ছা দুয়াকরেই দেখি কাজ করে কিনা –এইরকম, বেশিরভাগ সম্ভাবনাআল্লাহ

❤☺দুয়া কবুল করবেন না।দুয়া কবুল হওয়ার একটা শর্তহচ্ছে, “ আল্লাহ আমার দুয়া কবুলকরবেন ” এই বিশ্বাস ও আশানিয়ে দুয়া করা এবং “ আমার দুয়াকবুল হবে কি হবেনা” –এইরকমসন্দেহ বা নিরাশা অন্তরেরমধ্যে না রাখা।বিঃদ্রঃ অনেকের পক্ষেহয়তো মুখস্থ করা সম্ভবহবেনা, তারা “ হিসনুল মুসলিম ”বইয়ের ২৮০ নাম্বার পৃষ্ঠায়পেয়ে যাবেন। যখন দরকারবই খুলে দেখে দেখেদুয়াটা পড়তে পারবেন,কোনো ক্ষতি নেই। অথবাসূচীপত্র থেকে “ যেব্যক্তি শরীরে ব্যথা অনুভবকরছে সে কি করবে ” এইঅধ্যায় দেখে খুঁজে নিতেপারবেন।*** “ নেওয়ামুল কুরআন” নামকবইয়ে যেই সমস্ত আজাইর্যা ওভিত্তিহীন দুয়া ও জিকির দেওয়াআছে সেগুলো থেকেবিরত থাকবেন। এই বইটার ৯৫%দুয়া ও জিকির ম্যান মেড, অনেকশিরক ও কুফুরীও দেওয়াআছে।বাসায় থাকলে উচিত হবেবইটা নদীতে ডুবিয়ে দেওয়াবা আগুনে পুড়িয়ে ফেলা। সংগৃহীত 

সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০১৭

জেনে নিন মেয়েরা বেশি বিয়ে করতে পারবেনা কেন ?

জেনে নিন মেয়েরা বেশি বিয়ে করতে পারবেনা কেন ? 

পুরুষ/নারীর একাধিক বিয়ে প্রসঙ্গ:
একবার এক ভদ্র মহিলা এক আলেমের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করলেন, পুরুষ যদি একাধিক বিয়ে করতে পারে তাহলে নারী কেন পারবেনা? আলেম তাকে পরের দিন আবার আসতে বললেন এবং আসার সময় চারটি পেয়ালায় চারটি ছাগলের দুধ নিয়ে আসতে বললেন। মহিলা পরের দিন আলেমের কথা মত চারটি পেয়ালায় চারটি ছাগলের দুধ নিয়ে হাজির হল। তখন আলেম উক্ত মহিলাকে চারটি পেয়ালার দুধ এক পেয়ালায় নিতে বললেন, মহিলাটি তাই করলো। আলেম এবার মহিলাকে বললেন দুধগুলো আবার আলাদা করে যে ছাগলের দুধ যে পেয়ালায় ছিল, ঠিক সে পেয়ালায় রাখতে। তখন মহিলা প্রশ্ন করলেন এটা কিভাবে সম্ভব?
তখন আলেম তার আগের দিনের প্রশ্নের উত্তর দিলেন,
১. যেভাবে এই চারটি ছাগলের দুধ এক পেয়ালায় নেয়ার পর আবার আলাদা করা সম্ভব নয়, ঠিক তেমনি একজন নারীর যদি একসাথে চারজন স্বামী থাকে তাহলে তার সন্তানের বাবা কে তাও নির্ণয় করা সম্ভব নয়। কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে চারজন স্ত্রী থাকলে তার সন্তানের মা কে তা নির্ণয় করা সহজে সম্ভব।
২. যদি নারীর কোন সন্তান প্রতিবন্ধী, রোগাক্রান্ত বা দুর্বল হয় তখন সব স্বামী তার পিতৃত্ব অস্বীকার করতে পারে। কিন্তু মাতৃত্ব অস্বীকারের সুযোগ নেই। আর যদি সন্তান সুস্থ সবল আর মেধাবী হয় তখন সব স্বামী তার পিতৃত্ব দাবী করতে চাইবে কিন্তু মাতৃত্বের ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই।

সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০১৬

হাতের চামড়া উঠা বন্ধ করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি

@

হাতের চামড়া উঠা বন্ধ করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি

ধরুন, আপনার প্রিয়জন কোন আবেগঘন মূহুর্তে আপনার হাত স্পর্শ করে তালুতে মরা চামডার খোঁচা খেল ! কেমন হবে ব্যাপারটা ? কিংবা ধরুন, কোন ডিল শেষে আপনার ক্লায়েন্ট আপনার সাথে হ্যান্ডশেক করতে গিয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকাল। ব্যাপারটা কি আপনার জন্য খুব একটা ইতিবাচক হবে ?
শীতের শুরুতে অনেকেই একটা সাধারণ সমস্যায় ভোগেন- হাতের চামড়া মরা অর্থাৎ হাত খসখসে হয়ে চামড়া উঠে যাওয়া। যদিও ছেলে-মেয়ে উভয়ের হাতেই এই সমস্যা হতে পারে, তবে এটা সচারচর ছেলেদের হাতেই বেশি দেখা যায়। যারা এই সমস্যায় ভুগেন, প্রায়ই তাদের বিভিন্ন জায়গায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।

হাতের চামড়া উঠা বন্ধ করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন

♦ প্রথমেই হাতের মরা চামড়া তুলে নিতে হবে। মরা চামড়া তুলতে ঘরে তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। স্ক্রাব তৈরি করতে- ২চা চামচ গুড়ো দুধ, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ টেবিল চামচ চিনি একত্রে খুব ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। ভাল ফলাফল পেতে পেস্টের সাথে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে তা হাতে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। ১০-১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল করে ঘষে ঘষে হাত ধুয়ে নিন।
♦ স্ক্রাবিং শেষে হাতে অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল সমপরিমাণে মিশিয়ে লাগাতে হবে। এতে হাতের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
♦ হাতের চামড়া অত্যাধিক পরিমাণে রুক্ষ হলে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এর বদলে ময়েশ্চারাইজযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। অথবা কাঠ বাদামের মাস্ক লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটা হাতের ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
♦ সপ্তাহে অন্তত ১ দিন হাতে ঘৃতকুমারীর বা অ্যালোভেরার রস মালিশ করে করুন। প্রতি ১০ দিনে একবার হাতে গরম বাষ্পের ভাপ দিন। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে তিলের তেল, গ্লিসারিন আর গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে হাতে মালিশ করতে পারেন। এতে করে হাতের চামড়া কোমল থাকবে।
♦ হাতে চামড়া উঠা সমস্যার আরেকটি কার্যকরী প্রাকৃতিক সমাধান হলো- জবা ফুল। ২-৩ টি জবা ফুল হাতে ঘষে রেখে আপনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারেন। যতক্ষণ সম্ভব ম্যাসেজটা হাতে রাখুন। দিনে দুই বার করে টানা কয়েকদিন জবা ফুল ট্রিটমেন্ট চালাতে পারেন। এটা অবশ্যই কাজ দেবে।
♦ প্রচুর পানি পান করুন। শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি এসিডের (যেমন- ওমেগা-৩) চাহিদা মেটাতে মাছ, বাদাম ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখুন। বেশি করে সবুজ শাক-সবজি আর রঙিন ফলমূল খান।
এসবের পরেও হাতের চামড়া উঠা সমস্যার সমাধান না হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

হাত ও আঙুলের অবশ ভাব ও ব্যথা

হাত ও আঙুলের অবশ ভাব ও ব্যথা
হাত শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি। সূক্ষ্ম থেকে স্থূল সব ধরনের কাজ হাতের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হয়ে থাকে। হাতের সুস্থতা সবারই কাম্য। হাতের বিভিন্ন ধরনের রোগ বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। হাত ও আঙুলের ব্যথা, অবশ ভাব এবং দুর্বলতা উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ধরনের উপসর্গ হাতের লোকাল বা স্থানীয় এবং রেফার্ড বা দূরের কোন রোগ হতে আসতে পারে। ‘কার্পাল টানেল সিনড্রোম' (Carpal Tunnel Syndrome) এমন একটি হাতের স্নায়ু (নার্ভ) রোগ যা অধিকাংশ সময় অবশ ভাব, ব্যথা এবং দুর্বলতা উপসর্গ নিয়ে দেখা দেয়। ‘মিডিয়ান' নামক স্নায়ু (নার্ভ) চামড়ার অনুভূতি প্রদান এবং হাত ও আঙুলের পেশী মুভমেন্ট করে। এই নার্ভটি আরো ৯টি পেশীর টেনডনসহ কব্জির একটি টানেলের ভেতর দিয়ে নিম্নবাহু থেকে হাতে প্রবেশ করে। টানেলেটির তিনপাশে হাড় ও একপাশে লিগামেন্ট থাকে। যে কোন কারণে টানেলের পথ সরু হলে নার্ভের উপর চাপ পড়বে এবং রোগের উপসর্গ দেখা দিবে। ধারণা করা হচ্ছে, মহিলাদের কার্পাল টানেল সরু বিধায় পুরুষদের তুলনায় রোগ তিনগুণ বেশি হয়।
কারণসমূহ : অধিকাংশ ক্ষেত্রে কারণ জানা নেই। বংশানুক্রমিক। গর্ভাবস্থা। আর্থ্রাইটিস- রিউমাটয়েড, গাউটি ও অসটিওআর্থ্রাইটিস। ডায়াবেটিস। ইনফেকশন। টিউমার- লাইপোমা, সিস্ট, গ্ল্যানগ্লিওন ও হাড়ের টিউমার। টেনডিনাইটিস (টেনডনের প্রদাহ) ও টেনডনসিথ সাইনোভিওমা। জয়েন্ট ক্যাপসুল সাইনোভিওমা। গ্রন্থি সমস্যা- হাইপোথাইরোডিজম, একরোমেগালি। ওবেসিটি (অতিরিক্ত ওজন)। হাড়ের ফ্র্যাক্চার ও বিকৃত অবস্থায় জোড়া লাগা। পুনরাবৃত্তি কাজ যেমন কম্পিউটার অপারেটর, কারখানায়, সেলাই ও ফিনিশিং এবং মাংস, পোল্ট্রি ও মাছ প্যাকিং কাজে কর্মরত ব্যক্তি।
উপসর্গ : প্রধান হাতে প্রথম এই রোগ হয়। বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনি ও মধ্য আঙ্গুলে এবং হাতের তালুতে ব্যথা হয়। হাতের তালুতে এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনি ও মধ্য আঙ্গুলে কাঁটা, সুই ফুটানো বা ছিদ্র করার মত অনুভূতি হয়। হাত ও আঙুল জ্বলে বা পুড়ে যাচ্ছে এ রকম মনে হবে। হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠার পর হাত ও আঙুলে অবশ এবং হাত ঝাঁকি দিতে বা নাড়তে ইচ্ছে করে। কখনও কখনও অবশভাব ও ব্যথার সাথে হাত ও আঙুল ফুলে যায়। হাত দিয়ে কিছু শক্ত করে ধরা বা তোলা কষ্টকর এবং হাত থেকে জিনিস পড়ে যায়। হাত ও আঙুলে ঘাম কম হয়। বৃদ্ধাঙ্গুলের গোড়ার পেশীশক্তি শুকিয়ে যায়। বৃদ্ধাঙুলি হাতের তালুর কাছ থেকে দূরে সরানো কষ্টকর হয়। হাতের গরম বা ঠান্ডা অনুভূতি কমে যায়।
ডায়াগনোসিস : দ্রুত ডায়াগনোসিস করে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করলে চিরস্থায়ী ক্ষতি হতে রক্ষা পাওয়া যাবে। রোগীর অসুবিধা শুনে, রোগীকে শারীরিকভাবে পরীক্ষা (যেমন- ফেলেন, টিনেল ও ডারকান টেস্ট) করে এবং ল্যাবরেটরী পরীক্ষার মাধ্যমে কার্পাল টানেল সিড্রোম ও এর কারণ নির্ণয় করা সম্ভব।
রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা। কবজির এক্স-রে নার্ভ কনডাকশন (ভেলোসিটি) টেস্ট। ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি। আল্ট্রাসনোগ্রাফি এমআইআই।
কনজারভেটিক চিকিৎসা : দ্রত চিকিৎসা শুরু করতে হবে এবং কমপক্ষে ২ সপ্তাহ বিশ্রাম প্রয়োজন। প্রাথমিক রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। কাজকর্মের ধরন পরিবর্তন করতে হবে। হাত সোজা রাখার জন্য ব্রেসিং ও স্লিপিং ব্যবহার করতে হবে। বরফ/ঠান্ডা সেফ ব্যবহারে ফুলা কমে আসবে। ননস্টেরোইডাল এন্টিইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ সেবন। লোকাল স্টেরয়েড ও এনেসথেটিক ইনজেকশন পুশ করলে উপসর্গ লাঘব হবে। ভিটামিন বি-৬ এবং বি-১২ থেরাপি। ফিজিওথেরাপি- মেসেজ, স্ট্রেসিং ও পেশী শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম। ওকোপেশনাল থেরাপি- কনুই ও কিবোর্ড একই লেবেলে হতে হবে এবং মনিটর সোজা সম্মুখে রাখতে হবে।
কখন শল্য চিকিৎসার প্রয়োজন?
৬ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ভালো না হলে। অবশ ভাব বাড়তে থাকলে। হাতের পেশী শুকিয়ে গেলে হাত ও আঙুলের দুর্বলতা বৃদ্ধি পেলে।
শল্য চিকিৎসা : ওপেন কার্পাল টানেল রিলিজ- পামার ফাসা ও পামার কার্পাল লিগামেন্ট বিচ্ছেদ করা এন্ডোস্কোপিক/আর্থ্রোস্কোপিক কার্পাল টানেল রিলিজ।
শল্য চিকিৎসার পর রোগীকে স্ট্রেসিং ও পেশী শক্তিশালী হবার ব্যায়াম করতে হবে। এন্ডোস্কোপিক বা আর্থ্রের্াস্কোপিক পদ্ধতিতে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। ৯০% রোগী সার্জারীর পর পূর্বের কাজ করতে পারে। ফলাফল ভালো না হওয়ার মূল কারণ ভুল ডায়াগনোসিস। রোগের পুনরাবৃত্তি খুবই কম এবং পুনরাবৃত্তি হলে বুঝতে হবে ডায়াগনোসিস সঠিক ছিল না।
ডা. জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন
হাড় ও জোড়া বিশেষজ্ঞ এবং আর্থ্রোস্কোপিক সার্জন
ডিজি ল্যাব মেডিকেল সার্ভিসেস, মিরপুর (ইনডোর স্টেডিয়ামের সামনে), ঢাকা।
ফোন : ০১৭৪৬৬০০৫৮২

বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

জেনে নিন- উচ্চ রক্তচাপ ও নিম্ন রক্তচাপ হলে কি করবেন?

জেনে নিন- উচ্চ রক্তচাপ ও নিম্ন রক্তচাপ হলে কি করবেন?


Image result for নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার

হাই ব্লাড প্রেসার : কেন হয়, হলে কী করবেন।
ব্লাড প্রেসার (Blood pressure) নামে অতিপরিচিত রোগটির নাম ডাক্তারি ভাষায় হাইপারটেনশন বলা হয় । রক্ত চাপ যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তখন উচ্চ রক্তচাপ হয়। এই চাপ এর একটি স্বাভাবিক মাত্রা আছে আর যখন তা স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখনি তাকে বলা হয় হাইপারটেনশন (Hypertension) বা উচ্চ রক্তচাপ। আর বেশী করে বলতে গেলে, মস্তিস্ক মেরুজল হৃৎপিণ্ডের তৃতীয় অংশ থেকে ওপরে উঠে স্নায়ুতন্ত্রে প্রবেশ করে। যখন মস্তিষ্ক মেরুজলে লবণের পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন বহির্গত নালির বাল্বের ভেতরে অবস্থিত চুলের মতো সূক্ষ কোষগুলো শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে মস্তিষ্ক মেরুজলের প্রবাহ ব্যাহত হয়। হৃৎপিণ্ডের তৃতীয় অংশে এই মস্তিষ্ক মেরুজলকে ওপরে ঠেলার জন্য যে চাপের সৃষ্টি হয় তাই উচ্চ রক্তচাপ। অনেক সময় দুশ্চিন্তাজনিত কারণ থেকেও এটি হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজ, হার্টফেল, স্ট্রোক, কিডনি অকেজো ইত্যাদি মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। 

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তের চাপ বা ব্লাড প্রেসার হবে ১২০/৭৫ মিলি মিটার । ইহা দু ভাগে ভিবক্ত ১- সিস্টেলিক ( মেশিনের উপরের উপরের লেভেল ) ৯০ + ৩০ =১২০ ( +/- ১০/১৫ কম বেশী হলে তেমন অসুবিধা নাই ২- মেশিনের নিচের লেভেল ( বা বয়সের কারণে এর কিছু বেতিক্রম হয় যা ( বয়স + ৯০ ) ঠিক তদ্রুপ ২- ডায়াস্টিলিকের বেলায় ৯০- ৩০=৬০ ( +-১০/১৫ ) এর উপরে হলেই মনে করতে হবে হাই ব্লাডপ্রেশার – অর্থাৎ ১২০/৭৫ নরমাল প্রেসার মনে করে , যে কোন মানুষের একবার প্রেশার মাপার পর পুনরায় ১/২ মিনিট অপেক্কা করে আবার প্রেসার চেক করে দেখবেন সামান্য কিছু পরিবর্তন আছে তাই তিন বার এক সাথে মাপা উচিৎ – ঠিক সেভাবে দিনে দুবার করে ৩/৫ দিন এক সপ্তাহ চেক করার পর ও যদি দেখেন আপনার বয়সের সাথে যোগ করে রক্তের চাপ একটু বেশী আছে তখন আপনার উচিৎ আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নেওয়া

উচ্চ রক্তচাপ এর লক্ষণ
* মাথাব্যথা, 
বিশেষ করে পেছনের দিকে ব্যথা। অনেক সময় সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ব্যথা অনুভূত হয়। দু-চার ঘণ্টা পর কমে যায় 
* মাথা ঘোরা 
* বুক ধড়ফড় করা 
* মনোযোগের অভাব 
* অল্পতে হাঁপিয়ে যাওয়া 
* মাংসপেশির দুর্বলতা 
* পা ফোলা 
* বুকে ব্যথা 
* নাক দিয়ে রক্ত পড়া 
* ক্লান্তিবোধ 
* ঘাড় ব্যথা। 

উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার কিছু কারণ  
* ধূমপান 
* ওজন বেশি 
* অলস জীবন-যাপন 
* খাবারের সঙ্গে বেশি লবণ গ্রহণ 
* নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন 
* বংশগত কারণে 
* ক্রনিক কিডনি রোগ 
* অ্যাড্রেনাল ও থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা। 

উচ্চ রক্তচাপ হলে যা খেলে উপকার হবে
* এক মাস সকাল ও সন্ধ্যায় দুই চামচ করে থানকুনি পাতার রস সেবন করুন। অথবা রসুন ১ কোয়া করে দুবেলা ভাতের সঙ্গে ১৫ দিন খান। 
* ৪টি তুলসীপাতা ও ২টি নিমপাতা ১ চা চামচ পানিতে চটকিয়ে খেয়ে নিন। 
* ১০০ গ্রাম পানিতে মাঝারি আকারের অর্ধেকটা লেবু চিপে দিনে ২-৩ বার পান করতে হবে। 

উচ্চ রক্তচাপ হলে যা না খেলে নিজের উপকার হবেঃ 
হাই ব্লাড প্রেসারে বেশি লবণ খেতে পারবেন না। কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার যেমন ক্রিম, মাংস, ডিমের কুসুম, মাখন, ফ্রেঞ্জ ফ্রাইজ সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলতে হবে। প্রচুর পরিমাণ ফল ও সবজি খেতে হবে। সল্টেড বাটার, চিপস জাতীয় খাবার না খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ব্লাড প্রেসার। ড্রিপ ফ্রায়েড খাবার, জাংক ফুড সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলতে হবে।

উচ্চ রক্তচাপ হলে যা করতে পারেন  
* ওজন কামানো 
* লবণ ও সোডিয়ামযুক্ত খাদ্য কম গ্রহণ 
* হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা ও শারীরিক পরিশ্রম করা 
* রেড মিট বর্জন করা।
টিপস
উচ্চ রক্তচাপ হলে চোখ বন্ধ করে দুই হাতের কনিষ্ঠ আঙুল কানের মধ্যে দিয়ে ২-৩ মিনিট কান ঝাঁকুনি দিন।


নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসারঃ প্রেসার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। 
আমরা উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন নিয়ে সব সময় বেশী উদ্বিগ্ন থাকি। ছুটে যাই চিকিত্সকের কাছে। কিন্তু নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার বা হাইপোটেনশন নিয়ে খুব একটা ভাবি না। যাদের লো ব্লাড প্রেসার তাদের একদিকে যেমন সুবিধা আছে অন্যদিকে অসুবিধাও কম নয়। উপকারিতার মধ্যে রয়েছে লো ব্লাড প্রেসারের রোগীদের স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা, হূদরোগ সমস্যা হবার ঝুঁকি কম থাকে। তবে ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী কমে গেলে মাথা ব্যথা, দুর্বলতা, এমনকি অজ্ঞান পর্যন্ত হবার ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে শকে যায় রোগী, বিপদ হবার ঝুঁকি পর্যন্ত থাকে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০। অন্যদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ বা এর আশেপাশে থাকে তাহলে তা লো ব্লাড প্রেসার হিসেবে ধরা হয়। প্রেসার যদি অতিরিক্ত নেমে যায় তাহলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃদপিন্ডে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না, ফলে ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই প্রেসার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। 
শুধু স্বাস্থ্যহীন হলেই যে লো প্রেসার হবে তাই নয়, মোটা মানুষেরও লো প্রেসার থাকতে পারে। 
লো প্রেসার হওয়ার বিভিন্ন কারণ যেমনঃ অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় ও স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো ব্লাড প্রেসার হতে পারে। 
লক্ষণঃ লো প্রেসার হলে কিছু লক্ষণ যেমনঃ প্রেসার লো হলে মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড় করা, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা ও স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা দেখা দেয়।

কফি :- স্ট্রং কফি, হট চকলেট, কোলাসহ যেকোনো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ায়। হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেতে পারেন। যারা অনেকদিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন তারা সকালে ভারি নাশতার পর এক কাপ স্ট্রং কফি খেতে পারেন। তবে সবসময় লো প্রেসার হলে কোলা না খাওয়াই ভালো। কারণ এর অন্যান্য ক্ষতিকারক দিকও রয়েছে।

লবণ পানি :- লবণে রয়েছে সোডিয়াম যা রক্তচাপ বাড়ায়। তবে পানিতে বেশি লবণ না দেওয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয়, এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ চিনি ও এক-দুই চা চামচ লবণ মিশিয়ে খেলে। তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চিনি বর্জন করতে হবে।

কিসমিস :- হাইপোটেনশনের ওষুধ হিসেবে অতি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে কিছমিস। এক-দুই কাপ কিছমিছ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালিপেটে সেগুলো খান। সঙ্গে কিছমিছ ভেজানো পানিও খেয়ে নিন। এছাড়াও পাঁচটি কাঠবাদাম ও ১৫ থেকে ২০টি চীনাবাদাম খেতে পারেন।

পুদিনা :- ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান যা দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূর করে। পুদিনা পাতা বেঁটে তাতে মধু মিশিয়ে পান করুন।

যষ্টিমধু :- যষ্টিমধু আদিকাল থেকেই নানা রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দিয়ে পান করুন। এছাড়াও দুধে মধু দিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

বিটের রস :- বিটের রস হাই প্রসার ও লো প্রেসার উভয়ের জন্যই সমান উপকারী। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। হাইপোটেনশনের রোগীরা দিনে দুই কাপ বিটের রস খেতে পারেন। এভাবে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন। 


বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

অ্যালার্জি

 অ্যালার্জি কি? অ্যালার্জির উপসর্গ সমূহ


অ্যালার্জি কি

পৃথিবীর সর্বত্র অ্যালার্জি একটি বহুবিস্তৃত রোগ। প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন ব্যক্তিজীবনের কোনো না কোনো সময় অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়।অ্যালার্জি সংঘটিত হয় যখন কোনো ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক শক্তি পরিবেশের কোনো বস্তুর উপস্থিতির কারণে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। অথচ ওই বস্তুগুলো অন্য আরেকজন লোকের মধ্য থেকে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে না। এই বস্তুগুলোকে বলা হয় অ্যালার্জেন। অ্যালার্জেন দেখা যায় ঘরের ধুলোর জীবাণুতে, পোষা প্রাণীতে, পুষ্পরেণুতে, ছত্রাকে এবং কিছু খাদ্যে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে পরাগরেণুজনিত এই সমস্যার নাম পোলেন অ্যালার্জি বা স্প্রিং অ্যালার্জি। এই অ্যালার্জির উদ্রেককারী বস্তু বাতাসে ভেসে প্রথমে আক্রমণ করে নাকের ঝিল্লিতে। ফলে হাঁচি শুরু হয়। তারপর নাক বন্ধ হয় এবং নাক দিয়ে পানি পড়ে। কারও কারও ক্ষেত্রে তীব্র হাঁচি ও সর্দি হয় এবং জ্বরের অনুভূতি হয়। চোখও লাল হয়ে চুলকাতে থাকে। এই অবস্থার নাম হে-ফিভার। এ সমস্যায় শুধু যে নাক-চোখ চুলকায় তা নয়, অনেকের ত্বকও চুলকাতে থাকে। 
অ্যালার্জির উপসর্গ সমূহ 
অ্যালার্জি শরীরে অনেক জায়গায় অনেকভাবে হতে পারে এবং উপসর্গও বিভিন্নভাবে প্রকাশ করে। যেমন :
অ্যালার্জিজনিত স্বর্দি : এর উপসর্গ হচ্ছে অনবরত হ্যাচ্ছি আসা, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া। কারও কারও চোখ দিয়েও পানি পড়ে এবং চোখ লাল হয়ে যায়। 
একজিমা : চামড়া শুকনো খসখসে হয়ে যাওয়া বা কালো হয়ে যায়।
অ্যাজমা/হাঁপানি : নিত্য উপসর্গ হচ্ছে কাশি, ঘন ঘন শ্বাস নেয়া, শ্বাসের সঙ্গে বাঁশির মতো শব্দ হওয়া বা বুকে চাপ লাগা। 
খাওয়ার অ্যালার্জি : উপসর্গ পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া এবং ডায়রিয়া । 

অ্যালার্জির কারণ
অ্যালার্জির বিভিন্ন কারনে হতে পারে যেমনঃ ধুলাবালি, ফুলের রেণু, মাইট, খাদ্য, পশু-পাখির লোম ও পাখনা, পোকামাকড়ের হুল ও কামড়, কেমিক্যালস, ওষুধ, কসমেটিক্স এবং কন্টাক্ট এলার্জেন ইত্যাদি। এছাড়াও গাড়ি নির্গত ধোঁয়া, শিল্প-কারখানার বিভিন্ন উপাদানও অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। বিশেষ কিছু পদার্থ যখন শরীরের সংস্পর্শে আসে, তখন শরীরে এক অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। যেমন—সর্দি, চুলকানি, ত্বক ফুলে যাওয়া, হাঁচি-কাশি ইত্যাদি। এই সৃষ্ট অস্বাভাবিক উপসর্গগুলোই হলো অ্যালার্জি।
অ্যালার্জির কারনে শরীরের কোন অঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে 
এটা নির্ভর করে অ্যালার্জেনের ধরনের ওপর। যেমন পুষ্পরেণু যখন নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে তখন উপসর্গ দেখা দেয় নাকে, চোখে, সাইনাসে এবং গলায় (হে ফিভার)। খাদ্য অ্যালার্জিতে দেখা দেয় পাকস্থলি এবং অন্ত্রের সমস্যা। সেই সঙ্গে শরীরে রাশ। একই আলার্জির কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
রোগ প্রতিরোধের উপায় ও চিকিত্সাপ্রথম ধাপ হচ্ছে অ্যালার্জির সঠিক কারণ খুঁজে বের করা অর্থাত্ সঠিক অ্যালার্জেনকে শনাক্ত কর। পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে অ্যালার্জেনকে এড়িয়ে চলা।
এন্টিহিস্টামিন : অ্যালার্জি রোগীদের প্রথম চিকিত্সা শুরু হয় এন্টিহিস্টামিনের মাধ্যমে। এই ওষুধ মাস্ট সেল থেকে হিস্টামিন নির্গত হওয়া রোধ করে। ফলে জ্বালাময় এবং অস্বস্তিকর উপসর্গ কমে যায়।
নাকের স্প্রে এবং চোখের ড্রপ : এসব ব্যবহারে অনেক উপসর্গ থেকে ত্বরিত্ মুক্তি পাওয়া যায়।
সুনির্দিষ্ট অ্যালার্জেন ইমিউনোথেরাপি : একটি দীর্ঘমেয়াদি চিকিত্সা পদ্ধতি। এর ফলে রোগ প্রতিরোধক শক্তির প্রতিক্রিয়ার ধরন পরিবর্তিত হয়। এই পদ্ধতিতে দীর্ঘদিন ধরে রোগীর শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে অল্প অল্প অ্যালার্জেন নির্যাস ঢুকিয়ে দেয়া হয়।
লিংক সুত্রঃ স্বাস্থ্যকথা

মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

৬০ সেকেন্ডে মাথাব্যথা দূর!

৬০ সেকেন্ডে মাথাব্যথা দূর!


মাথাব্যথা বেশ যন্ত্রণার একটি বিষয়। দিনভর মাথা ব্যথা নিয়ে কাজ করা বেশ অস্বস্তিকর। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যা ৬০ সেকেন্ডে আপনার মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে।
এই পদ্ধতি আপনি অফিসের ডেস্কে কাজ করার সময়ও করতে পারবেন। অথবা ভ্রমণে যাওয়ার সময়ও করতে পারবেন। মাথা ব্যাথা দূর করার প্রাথমিক, নিরাপদ এবং বিজ্ঞান সম্মত উপায় এটি। মাথা ব্যাথা সারাতে বেশ কাজে দেবে এটি। তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে আপনাকে।
তবে আর দেরি কেন? আসুন জানি কীভাবে মুক্ত হবেন এই ব্যথা থেকে। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এ পদ্ধতির কথা।
 
আকুপ্রেশার
বহুবছর ধরে মাথা ব্যথা দূর করতে অনেকেই আকুপ্রেশার পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছেন।এই ছোট্ট ঘরোয়া পদ্ধতিটি আপনাকে এক মিনিটের মধ্যে মাথা ব্যথা সারাতে সাহায্য করবে।
বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি এবং তর্জনির মাঝখানের অংশে অন্য হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনি দিয়ে চাপ দিন এবং ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। একই ভাবে ডান হাতেও করুন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আশা করা যায় এতে এক মিনিটেই মাথা ব্যথা সারবে।
পানি পান করুন
একচুমুক পানি পানও আপনাকে এক মিনিটের মধ্যে মাথা ব্যথা সারাতে কাজে দেবে। যখন আমাদের শরীর আর্দ্র হতে থাকে তখন ব্যথা ধীরে ধীরে কমে।
লবঙ্গ
কিছু লবঙ্গ তাওয়ার মধ্যে গরম করে নিন। গরম লবঙ্গ একটি রুমালের মধ্যে নিন। এক মিনিট এর ঘ্রাণ নিন এবং দেখুন মাথা ব্যথা চলে গেছে। 
লবণযুক্ত আপেল
ব্যথা যদি বেশি হয় তবে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।এক টুকরো আপেল চিবুতে পারেন তবে এতে একটু লবণ ছিটিয়ে নেবেন। এটা দ্রুত ব্যথা মুক্ত করতে সাহায্য করবে। 
আদা চিবুতে পারেন
এক পিস টাটকা আদা চিবুতে পারেন এতে ৬০ সেকেন্ডে মাথা ব্যথা দূর হবে। আদা একটু বাজে গন্ধের হলেও পদ্ধতিটি কাজের। 
হাসি খুশি মন
অনেকেই হয় তো বিশ্বাস করবেন না, তবে মনকে যদি ইতিবাচক এবং ভালো বিষয়ের দিকে নিয়ে যান তবে মাথা ব্যথা ৬০ সেকেন্ডেই দূর হবে। চেষ্টা করেই দেখুন না!
সংগৃহীত ।