সবাইকে স্বাগতম

এই ব্লগ সাইট ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না এ পেইজ গুরে আসার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলে আবার আসবেন। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। )
স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

জেনে নিন গরমে ঘামের দূর্গন্ধ দূর করার কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়

গরমের দিনে দেহে এতো বেশি ঘাম হয় যে যে মাঝে মাঝে এই ঘামের দুর্গন্ধ অসহ্যকর হয়ে ওঠে এবং অনেক জায়গাতেই অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়। তবে সকলের দেহের ঘামের পরিমাণ একরকম হয়না। কেউ বেশি ঘেমে থাকেন আবার কেউ কম। দেহে ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধির কারণেই ঘামে দুর্গন্ধ দেখা দেয়। তাই দেহের এই অস্বস্তিকর সমস্যা রোধ করার জন্য ঘরোয়া উপায়েই কয়েকটি কাজ করে নিন।
শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ প্রতিরোধে করনীয়ঃ

০১. আর্ম পিট- আর্ম পিট বা বগলে এপোক্রাইন গ্ল্যান্ড অনেক বেশি থাকে। ফলে ঘামের উৎপত্তি এখানে অনেক বেশি।

• আর্ম পিট পরিষ্কার রাখুন – প্রতিদিন anti-bacterial সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন। এতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন কম হবে আর ঘামও কম হবে। ফাইনাল ফলাফল শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ কম হবে।

• আর্ম পিটের লোম পরিষ্কার করুন – বগলের লোম জমে থাকা ঘামকে বাষ্পীভূত হতে দেয় না, ব্যাকটেরিয়া অনেক সময় ধরে দূর্গন্ধ তৈরি করে। তাই নিয়মিত আর্ম পিট ওয়াক্স করুন।

• diodarent ব্যবহার – diodarent ত্বককে আরও বেশি এসিডিক করে তোলে, যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য অগ্রহণযোগ্য অবস্থা। Antiperspirant গ্লান্ডের sweating কার্যকারিতাকে বন্ধ করে দেয় ফলে শরীরে কম ঘাম হয়।

বেকিং সোডা
বেকিং সোডা পেস্ট বানিয়ে বগলে লাগিয়ে নিন। এটি ঘামের খারাপ গন্ধ দূর করে বগল হতে। তাছাড়া বগলের অতিরিক্ত ঘাম রোধ করার জন্য বেকিং সোডার সাথে কর্ণ ফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিতে পারেন।

গোলাপজল
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হল গোলাপজল। গোসলের পানির সাথে পরিমাণ মতো গোলাপজল মিশিয়ে নিন এবং এই উপায়টি দীর্ঘক্ষণ দেহকে ঘামের দুর্গন্ধ হতে দূরে রাখে। এবং এটিই প্রাকৃতিক ডিউডোরেন্ট হিসেবে খুব উপকারী।

গরম পানি দিয়ে গোসল করুন – প্রতিদিন অন্তত একবার গোসল করুন। মনে রাখবেন গরম পানি শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে আর যদি আবহাওয়া গরম থাকে তাহলে চেষ্টা করবেন কয়েকবার গোসল করে নিতে।

ন্যাচারাল ফাইবার যুক্ত কাপড় পরিধান করুন – সিল্ক, সুতি জাতীয় কাপড় ত্বককে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দেয়। ফলে ঘাম সহজে বাস্পায়িত হতে পারে।

লেবু এবং মধু – লেবুর সাথে মধুর সংমিশ্রণ ঘামের দুর্গন্ধ প্রতিরোধের অন্যতম প্রধান ঘরোয়া উপায়। খুবই সিম্পল ,একটি বাটিতে হালকা গরম পানি নিন, তাতে ২ টেবিল চামচ মধু আর ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস নিন। তারপর আপনার যেসব স্থান ঘামে সে সব জায়গায় এই সলিউশন দিয়ে রিন্স করে নিন। তারপর শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। লেবু শরীরে ঘামের পরিমান কমিয়ে আনে।

ঘামযুক্ত পায়ের ট্রিটমেন্ট – পায়ে ঘামের দুর্গন্ধ থাকলে জুতা খোলার সঙ্গে সঙ্গে সবার সামনে নিজেকে কি বিব্রতকর অবস্থাতেই না পড়তে হয়।

• পায়ের তালুতে গরম পানির ছোঁয়া – আগেই বলেছি গরম পানি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। তাই প্রতিদিন অন্তত একবার হালকা গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন।

• মোজা – মোজার কাপড় টা এমন হওয়া উচিত যেন বাতাস এর ভেতর দিয়ে আসা যাওয়া করতে পারে। উল আর ম্যানমেড ফাইবারের সংমিশ্রণে তৈরি মোজাই উৎকৃষ্ট। প্রতিদিন পরিষ্কার ভাবে ধোয়া মোজা পরবেন।

• জুতা – চামড়ার জুতা পায়ের ঘাম বাষ্পীভূত হতে সাহায্য করে। পর পর দুইদিন একই জুতা পরবেন না, কারণ জুতার ভেতরের ঘাম শুকানোর জন্য এক রাত যথেষ্ট না।

ভিনেগার: আপনি শুনে হয়ত অবাক হবেন যে ভিনেগার অতিরিক্ত ঘামের পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনে। রাতে ঘুমানোর আগে ভিনেগার আপনার আর্ম পিটে লাগিয়ে ঘুমান আর সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে আস্তে আস্তে আপনি ঘামের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।

নিম পাতা: নিম পাতার ব্যবহারেও ঘামের দুর্গন্ধ রোধ করা যায় সহজেই। ঘামের দুর্গন্ধ হওয়ার জন্য দেহে যে ব্যাকটেরিয়া জন্মে তা রোধ করার জন্য নিম পাতা খুব উপকারী। কিছু নিমপাতা নিয়ে তা পানিতে সিদ্ধ করে নিন। গোসল করার সময় এই পানি ব্যবহার করুন। এই পদ্ধতিটি দেহের টক্সিন রোধ করে এবং ঘামের বাজে গন্ধ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

টি ট্রি অয়েল- যদিও এটা আমাদের দেশে সহজলভ্য নয় তবুও কেও যদি পেয়ে থাকেন তবে ঘামের দুর্গন্ধ সারাবার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। টি ট্রি অয়েল ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার জন্য উপকারী। একটি স্প্রে বোতলে পানি ভরুন তারপর এর সাথে ৩ ফোটা অয়েল মিশান। প্রতিদিন গোসল করার আগে ব্যবহার করুন।

সব সময় নিজেকে শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। গোসল করার পর ভালো ভাবে শরীর শুকিয়ে ভালো মানের diodarent ব্যবহার করুন।

শশাতে পানির ভাগ বেশি থাকে যা শরীরের গন্ধ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন একটি করে শশা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ডায়টেশিয়ানের মতে সালফিউরিক সম্মৃধ খাবার যেমন ব্রকলি, বাধাকপি, ফুলকপি পরিমাণে কম খেতে হবে। কারণ এগুলোতে মিনারেল সালফার থাকে যা গন্ধযুক্ত গ্যাস আমাদের ত্বকের সাহায্যে নির্গত করে।

তাহলে কিভাবে শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করবেন এই ব্যাপারে আর কোন সংশয় থাকার কথা না। কারণ উপরের সাধারন প্রাকৃতিক উপায় আর টিপস আপনাকে মুক্তি দিবে সকল বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে আর আপনিও থাকবেন প্রতিনিয়ত ক্লিন, ফ্রেশ। লিঙ্ক 

মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

নারীকে যৌন উত্তেজিত করার চারটি সুত্র



নারীকে যৌন উত্তেজিত করার চারটি সুত্র


১. সিঙার: বেশির ভাগ নারী মিলনপুর্ব সিঙারে সরাসরি যৌন মিলনের ছেয়ে বেশি তৃপ্তি পেয়ে থাকে। তাই ফোর-প্লে তে অধিক সময় নিন


২. কল্পনা / ফ্যান্টাসী: শাররীক মিলনকালে অথবা অন্য সময় যৌনতা নিয়ে কল্পনা করা মোটেও ভুল নয়। সঙ্গীর উত্তেজক কর্মকান্ডের সাথে আপনার কল্পনা মিশিয়ে এক সুখকর আবেশে জড়াতে পারেন। কল্পনার রাজ্যে সব পুরুষ রাজা আর তার সঙ্গী রাণীর আসনে থাকে।
৩. সরাসরি মিলনে দেরী করা: নারী, বিশেষ করে তরুনীরা সাধারনত বেশি বেশি চুমা, ছোয়া সহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক যৌন উত্তেজক বিষয় একটু বয়স্কদের চেয়ে বেশি কামনা করে। বয়সবেধে চরম উত্তেজনায় পৌছতে কম/বেশি সময় নিয়ে থাকে। আপনার সঙ্গীর আকাঙ্খার উপর ভিত্তি করে পেনিট্রেশানের আগে আরো কিছু সুখ আদান প্রদান করুন।
৪. ভাইব্রেটর: আমাদের দেশে এখনো সেক্স টয় বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাই নারীকে উত্তেজিত করার জন্য ভাইব্রেটর এর বিকল্প আপনার মধ্যমা আঙুলী দিয়ে তার যোনীর ভিতর জি-স্পট (যৌনাঙ্গের কিছুটা ভিতরে অতি সংবেদনশীল অঞ্চল) এ কম্পন সৃষ্টি করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন কোন অভ্যাস যেন স্থায়ী না হয়ে যায়?

কমবয়সী নারী জন্মনিরোধক পিল খাওয়ানো কি উচিত হবে?

কমবয়সী নারীকে জন্মনিরোধক পিল খাওয়ানো কি উচিত হবে? 

সে নিয়মিত স্কুলে যায় এবং পড়াশুনা করে। কনডম ব্যবহারে আমি এবং সে কেউ তৃপ্তি পাই না। এখন আমি কি তাকে পিল খাওয়াতে পারি আর পিল খাওয়ালে কোন পিল খাওয়াবো? নাকি পিল খাওয়ালে পরে সন্তান নিতে গেলে কোন সমস্যা হবে?
উত্তরঃ আপনার ১৫ বছর বয়সী স্ত্রীকে পিল খাওয়াতে পারবেন, যদি তাঁর মাসিক নিয়মিত হয় এবং কোন হৃদরোগ বা স্তনে কোন সমস্যা না থাকে। হরমোন জনিত কোন সমস্যা হলেও আপনার স্ত্রীর পিল খাওয়ায় সমস্যা হতে পারে। তাই সবচেয়ে ভাল হয়, যদি আপনি একজন গাইনীর ডাক্তারের কাছে গিয়ে আপনার স্ত্রীকে একটু চেক আপ করিয়ে নেন।
আর পিল খেলে সন্তান নিতে সাধারণত সমস্যা হবার কথা নয়। পিল খাওয়া বন্ধ করলে ও অন্য কোন সমস্যা না থাকলে আপনারা ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে বাচ্চা নিতে পারবেন। ধন্যবাদ
পরামর্শ দিয়েছেন : ডাঃ নিবিড় (ইন্টার্ন, চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ)

সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

৬২ কোম্পানির ওষুধ থেকে সাবধান


গাজী শাহনেওয়াজ
নিষিদ্ধ ও কালোতালিকাভুক্ত ৬২ কোম্পানির ওষুধ কেনা থেকে সাবধান। এসব কোম্পানি মরণব্যাধি ওষুধ উৎপাদন করে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে বাজারজাত করছে। সংসদীয় কমিটি নূ্যনতম ব্যবহারে অযোগ্য এগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিলেও অধিদপ্তর স্ব-প্রণোদিত হয়ে পাল্টা কমিটি করে ১৫ কোম্পানিকে ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি দেয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ সংসদীয় কমিটি। কমিটি বলেছে, সুপারিশের পর মন্ত্রণালয়ের আবার কমিটি গঠনের যৌক্তিকতা নেই। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির কার্যপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, স্থায়ী কমিটি সরেজমিন ভিজিট করে ৬২ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল ও উৎপাদন বন্ধের সুপারিশ করে। এসব কোম্পানির কোনো গাইড লাইন অনুসরণ ও জিএমপি কমপ্লাই না করে ওষুধ প্রস্তুত ও চাহিদার মাত্র ৩ শতাংশ উৎপাদন করে। কিন্তু এদের ওষুধ জনগণের কোনো উপকারে আসে না।
তিনি বলেন, বছরের পর বছর কোম্পানিগুলো নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদন ও সরবরাহ করে চলেছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় কিংবা অধিদপ্তরের নজরে আসেনি। স্থায়ী কমিটি বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় নিয়ে তদন্তপূর্বক কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল ও উৎপাদন বন্ধের সুপারিশের পর মন্ত্রণালয়ের আবার কমিটি গঠনের যৌক্তিকতা নেই।
তার বক্তব্যের জবাবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগ্য জনবল নিয়োগ, ডকুমেন্টশন, নতুন যন্ত্রপতি সংগ্রহ ও সংযোজন ও ব্যাপাক উন্নতি সাধন করায় ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আদালতের নির্দেশে ৯টি প্রতিষ্ঠান ওষুধ বাজারজাত করছে। তবে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা নিষ্পত্তির চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
কার্যপত্রে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য সংসদীয় কমিটির অধীনে ৩ নং সাব-কমিটি গঠন করে দেশের ওষুধ উৎপাদনকারী ১৫১টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আন্তজার্তিক মানসম্পন্ন চিহ্নিত হয় ২২টি কোম্পানি। এছাড়াও ২৬টির অধিকাংশই সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ৪১টিকে মোটামুটি সামঞ্জস্যপূর্ণ যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রণীত গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস (জিএমপি) সম্পন্ন, যা কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়।
কালোতালিকাভুক্ত ৬২টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ইউনিভার্সেল ফার্মা লি., অ্যাবালিশন ফার্মা লি., বেঙ্গল টেকনো ফার্মা লি., বিকল্প ফার্মা লি., ক্রিস্টাল ফার্মা লি., ডলফিন ফার্মা লি., জলপা ফার্মা লি., মাফনাজ ফার্মা লি., ন্যাশনাল ল্যাব লি., কোয়ালিটি ফার্মা লি., রেমিডি ফার্মা লি., সলটন ফার্মা লি., বিস্ট্রল ফার্মা লি., ডিসেন্ট ফার্মা লি., মার্কসম্যান ফার্মা লি., মাইস্ট্রিস ফার্মা লি., প্রিমিয়ার ফার্মা লি., প্রতিতি ফার্মা লি., ইউনিক ফার্মা লি., এক্সিম ফার্মা লি., রিয়ালাইন্স ফার্মা লি., এপিসি ফার্মা লি., আলকদ ফার্মা লি., সেন্ট্রাল ফার্মা লি., দি হোয়েইট হর্স ফার্মা লি., কসমো ফার্মা লি., দেশ ফার্মা লি., গ্লোবেক্স ফার্মা লি., রয়েল ফার্মা লি., ইনোভা ফার্মা লি., স্ট্যান্ডডার্ট ফার্মা লি., ইউনাইটেড ক্যামি ফার্মা লি., অ্যামিকো ফার্মা লি., সিমা ফার্মা লি., স্কাইল্যাব ফার্মা লি., অর্গানিক ফার্মা লি., নর্থ বেঙ্গল ফার্মা লি., এজটেক ফার্মা লি., বেঙ্গল ড্রাগ অ্যান্ড ক্যামি লি., বেনহাম ফার্মা লি., কুমুদিনী ফার্মা লি., মার্স্ক ফার্মা লি., সুনিপুণ ফার্মা লি. এবং রেমো ক্যামিকেলস লিমিটেড।
এছাড়াও সংসদীয় কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতিতে যে ৯টি কোম্পানি ওষুধ বাজারজাত করছে সেগুলো হচ্ছে- মেসার্স ওয়েস্টার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, মেসার্স এফএনএফ ফার্মা লি., মে মর্ডান ফার্মা লি., মে প্রাইম ফার্মা লি., মে সিলকো ফার্মা লি., মে সিনথো ফার্মা লি., মে গ্রিনল্যান্ড ফার্মা লি., মে মিল্লাত ফার্মা লি. ও মে মমতাজ ফার্মা লি.। আর আদালতের নির্দেশে ৯টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে, পারমিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, স্পার্ক ফার্মা লি., শামসুল আলামিন ফার্মা লি., ট্রপিক্যাল ফার্মা লি., ইউনিয়ন ফার্মা লি., রাসা ফার্মা লি., প্যারাডাইস ফার্মা লি., ওসিস ফার্মা লি. এবং ইন্দো বাংলা ফার্মা লি.।

দেহের শক্তি বা এনার্জি বাড়ানোর উপায়


ডা. আওরঙ্গজেব আরু
প্রতিনিয়ত আমাদের নানা ধরনের কাজ-কর্মে ব্যস্ত থাকতে হয়। কখনো বা অফিস, আবার কখনো হাটবাজার কিংবা নিজের পরিবারকে সময় দেয়া এ সবটাতেই প্রয়োজন শক্তি বা এনার্জি। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন, আপনি বেশি কাজ বা প্রেশার নিতে পারছেন না। অথচ আপনার পাশের জন্যই তা অনায়াসেই করে ফেলছে। চাকরিজীবী পুরুষ-মহিলা কিংবা একদমই গৃহিণী সবার জন্যই প্রয়োজন অফুরন্ত শক্তি। আর এই শক্তি বা এনার্জির মূল রহস্যটাই লুকিয়ে আছে আমাদের খাদ্যাভাস। শুধু বেঁচে থাকার জন্যই খাওয়া নয়, জীবনকে উপভোগ করার জন্য খাওয়া এবং সুস্থ থাকা। এক্ষেত্রে আমাদের খাদ্যাভাস বিশেষ কিছু খাদ্যদ্রব্য রাখলে আমরা প্রচুর শক্তি অর্জন করতে পারি।
পানি : প্রতিদিন দু'লিটার অর্থাৎ ৮-১০ গ্লাস পানি খাওয়া একান্ত অপরিহার্য। সঠিক পরিমাণে পানি খেলে দেহের জয়েন্টগুলো সচল থাকে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, খাবার সহজে হজম হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ বজায় থাকে, এক কথায় দেহের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
তাজা ফলমূল : আমাদের দেহের শতকরা ৮০ ভাগই পানি। শুধু পানি খেয়ে দেহের পানির চাহিদা পূরণ করা যায় না। এজন্য প্রচুর পরিমাণে তাজা ফলমূল খাওয়া উচিত। ফলকে বলা হয় ব্রেইন ফুয়েল ও অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন ৩-৫টি ফল খাওয়া উচিত। এতে ডিপ্রেশন কম হয়, হার্ট ভালো থাকে, কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।,
সবুজ শাক-সবজি ও সালাদ
সবুজ শাক-সবজি ও সালাদে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইবার। আয়রন, ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ সবুজ শাক-সব্জি অস্টিওপোরোসিস ও আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে খুবই উপকারী। এতে দেহ সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম থাকে।
বাদাম ও বীজযুক্ত সবজি
বাদাম ও বীজযুক্ত খাবারে রয়েছে ন্যাচারেল ফ্যাট ও প্রোটিন যা দেহে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
দুধ ও দুধজাতীয় খাবার
এনার্জি জোগাতে দুধের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সহজে পূরণ করা যায়। এ ছাড়া দই, পায়েস ইত্যাদিও আমাদের দেহের এনার্জির উৎস হতে পারে।
স্প্রাউটস বা অঙ্কুরিত বীজ
স্প্রাউটস শরীরে এনার্জি দেয়। এতে প্রোটিন বেশি পরিমাণে থাকে, ফ্যাটের পরিমাণ কম। সিদ্ধ, স্প্রাউটস সহজে হজম হয়। প্রতিদিন ১ বাটি স্প্রাউটস খাওয়া খুবই ভালো।
মূলযুক্ত খাবার : মিষ্টি আলু, বিটের মতো মূলযুক্ত খাদ্যে রয়েছে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি৬, পটাসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ উপাদান। এই জাতীয় খাবার ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে ও খাদ্যের চাহিদা সহজে মেটাতে পারে। দেহের এনার্জি বাড়াতে খাদ্যের ভারসাম্য বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। এ জন্য ডায়েট বা খাদ্যেভাসের ৪০ ভাগ ফলমূল, সবজি ২০ ভাগ এবং ৩০ ভাগ ফ্যাট রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে এনার্জি বা শক্তির জন্য আর চিন্তার কিছুই থাকবে না।
সংগৃহীত ।
মাত্র ১৫ মিনিটে ঝরিয়ে ফেলুন পেটের বাড়তি মেদ
পেটের মেদ ছেলে মেয়ে উভয়ের কাছে আতঙ্কের নাম। শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে পেটে দ্রুত মেদ জমে থাকে। যান্ত্রিক এই জীবনে কায়িক শ্রমের পরিমাণে কম মানসিক শ্রমের উপর জোর বেশি পড়ছে। যার ফলশ্রুতিতে একটানা ডেস্কে কাজ করার ফলে জমছে পেটে মেদ। পেট মেদ জমার অন্যতম একটি কারণ হল আমাদের লাইগ স্ট্যাইল, জাঙ্ক ফুডের প্রতি আসক্তি, শারীরিক পরিশ্রম  কম করা ইত্যাদি। পেটের মেদ শুধু দৃষ্টিকটুর না এটি নানান শারীরিক সমস্যার কারণ। ব্যস্ত এই জীবন থেকে মাত্র ১৫ মিনিট নিজের জন্য ব্যয় করুন আর ঝরিয়ে ফেলুন পেটের বাড়তি মেদ।

১। Squat to Knee Lift Twist
1._squat_twist_lift

প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কিছুটা নিচু হয়ে হাত দুটো সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন। এরপর সোজা হয়ে দুই হাত দুইদিকে প্রসারিত করে  বাম পায়ে ব্যালেন্স রেখে ডান পা ভেঙ্গে বাম দিকে শরীরে ঘুরিয়ে নিন। এভাবে বিপরীত পায়ে ভর করে একই কাজ করুন। এইসময় সোজা হওয়ার সময় শ্বাস গ্রহণ এবং বাঁকা হওয়ার সময় শ্বাস ছাড়ুন। 

২। Side Leap and Balance 
2._side_leap_and_balance

 ডান পায়ে ভর রেখে বাম পাকে পিছনের দিকে নিয়ে ভেঙ্গে ডান হাতটি কিছুটা বাঁকা করে আগে পিছে মুভ করুন কিছুক্ষণ। তারপর ডানদিকের ছবির মত করে লাফ দিন। ১ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। 

৩। 180 Squat Jump 

ছবির মত করে হাত দুটি ভাঁজ করে ১৮০ ডিগ্রীতে শরীরকে মুভ করুন। এরপর দ্বিতীয় ছবির মত বিপরীত পাশেও তাই করুন।

৪। Crossing Climber 

পাঙ্ক পজিশনে পা এবং হিপ কিছুটা উঁচু রেখে হাঁটু ভেঙ্গে কিছুটা উঁচু থেকে লাফ দিন। লাফটি দ্রুত দিবেন। 

৫। Standing Straight-Leg Bicycle 

হাঁটু কিছুটা ভেঙ্গে দুই পা একসাথে করে নিন। হাত দুটি মাথার পিছনে নিয়ে নিন। বাম পায়ে ভারসাম্য রেখে ডান পা সামনের দিকে রেখে বামপাশে শরীর ডানদিকে ঘুরিয়ে নিন। পা দুটি একসাথে রাখার সময় শ্বাস গ্রহণ করুন এবং শরীর ঘোরানোর সময় শ্বাস বের করুন।

নিয়মিত এই ব্যায়ামগুলো করুন। ১৫ দিনের মধ্যে পেটের মেদ অনেকখানি কমে যাবে। 

জেনে নিন কোন ধরণের মাথা ব্যথা মারাত্মক রোগের লক্ষণ

জেনে নিন কোন ধরণের মাথা ব্যথা মারাত্মক রোগের লক্ষণ

headaches-symptomsকম বেশি সকলেই মাথা ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন। রোদে ঘোরাঘুরি, ঠাণ্ডা-সর্দি, মাইগ্রেন সহ অন্যান্য অনেক কারণেই মাথা ব্যথার সমস্যা হতে পারে। আমরা অনেকেই মাথা ব্যথার সমস্যা একেবারেই অবহেলা করে থাকি। ভেবে থাকি ঘুম এবং ব্যথানাশক ঔষধ খেলেই মাথা ব্যথার সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। হ্যাঁ, মাথা ব্যথার সমস্যা এই দুটি উপায়ে ঠিক করা সম্ভব। কিন্তু যদি তা মারাত্মক কোনো রোগের লক্ষণ হয়ে থাকে তাহলে কি আপনি ভুল করছেন না? হয়তো আপনার অবহেলার কারণে মারাত্মক সমস্যাটি বেড়েই চলেছে। তাই জেনে রাখা ভালো কোন ধরণের মাথা ব্যথা মারাত্মক রোগের লক্ষণ। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।

# হুট করে শুরু হয়ে মাত্র ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে অসম্ভব রকমের মাথা ব্যথার সমস্যা শুরু হওয়া অনেক মারাত্মক একটি সমস্যা। আর এই মাথা ব্যথার কারণ মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণ, স্ট্রোক এবং অ্যানিউরিজম। সুতরাং, সাবধান। সতর্ক থাকলে বেঁচে যেতে পারে জীবন।

# মাথায় কোনো আঘাত পাওয়ার পর থেকে মারাত্মক ব্যথা শুরু হলে তা মোটেই অবহেলা করবেন না। অনেকেই ভাবেন আঘাত পেলে ব্যথা তো করবেই, কিন্তু আপনার অবহেলার কারণে আপনি পড়তে পারেন মারাত্মক সমস্যায়। খুব সামান্য আঘাতের কারণেও অদৃশ্য ব্লিড হতে পারে যা মাথার খুলিতে চাপের সৃষ্টি করে।

# সকালে উঠে মাথা ব্যথার সমস্যায় ভোগা এবং সেই সাথে বমি করার সমস্যা অনেক মারাত্মক একটি রোগের লক্ষণ। যদি দিন বাড়ার সাথে সাথে ব্যথা কমতে থাকে, কিন্তু হাঁটাচলা, শারীরিক পরিশ্রম, মাথা নিচু করা ইত্যাদি কাজ করার সাথে সাথে মাথাব্যথা বাড়তে থাকে তাহলে সাবধান হয়ে যান। কারণ এটি হতে পারে ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ।

# সব চাইতে ভয়াবহতম মাথা ব্যথার সমস্যা হচ্ছে সেলেব্রাল অ্যানিউরিজমের। মাথার সাথে এই ব্যথা গলা, ঘাড়েও অনুভূত হতে থাকে, সেই সাথে বমি, আলো সহ্য করতে না পারার সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যায় যতো দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

খালি পেটে রসুন খওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে রসুন খওয়ার উপকারিতা

অনেকের ধারণা সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া হয়তো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার অনেকে বিশেষ করে দাদী নানীরা মনে করেন এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি। এত তর্ক বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে বৈজ্ঞানিকরা প্রমাণ করেছেন খালি পেটে রসুন শরীরের ভেতরে অ্যান্টিবায়েটিক তৈরি করে থাকে। যা অনেক রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে থাকে। এছাড়া আরও কিছু কারণ আছে যার কারণে খালি পেটে রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকার।
১। রসুন হাইপারটেশন বা উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে থাকে। এটি শুধু রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে না, হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে থাকে। এর পাশাপাশি লিভার এবং ব্লাডার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
২। পেটের নানা সমস্যা যেমন ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে রসুন বেশ কার্যকরী। সকালে খালি পেটে রসুন নার্ভ সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।
৩। রসুন আপনার স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটি পাকস্থলিতে উৎপাদিত অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে। রসুন অত্যন্ত শক্তিশালী উপাদান যা ডায়াবেটিস, হতাশা, ট্রাইপাস, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে দেহের সার্বিক উন্নয়ন সাধান করে থাকে।
৪। পেটের নানা অসুখ ভাল করার পাশপাশি রসুন হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এটি খাবারে রুচি বৃদ্ধিতেও রসুন বেশ কার্যকরী।
৫। যক্ষা, নিউমিনিয়া, ব্রংকাইটিস,দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসনালী শ্লেষ্মা, হাঁপানি, অ্যাজমা, হুপিং কাশি সর্বোপরি শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে থাকে রসুন। তবে হ্যাঁ অব্যশই খালি পেটে খেতে হবে রসুন।

যেভাবে খাবেন:

সকালে নাস্তা খাওয়ার আগে দুই কোয়া রসুন খেয়ে ফেলুন। তারপর পানি পান করুন। রসুন চিবিয়ে খান।

সতর্কতা:

১। রসুন খাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন রসুনে আপনার অ্যালার্জি আছে কিনা। রসুনে অ্যালার্জি থাকলে কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এর পরিবর্তে রসুনের স্যাপ্লিমেন্টরী খেতে পারেন।
২। রসুন খাওয়ার পর যদি ত্বকে র‍্যাশ দেখা দেয়, অথবা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় অথবা মাথাব্যথা শুরু হয় তবে রসুন খাওয়া বন্ধ করে দিন।
৩। আপনি যদি কোন ঔষধ খেয়ে থাকেন, তবে রসুন খাওয়ার আগে অব্যশই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ  গ্রহণ করবেন।

সর্বরোগের মহৌষধ আদা

সর্বরোগের মহৌষধ আদা

পেটে ব্যথা

পেটে ব্যথা হলে আদা চা খেতে পারেন। আদাতে রয়েছে বেদনানাশক উপাদান যা সহজেই তাৎক্ষণিকভাবে পেটে ব্যথা কমায় ও আরাম দেয়।

রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়

আদার রস শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যামিনো এসিড। প্রতিদিন আদার রস বা আদা চা খেলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া ঠিক থাকে ও হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। আদার রস ধমনীতে চর্বি জমতে দেয় না, ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

ঋতুস্রাব

যাদের ঋতুস্রাবের সময় তলপেটে ব্যাথা হয়, তারা আদা সেদ্ধ পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে পেটে সেঁক দিতে পারেন। এসময় আদা চায়ে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। এতে করে মাসিক চক্র ঠিক থাকবে।

বাতের ব্যথা

জয়েন্টে বাতের ব্যথা কমাতে আদা খুব ভালো কাজ করে। আদার প্রদাহ ও ব্যথানাশক উপাদান বাতের ব্যথা খুব সহজেই নিরাময় করে। এক্ষেত্রে নিয়মিত আদা চা খান, পানিতে আদা সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে স্নান সেরে নিন, আরাম পাবেন। এখন বাজারে আদার তেলও পাওয়া যায়। ব্যথাস্থানে সেই তেল ম্যাসাজ করলেও আরাম পাবেন।

হজম ও আলসার

আদা হজমে সহায়তা করে। ভারি খাবার খাওয়ার পর খানিকটা আদা চিবিয়ে খান। দেখবেন পেটের অস্বস্তিভাব কেটে যাবে। আদার রস খাদ্যের ভেতরকার  পুষ্টিকে শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি পাকস্থলিতে এক প্রকার শ্লেষ্মা তৈরি করে যা আলসার হওয়ার সম্ভাবনা দূর করে।

বমিভাব

দূরের যাত্রাপথে বমিভাব হলে আদা খেতে পারেন। ব্যাগে আদা ছোট ছোট করে কেটে রাখুন। পুদিনা পাতা ও খানিকটা আদা চিবিয়ে খান। বমিভাব কেটে যাবে। এছাড়াও বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে মধু দিয়ে আদা চা খেয়ে বের হলে ভালো অনুভব করবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

আদা শরীরের জীবাণু ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন খাওয়ার সময় দুই টুকরো আদা খান। এতে বুকে জমা কফ বেরিয়ে আসবে ও অসুখ-বিসুখ হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে অনেকাংশেই।

মুখ পরিষ্কার করে

আদায় রয়েছে এন্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান যা মুখের ভেতরে জীবাণুকে মেরে ফেলে ও দাঁতের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।

সংক্রামণ রোগ

আদাতে রয়েছে এন্টি-ফাংগাল ও এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা শরীরের বাইরের অংশের ঘা ও সংক্রামণ রোগের বিনাশ করে।

আর নয় দুশ্চিন্তা

আদা চা মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে। সারাদিন পর এক কাপ আদা চা আপনাকে দেবে প্রশান্তি। এছাড়াও অফিস থেকে বাড়ি ফিরে আদা সেদ্ধ পানি দিয়ে স্নান  নিতে পারেন। শরীর ঝরঝরে লাগবে।

ক্যান্সার নিরাময়ক

এতে রয়েছে এন্টি-ক্যান্সার প্রপার্টিজ। আদার উচ্চমানের এন্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে ক্যান্সারের সেল তৈরি হতে দেয় না। অনেক সময় শরীরে ক্যান্সারের সেল তৈরি হলেও তা ছড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

মাইগ্রেন

আদার রস রক্তনালীর প্রদাহ দমন করে। মাইগ্রেনের কারণে মাথাব্যথা হলে আদা পেস্ট করে কপালে লাগাতে পারেন। ধীরে ধীরে ব্যথা কমে যাবে।

ঠাণ্ডা, কাশি ও ফ্লু

অতি প্রাচীনকাল থেকেই ঠাণ্ডা, কাশি ও ফ্লু-র ওষুধ হিসেবে আদার রস ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঠাণ্ডা বা কাশির সমস্যা সমাধানে আদার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ১০ সেকেন্ড গরম করে খান। শিঘগিরই সেরে উঠবেন।

বাতের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকার সহজ ১০টি টিপস জেনে রাখুন

বাতের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকার সহজ ১০টি টিপস জেনে রাখুন 

অার্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথার সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। একটু বয়স হলেই আমাদের চারপাশের অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই রোগ হলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। তাছাড়া বেশ কষ্ট পোহাতে হয়। অথচ কয়েকটি সহজ টিপস অনুসরণ করেই বাতের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকা যায়। আর আজকে বাতের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকার জন্য ১০টি পরামর্শ দিয়েছেন ডাঃ আদনান মুশফিক চলুন কয়টি টিপস জেনে নেই-
১. মেরুদণ্ড ও ঘাড় নিচু করে কোনো কাজ করবেন না।
২. বিছানায় শোয়া ও উঠার সময় যেকোন একদিকে কাত হয়ে হাতের উপর ভর দিয়ে শোবেন ও উঠবেন।
৩. ব্যথার জায়গায় নির্দিষ্ট সময় ধরে গরম বা ঠাণ্ডা ভাপ দিন। সময়টা ১০ থেকে ১৫ মিনিট হলে ভালো হয়।
৪. অনেক্ষণ এক জায়গায় বসে বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না। প্রয়োজনে এক ঘন্টা পর পর অবস্থান বদলাবেন।
৫. নিচু জিনিস যেমন- পিড়া, মোড়া বা ফ্লোরে না বসে চেয়ারে বসতে হবে। বসার সময় পিঠ ঠেস না দিয়ে মেরুদণ্ড সোজা করে বসবেন।
৬. নরম ফোম ও জাজিমে শোয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। এর বদলে উঁচু, শক্ত ও সমান বিছানায় শোবেন।
৭. মাথায় বা হাতে ভারী ওজন বা বোঝা বহন এড়িয়ে চলতে হবে। দাঁড়িয়ে বা চেয়ারে বসে রান্না করা যাবে না।
৮. চিকিৎসকের নির্দেশমতো নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তবে ব্যথা বেড়ে গেলে ব্যায়াম বন্ধ রাখবেন।
৯. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। পেট ভরে খাওয়া নিষেধ। অল্প অল্প করে বার বার খাবেন। প্রতিবার খাবারের আগে কিছুটা পানি পান করে নিন।
১০. হাই হিল যুক্ত জুতা ব্যবহার করবেন না। নরম জুতা ব্যবহার করবেন। ব্যথা তীব্র হলে উঁচু কমোডে বসে টয়লেট করুন। ব্যথা বেশি অনুভূত হলে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকুন। 

রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

যে ৫ টি কারণে পরিবারের মেজো সন্তানেরা সবার চাইতে আলাদা

যে ৫ টি কারণে পরিবারের মেজো সন্তানেরা সবার চাইতে আলাদা

পরিবারের মেজো সন্তানকে নিয়ে অনেক সময় বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তার সীমা থাকে না। কারণ বেশীরভাগ সময়ই পরিবারের মেজো সন্তানকে হতে দেখা যায় স্বাধীনচেতা, আত্মনির্ভরশীল এবং একেবারে আলাদা মনমানসিকতার মানুষ। কিন্তু সত্যিকার অর্থে পরিবারের মেজো সন্তানটি হয়ে থাকে সবচাইতে ভালো মনের মানুষ।
পরিবারের বড় সন্তানেরা অনেক বেশি আত্মত্যাগী ও ছোটরা উড়নচণ্ডী ধরণের হয়ে থাকে বলেন অনেকেই। কিন্তু মেজোজনের বৈশিষ্ট্য কিন্তু সহজে চোখে পড়ে না। তারা কতোটা চিন্তা করে চলেও তাও অনেকে বুঝতে পারে না। আর তাদের এই ধরণের চিন্তাই তাদের করে তোলে একেবারে আলাদা ও ভালো মানসিকতার।

১) মেজো ছেলেমেয়েরা সম্পর্কের মূল্য অনেক বেশি ভালো বুঝে থাকেন

বড় এবং ছোটদের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তাদের সাথে কীভাবে চললে সম্পর্ক অনেক বেশি ভালো থাকে তা মেজোরাই ভালো বুঝে থাকেন। কারণ তিনি তার বড় ভাই-বোনের কোনো ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে থাকলে নিজের ছোটোজনের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তা বুঝে যান।
এবং তিনি নিজের বড় কারো সাথে যেভাবে ব্যবহার করবেন সেটাই তিনি তার ছোটজনের কাছ থেকে ফিরে পাবেন ভেবে তাও নিজে থেকেই শিখে নেন। এই দুটি বিষয় কিন্তু পরিবারের বড় এবং ছোটো সন্তানেরা এভাবে ভাবতে পারে না।

২) আত্মনির্ভরশীল মানুষ হয়ে গড়ে উঠেন বাবা-মায়ের মেজো সন্তান

বড় সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের আলাদা একধরণের টান থাকেই কারণ তিনি প্রথম সন্তান। এবং ছোটো সন্তান পরিবারের সকলের আদরের সন্তান হিসেবেই মানুষ হয়ে থাকেন। কিন্তু সত্যি বলতে কি, বাবা-মা সন্তানদের মধ্যে পার্থক্য না করলেও বড় ও ছোটো সন্তানকে যেভাবে সময় দিয়ে থাকেন তা মেজো সন্তানকে দিতে পারেন না অনেক সময়েই। আর সে কারণেই পরিবারের মেজো সন্তানেরা অনেক বেশি আত্মনির্ভরশীল হয়ে গড়ে উঠে।

৩) সবার সাথে সহজে মিশতে পারার ভালো গুনটি থাকে মেজো সন্তানদের মধ্যেই

বুঝতে পারার বয়স থেকে বড় ও ছোটো ভাইবোনের সাথে কীভাবে মিশতে হবে তা সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই শিখে নেন মেজোজন। আর সে কারণেই ছোটোবড় সকলের সাথেই বেশ ভালো করে মিশতে পারার একটি গুণ তৈরি হয়ে যায়, যা পরিবারের বড় ও ছোটো সন্তানের মধ্যে খুব বেশি দেখা যায় না। একারণে আত্মীয়স্বজন থেকে সকলেই মেজো সন্তানটিকে বেশ পছন্দ করে ফেলেন।

৪) ছোটো-বড় সকলকেই সঠিক মূল্যায়নে পরিচালনা করতে পারেন মেজোরাই

কাকে কি বলে, কীভাবে চালানো সম্ভব এই গুণটিও পরিবারের বড় ও ছোটো ভাইবোনের মধ্যে থাকতে থাকতে রপ্ত হয়ে যায় পরিবারের মেজো সন্তানের। এতে করে বাইরের জগতেও কার সাথে কীভাবে কথা বলে তাকে পরিচালনা করা সম্ভব তা তৈরি হয় নিজে থেকেই।

৫) মেজো সন্তানেরা অনেক বেশি সৃজনশীল হয়ে থাকেন

বড় ও ছোটো সন্তানদের তুলনায় মেজো সন্তানটি অনেক বেশি সৃজনশীল হয়ে থাকেন। তাদের চিন্তাভাবনা অন্য সকলের থেকে একটু আলাদা প্রকৃতির হয়ে থাকে। দেখা যায় বড় বা ছোটো ভাই বোন স্বাভাবিক নিয়মে জীবন যাপন করে বেশ বড় স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কাজ করছেন কিন্তু মেজোজন নিজের সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের নিয়মে চলছেন। অবশ্য একারণে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা কারণ হতে দেখা যায় পরিবারের মেজো সন্তানকে।

স্বাস্থ্য

হৃৎপিণ্ডের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা দূর করবে ৬টি খাবার




হৃৎপিণ্ডের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা দূর করবে ৬টি খাবার

ওট

ওটের মধ্যে থাকা সলিউবল আঁশ কোলেস্টেরল তৈরি করতে বাঁধা দেয়। এই আঁশ হৃৎপিণ্ডের শিরার রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।

ডালিম

ডালিম একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি শিরার শক্ত হয়ে যাওয়া সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে এবং শিরার রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। এই খাবারটি শিরাকে ভালো রাখে।

মাছ

যেসব মাছের ওমেগা তিন ফ্যাটি এসিড রয়েছে, এগুলো রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। যেমন : স্যালমন, টুনা ইত্যাদি।

রসুন

রসুন বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। হৃৎপিণ্ডের শিরার রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

জলপাইয়ের তেল

অলিভওয়েল বা জলপাইয়ের তেল কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে থাকা ম্যানুস্যাচুরেটেড চর্বি বাজে কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করে। শিরার রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।

টমেটো

টমোটো হৃৎপিণ্ডের শিরাকে শক্ত হতে দেয় না। টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোপেন টমেটোকে লাল করে। যাদের শরীরে লাইকোপেন ভালো মাত্রায় থাকে, তাদের হৃৎপিণ্ডের শিরার সমস্যা কমে যায়।