সবাইকে স্বাগতম

এই ব্লগ সাইট ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না এ পেইজ গুরে আসার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলে আবার আসবেন। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। )

বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

চোখের রোগ ক্রেনিয়াল নার্ভ পালসি

ক্রেনিয়াল নার্ভ পালসি

ক্রেনিয়াল নার্ভ পালসি  চোখের এমন একটি সমস্যা যেখানে এক বা একাধিক ক্রেনিয়াল নার্ভ সংযুক্ত থাকে। মাংসপেশি অবশ হয়ে গেলে অথবা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এ রোগ দেখা দেয়। ফলে মাংসপেশিতে হঠাৎ করে খিঁচুনিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। ক্রেনিয়াল নার্ভের সঙ্গে সংযুক্ত মাংসপেশিগুলো সহজেই চিহ্নিত করা যায়। যেমন মুখের মাংসপেশির সঙ্গে যুক্ত থাকে। এতে এ রোগ হলে মুখের আকারের পরিবর্তনে দেখা যায়। এ রোগে আক্রান্তদের হাসতে, চোখ নড়াচড়া করতে এবং অন্যান্য মুখভঙ্গি করতে ভীষণ অসুবিধায় পড়তে হয়।

বারো জোড়া ক্রেনিয়াল নার্ভ সরাসরি মস্তিষ্ক থেকে ফোরামনেস (ঋড়ৎধসবহং) নামক মাথার খুলির ছিদ্রের মাধ্যমে মুখের বিভিন্ন অংশে সংযুক্ত থাকে। এ নার্ভের সাহায্যে চোখ ও ঠোঁট থেকে শুরু করে মুখের মাংসপেশির সব নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ক্রেনিয়াল পালসিতে আক্রান্ত হলে মুখের এক বা একাধিক মাংসপেশি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ কারণে মুখের বিভিন্ন অংশ ঝুলে পড়ে, অসাড় বা প্যারালাইজ হয়ে যায়। এমনকি কখনো কখনো ঝাঁকুনিরও সৃষ্টি হতে পারে।
রোগের কারণ : এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। মুখ ও মাথায় প্রচ- আঘাত থেকে নার্ভ বা স্নায়ু সরাসরি তিগ্রস্ত হলে এ রোগ হতে পারে। কোনো অপারেশনের সময় অসাবধানতাবশত চিকিৎসক যে কোনো একটি নার্ভ কেটে ফেললেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাল্টিপল স্কেলেরোসিসও অনেক সময় নার্ভ তিগ্রস্ত করতে পারে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কখনো কখনো এ রোগের জন্য দায়ী।
লণ : ডাবল ভিশন বা দৃষ্টি, মাথাব্যথা, চোখে কম দেখা, অস্বাভাবিক অনৈচ্ছিক নড়াচড়া, অনুভূতি কমে যাওয়া, চোখের পাতার অস্বাভাবিক নড়াচড়া, চোখের মণির অসমতা, চোখে ব্যথা হওয়া, মুখম-লে ব্যথা, কথা বলতে কষ্ট হওয়া, মাংসপেশিতে খিঁচুনি বা টান ইত্যাদি। ফেসিয়াল ল্যাসারেশন বা মুখের কোথাও জখম হলে সহজেই এ থেকে ফেসিয়াল অথবা ট্রাইজেমিনাল নার্ভ তিগ্রস্ত হতে পারে। এর পাশাপাশি অন্যান্য নার্ভও তিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যেমন কিউটেনাস নার্ভ।
পরামর্শ : যেসব রোগ থেকে কোনো নার্ভ তিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে সেগুলোর ব্যাপারে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। রোগের শুরুতেই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হলে এ রোগের ঝুঁকি থেকে অর্থাৎ ক্রেনিয়াল মনোনিউরোপ্যাথি-৩ (ঈৎধহরধষ সড়হড়হবঁৎড়ঢ়ধঃযু-ওওও) অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
লেখক : অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (চক্ষুরোগ বিভাগ, পিআরএল), ঢাকা মেডিক্যাল
কলেজ ও হাসপাতাল

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন