সবাইকে স্বাগতম

এই ব্লগ সাইট ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না এ পেইজ গুরে আসার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলে আবার আসবেন। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। )

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে বিরক্তিকর অবস্থা সমস্যা দূর করে ফেলুন খুব তাড়া তাড়ি!

    ***সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে বিরক্তিকর অবস্থা সমস্যা দূর করে ফেলুন খুব তাড়াতাড়ি!


আবহাওয়ার পরিবর্তনে সবচেয়ে বিরক্তিকর হলো সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে থাকে। সারাক্ষণ সবার সামনে নাক টানা আর নাক মুছতে থাকাটা ভীষণ বিরক্তিকর। নাক বন্ধ হয়ে অস্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে তো সমস্যা হয়ই, অনেকের শরীরের পাশাপাশি মেজাজটাও খারাপ হয়ে থাকে। নাকের এই সর্দি দূর করার জন্য আপনি বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। কিছু পদ্ধতিতে নাক দ্রুতই পরিষ্কার হয়ে যাবে।চটজলদি কয়েক মিনিটের মধ্যেই নাক পরিষ্কার করে ফেলার দুটি পদ্ধতি আজ আপনাদের জানিয়ে দেবো।জিভের ডগা দিয়ে চাপ দিন আপনার ওপরের পাটির দাঁতের গোড়ায়। এরপর জিভ সরিয়ে নিন এবং সঙ্গে সঙ্গেই আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিন কপালে দুই ভুরুর মাঝে। ২০ সেকেন্ড ধরে এই কাজটি বারবার করতে থাকুন।জিভ দিয়ে চাপ দিন এবং এর পর পরই কপালে চাপ দিন। এতে নাক বন্ধ ভাবটা কেটে যাবে। কারণ এই কাজটি করলে একটি হাড়ে নাড়া পড়ে। ফলে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়াটা কেটে যায়।মাথা পেছনের দিকে হেলিয়ে দিন। এরপর নাক চেপে ধরে নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখুন যতক্ষণ সম্ভব। যখন দেখবেন আর পারছেন না,তখন নাক ছেড়ে মাথা সোজা করে বড় একটা নিঃশ্বাস নিন। নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখলে আমাদের শরীর বুঝতে পারে বাতাসের অভাব হচ্ছে। ফলে সে নিজে থেকেই নাক পরিষ্কার করে ফেলে।এছাড়াও বেশকিছু পদ্ধতিতে আপনি সর্দিতে আটকে থাকা নাক থেকে মুক্তি পেতে পারেন।স্যালাইন ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করতে পারেন। গবেষণায় দেখা যায়,বাচ্চাদের জন্য এটা খুব কার্যকরী

বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২০

শীতে হাত-পা ঘামা ও দুর্গন্ধ রোধে

 শীতে হাত-পা ঘামা ও দুর্গন্ধ রোধে

শীতে আসলে অনেকেরই হাত-পা ঘামে। ফলে পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ। আবার পা ঘেমে যাওয়ার কারণে এ থেকে সৃষ্টি হতে-পারে দুর্গন্ধ। এ নিয়েও অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় অনেককে।

হাত-পা ঘামার কারণহাত-পা কেন ঘামে তার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও বের করা যায়নি। তবে বংশগতভাবে এ রোগ থাকা, শরীরের ভেতরের ভারসাম্যহীনতা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা প্রভৃতি কারণে হাত-পা ঘামতে পারে। পা ঘামা কোনো রোগ নয় বরং এ থেকে নানা ধরনের রোগের উদ্ভব ঘটে থাকে। অনেকের শুষ্ক আবহাওয়ায় পা ঘামে আবার কারও কারও ক্ষেত্রে বছরজুড়ে। এ কারণেই পায়ে দুর্গন্ধ হয়।
পায়ের দুর্গন্ধের কারণপায়ের দুর্গন্ধের প্রধান কারণ পায়ের ঘাম। ঘেমে যাওয়া পায়ে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। এছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জুতার ভেতর থেকে ঘাম বেরোতে পারে না। অনেকক্ষণ এমন অবস্থায় থাকার ফলে পা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এছাড়া জুতা ও মোজা নিয়মিত না পরিষ্কার করলেও পা ও জুতা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে।
পায়ের দুর্গন্ধ রোধেচামড়ার জুতায় গন্ধ ছড়ায় না। জুতা কেনার আগে এর শুকতলাটা দেখে নেবেন যেন তা ভালো হয়। জুতার এই অংশই ঘাম টেনে নেয়। অনেকটা সময় ব্যবহারের ক্ষেত্রে কাপড়ের জুতা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। মোজা কেনার ক্ষেত্রে দেখে নিন যেন তা সুতির তৈরি হয়, প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য কয়েক জোড়া মোজা রাখুন। একদিন ব্যবহারের পর তা ধুয়ে ফেলুন।—সব সময় পা পরিষ্কার রাখতে হবে।—বাইরে থেকে এসে পায়ে শ্যাম্পু লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পরিষ্কার করে শুকনো তোয়ালে দিয়ে পা মুছে ফেলতে হবে।—প্রতিদিন ব্যবহার করা মোজা ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে।—যাদের পা বেশি মাত্রায় ঘামে, তারা বেশি ঘাম শোষণ করতে পারে এমন জুতা কিনতে পারেন।—জুতা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জুতার মধ্যে মাঝে-মধ্যে পাউডার দিতে পারেন। মাঝে-মধ্যে জুতা রোদে দিয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নেবেন।—সুতি মোজা ব্যবহার করাই ভালো কারণ এতে পা কম ঘামে ও ঘাম শোষণ করে।—সকালে গোসল করার পর পা আলতো করে মুছে ভেসলিন একটু হাতে নিয়ে দু-পায়ে মাখুন। পায়ের আর্দ্রতা থাকা অবস্থায় ভেসলিন মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।—পা সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত। বাইরে থেকে ফিরে হালকা গরম পানিতে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রেখে যেকোনো ধরনের শ্যাম্পু ৫ মিলিগ্রাম গুলিয়ে ফেনা তুলে ঘষে ঘষে পা পরিষ্কার করুন। এরপর তোয়ালে দিয়ে ভালোভাবে পা মুছতে হবে।—যাদের পা ঘামে মাত্রাতিরিক্ত এবং গন্ধও ছড়ায় তারা পায়ের জন্য ফ্রেড লোশন লাগাতে পারেন। জুতা পরার এক ঘণ্টা আগে এটি পায়ে মাখতে হবে। এরপর জুতা পরুন।—পা সব সময় শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। ভালো মানের জুতা ব্যবহার করুন। জুতা এবং মোজা পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।—চর্মরোগে অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করুন।—ঘাম রোধে ওষুধ ও ফুটবাথ নিন।—জুতায় দুর্গন্ধ রোধে ইনসোলের নিচে দুটি করে ইউক্যালিপটাস পাতা বা দুই টুকরো মেনথলও রাখতে পারেন। এতে দুর্গন্ধ কমে যাবে।—তবে যদি শীত-গ্রীষ্ম যেকোনো ঋতুতে হাত-পা ঘামতে থাকে তবে হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

সংগৃহীত





সংগৃহীত সংগৃহীত 

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯

অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে কি করবেন জানেন কি ?


Image result for অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ

স্বপ্নদোষের হওয়ার সাথে যৌন উত্তেজক কোনো স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে অথবা নাও থাকতে পারে। 
আবার অনেক সময় পুরুষদের লিঙ্গ উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটে যেতে পারে। 
যদিও স্বপ্নদোষ হওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু এটি যখন অতিরিক্ত পরিমানে হতে থাকে তখন কিন্তু 
রোগেরই পূর্বাবাস দেয়। 
আর সেই সময় স্বপ্নদোষের কারনে পুরুষের নানা প্রকার শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় হস্তমৈথুন এবং স্বপ্নদোষ আনুপাতিক হারে বিপরীতমুখী। অর্থাৎ হস্তমৈথুন করলে কিছু কিছু পুরুষের স্বপ্নদোষ হ্রাস পায়। কিন্তু এটা করা আরো ক্ষতিকর। একসময় হস্তমৈথুন করার অভ্যাসটাই একজন পুরুষের যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলে। অতিরিক্ত হ্স্তমৈথুনের ফলেও কিছু শারীরিক, মানসিক এবং হরমোনজনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে যা এই ধরনের স্বপ্নদোষকে পুরুষের স্থায়ী পুরুষত্বহীনতা এবং লিঙ্গত্থানহীনতার মত মারাত্মক জটিল রোগের সৃষ্টি করতে পারে। পুরুষের শরীরে বীর্য প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীতে শারীরিক মিলন বা হস্তমৈথুনের সময় চরম তৃপ্তির পর্যায়ে পুরুষের শরীর থেকে নির্গত হয়ে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে পুরুষের টেষ্টষ্টোরেন হরমোন অধিক পরিমান অর্থাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত বীর্য তৈরি করে এবং একই সাথে স্পিংটার পেশী এবং স্নায়ু দুর্বল করে দেয় যার ফলে বীর্য যৌনতন্ত্রে আটকে যায়।

বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

চোখের রোগ ক্রেনিয়াল নার্ভ পালসি

ক্রেনিয়াল নার্ভ পালসি

ক্রেনিয়াল নার্ভ পালসি  চোখের এমন একটি সমস্যা যেখানে এক বা একাধিক ক্রেনিয়াল নার্ভ সংযুক্ত থাকে। মাংসপেশি অবশ হয়ে গেলে অথবা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এ রোগ দেখা দেয়। ফলে মাংসপেশিতে হঠাৎ করে খিঁচুনিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। ক্রেনিয়াল নার্ভের সঙ্গে সংযুক্ত মাংসপেশিগুলো সহজেই চিহ্নিত করা যায়। যেমন মুখের মাংসপেশির সঙ্গে যুক্ত থাকে। এতে এ রোগ হলে মুখের আকারের পরিবর্তনে দেখা যায়। এ রোগে আক্রান্তদের হাসতে, চোখ নড়াচড়া করতে এবং অন্যান্য মুখভঙ্গি করতে ভীষণ অসুবিধায় পড়তে হয়।

মুখ বাঁকা রোগ

মুখ বাঁকা রোগ 


হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়া

মুখ বাঁকা রোগ

একদিন ঘুম থেকে জেগে দেখলেন হঠাৎ মুখের এক দিক বেঁকে গেছে। কথা বলতে গিয়ে বা হাসতে গেলে ঠোঁটটা বিশ্রীভাবে একদিকে ঝুলে পড়ছে, মুখের এক দিক আর নাড়তে পারছেন না। এমন অবস্থাকে সবাই বলে থাকেন যে ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়েছে।
আসলে স্ট্রোক বা পক্ষাঘাতেও মুখ বেঁকে যেতে পারে বইকি, যখন দেহের একটি দিক পুরোপুরি পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা প্যারালাইসিস হয়ে যায় তখন এর সঙ্গে মুখও আক্রান্ত হয়। কিন্তু পক্ষাঘাত ছাড়াও এমন ঘটনার কারণ স্নায়ুগত সমস্যা। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর নাম বেলস পালসি।
কী হয় বেলস পালসিতে?
ফেশিয়াল নার্ভ বা মুখমণ্ডলের স্নায়ু আমাদের মুখের পেশিগুলোতে নিয়ন্ত্রণ করে। কোনো কারণে এই স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে মুখের পেশি শক্তি হারায় ও মুখ বেঁকে যায়। এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো হারপিস ভাইরাস সংক্রমণ। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, স্ট্রোক ইত্যাদি কারণেও ফেশিয়াল নার্ভ অকার্যকর হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো কারণ নির্ণয় করা যায় না। তখনই একে বলা হয় বেলস পালসি। বেলস পালসি হলে মুখের এক দিকটা ঝুলে পড়ে, পেশি নাড়ানো যায় না, চোখ খুলতে ও বন্ধ করতে সমস্যা হয়। অনেক সময় চোখ খুলেই থাকে। খেতে গিয়ে মুখের এক দিক দিয়ে সব পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। চেষ্টা করেও কপাল কোঁচকানো যায় না। কখনো কানের ভেতর বা পেছনে ব্যথা হয়, কানে বেশি শোনা যায়। জিবের স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
চিকিৎসা কী?
যত দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন, ততই ভালো। কেননা, স্টেরয়েড বা অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শুরু করলেই সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়া চিকিৎসক বিশেষ ধরনের ব্যায়াম শিখিয়ে দেবেন, যা দিনে কয়েকবার করতে হবে। এই সময় চোখ ও মুখের যত্ন নিতে হবে। যেহেতু চোখ সহজে বন্ধ হয় না, তাই তা শুষ্ক হয়ে যায়। চোখের ড্রপ ব্যবহার ছাড়াও বিশেষ প্যাচ ব্যবহার করে চোখ বন্ধ রাখা হয়। খাবার খেতে সমস্যা হলে ধীরে ধীরে তরল বা আধা তরল খাবার খেতে হবে। বেশির ভাগ বেলস পালসি কয়েক দিন বা কয়েক মাসের মধ্যেই সেরে যায়। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যাটা দীর্ঘমেয়াদিও হতে পারে। বেলস পালসি গুরুতর গোছের কোনো রোগ নয়, তবে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়াটাই উত্তম।  মেডিসিন বিভা, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ|
সংগ্রেহিত