জেনে নিন মেয়েরা বেশি বিয়ে করতে পারবেনা কেন ?
পুরুষ/নারীর একাধিক বিয়ে প্রসঙ্গ:
একবার এক ভদ্র মহিলা এক আলেমের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করলেন, পুরুষ যদি একাধিক বিয়ে করতে পারে তাহলে নারী কেন পারবেনা? আলেম তাকে পরের দিন আবার আসতে বললেন এবং আসার সময় চারটি পেয়ালায় চারটি ছাগলের দুধ নিয়ে আসতে বললেন। মহিলা পরের দিন আলেমের কথা মত চারটি পেয়ালায় চারটি ছাগলের দুধ নিয়ে হাজির হল। তখন আলেম উক্ত মহিলাকে চারটি পেয়ালার দুধ এক পেয়ালায় নিতে বললেন, মহিলাটি তাই করলো। আলেম এবার মহিলাকে বললেন দুধগুলো আবার আলাদা করে যে ছাগলের দুধ যে পেয়ালায় ছিল, ঠিক সে পেয়ালায় রাখতে। তখন মহিলা প্রশ্ন করলেন এটা কিভাবে সম্ভব?
তখন আলেম তার আগের দিনের প্রশ্নের উত্তর দিলেন,
১. যেভাবে এই চারটি ছাগলের দুধ এক পেয়ালায় নেয়ার পর আবার আলাদা করা সম্ভব নয়, ঠিক তেমনি একজন নারীর যদি একসাথে চারজন স্বামী থাকে তাহলে তার সন্তানের বাবা কে তাও নির্ণয় করা সম্ভব নয়। কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে চারজন স্ত্রী থাকলে তার সন্তানের মা কে তা নির্ণয় করা সহজে সম্ভব।
২. যদি নারীর কোন সন্তান প্রতিবন্ধী, রোগাক্রান্ত বা দুর্বল হয় তখন সব স্বামী তার পিতৃত্ব অস্বীকার করতে পারে। কিন্তু মাতৃত্ব অস্বীকারের সুযোগ নেই। আর যদি সন্তান সুস্থ সবল আর মেধাবী হয় তখন সব স্বামী তার পিতৃত্ব দাবী করতে চাইবে কিন্তু মাতৃত্বের ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই।
৩. স্ত্রীর যৌবন বয়সে সব স্বামী তাকে বেশি বেশি কাছে পেতে চাইবে। কিন্তু স্ত্রী বৃদ্ধ হলে বা রোগাক্রান্ত হলে সবাই স্ত্রীর ভরণপোষণ, চিকিৎসা ইত্যাদি দায়িত্ব অস্বীকার করতে বা অন্যের উপর চাপাতে চাইবে।
১. যেভাবে এই চারটি ছাগলের দুধ এক পেয়ালায় নেয়ার পর আবার আলাদা করা সম্ভব নয়, ঠিক তেমনি একজন নারীর যদি একসাথে চারজন স্বামী থাকে তাহলে তার সন্তানের বাবা কে তাও নির্ণয় করা সম্ভব নয়। কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে চারজন স্ত্রী থাকলে তার সন্তানের মা কে তা নির্ণয় করা সহজে সম্ভব।
২. যদি নারীর কোন সন্তান প্রতিবন্ধী, রোগাক্রান্ত বা দুর্বল হয় তখন সব স্বামী তার পিতৃত্ব অস্বীকার করতে পারে। কিন্তু মাতৃত্ব অস্বীকারের সুযোগ নেই। আর যদি সন্তান সুস্থ সবল আর মেধাবী হয় তখন সব স্বামী তার পিতৃত্ব দাবী করতে চাইবে কিন্তু মাতৃত্বের ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই।
৩. স্ত্রীর যৌবন বয়সে সব স্বামী তাকে বেশি বেশি কাছে পেতে চাইবে। কিন্তু স্ত্রী বৃদ্ধ হলে বা রোগাক্রান্ত হলে সবাই স্ত্রীর ভরণপোষণ, চিকিৎসা ইত্যাদি দায়িত্ব অস্বীকার করতে বা অন্যের উপর চাপাতে চাইবে।
এছাড়া ইসলামে চারটি পর্যন্ত বিয়ে করার জন্য পুরুষকে অনুমতি দিয়েছে, করতে বলেনি। করার জন্য অনুমতি দেয়া আর করার নির্দেশ দেয়া এক কথা নয়। সেই অনুমতিও শর্তসাপেক্ষে। পবিত্র কুরআনের সুরা নিসায় একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে স্পস্ট করে ন্যায় বিচারের শর্তের কথা বলা হয়েছে। অর্থ্যাৎ কোন পুরুষ তখনই একাধিক বিয়ে করতে পারবে, যদি সে সব স্ত্রীর প্রতি ন্যায়/সমান বিচার করার মত ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। আর সে ন্যায় বিচার শুধু ভাত-কাপড় বা ভরণ-পোষণের ন্যায় বিচার নয়। সে ন্যায় বিচার প্রেম-ভালোবাসা, আদর, যত্নেরও ন্যায় বিচার বা সমান বিচার।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাস্তবে কতজন পুরুষের সব স্ত্রীর প্রতি সমান বিচার করার মত সাহস বা ক্ষমতা আছে? ভাত-কাপড় বা ভরণ পোষণ হয়তো সে সমানভাবে দিল, কিন্তু ভালোবাসা? একাধিক স্ত্রীর মধ্যে যে স্ত্রীর বয়স কম হবে বা যে দেখতে বেশি সুন্দরী হবে তার প্রতি স্বামীর দুর্বলতা বেশি হবে, অপরদিকে যার বয়স বেশি বা যে দেখতে কম সুন্দরী তার প্রতি স্বামীর ভালোবাসাও কম থাকবে।
মেধাবী বা বুদ্ধিমতি স্ত্রীকে স্বামী বেশি ভালোবাসবে, অপেক্ষাকৃত বোকা হলে সে ভালোবাসা কম পাবে। তাহলে তো ন্যায়/ সমান বিচার হবেনা। এছাড়া যদি কেউ একাধিক বিয়ে করতে চায় সেক্ষেত্রে বর্তমান স্ত্রীর সম্মতিরও দরকার হবে।
মেধাবী বা বুদ্ধিমতি স্ত্রীকে স্বামী বেশি ভালোবাসবে, অপেক্ষাকৃত বোকা হলে সে ভালোবাসা কম পাবে। তাহলে তো ন্যায়/ সমান বিচার হবেনা। এছাড়া যদি কেউ একাধিক বিয়ে করতে চায় সেক্ষেত্রে বর্তমান স্ত্রীর সম্মতিরও দরকার হবে।
তাই একসাথে চারটি বিয়ে/একাধিক বিয়ের কথা বলা যত সহজ, এর শর্ত রক্ষা করা তত সহজ নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন