সবাইকে স্বাগতম

এই ব্লগ সাইট ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না এ পেইজ গুরে আসার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলে আবার আসবেন। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। )

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

শরীরের বাজে গন্ধ দূর করার ৫ টি গৃহ চিকিৎসা


শরীরের বাজে গন্ধ দূর করার ৫ গ্হ চিকিৎসা



অপর্যাপ্ত খাদ্য, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ঘাম, শরীরচর্চা, অথবা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে সাধারণত শরীরের রাসায়নিক উপাদান সমূহের ভারসাম্যহীনতার কারণে শরীরে বাজে গন্ধ হয়। ব্যাকটেরিয়া শরীরে বাজে দুর্গন্ধের জন্য একটি বড় ভূমিকা পালন করে। কিছু কিছু শরীরের অঙ্গ, যেমন, মুখ, বগল, কুঁচকি, মুত্রথলি বা পা সব সময়েই যেন বাজে গন্ধ তৈরি হওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। শরীরের যে সব এলাকাতে আমরা বেশী ঘামি বিশেষত সেখানে বাজে গন্ধের জন্য দায়ী ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুরা একযোগে আক্রমণ চালায়। ব্যাকটেরিয়া কেবল মাত্র অম্লীয় পরিবেশে জন্মাতে পারে। যখন এমনটি ঘটে তখন আমাদের শরীর থেকে লবন এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ ঘামের মাধ্যমে নিঃসরিত হয়, এতে করে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য ভালভাবে বজায় থাকতে সহায়ক হয়। 


বেশীর ভাগ সময়ে যে কারণে শরীরে এ ধরণের রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা ঘটে থাকে তা হল অপর্যাপ্ত ও পুষ্টিহীন খাদ্য গ্রহণ এবং কিছু নির্দিষ্ট বিষাক্ত দ্রব্য এবং খাদ্য গ্রহণ যা আমাদের শরীরের এসিডিটি লেভেল পুনর্বিন্যাস করে দেয়। 
· ক্লোরোফিল (chlorophyll) এর মানব দেহে অনেক ধরণের উপকারী ভূমিকা আছে।  এটি আঁশ সমৃদ্ধ খাবার হজমে সহায়তা করে, বিষ মুক্ত করে, শরীরের সার্বিক উন্নতি করে, কোষের রোগ প্রতিরোধ এবং বিভাজন ক্ষমতা বাড়ায়, আরোগ্য লাভের সক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের বাজে গন্ধের  জন্য সবচেয়ে যা গুরুত্বপূর্ণ সেই এসিড ভিত্তিক বিক্রিয়ার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে।
 
· বেশী পরিমাণে মিষ্টি জাতীয় খাদ্য এবং পরিশোধিত চিনি গ্রহণ পরিহার করুন যা এসিডের ভারসাম্য পুনর্বিন্যাস করে এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়ায়। লাল বর্ণের মাংস আমাদের পাকস্থলীতে প্রক্রিয়াজাত হতে এবং হজম হতে অনেক বেশী সময় নেয়। পেঁয়াজ এবং রসুনের মত উদ্ভিদের আমাদের নিঃশ্বাসকে দুর্গন্ধযুক্ত করার ক্ষমতা আছে কারণ এতে অনেক বেশী পরিমাণে সালফার থাকে যা বাজে গন্ধের জন্য দায়ী। কফি এবং অ্যালকোহলের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির দ্বিমুখী কার্যকারিতা আছে এবং দুধজাত খাদ্য যাতে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন থাকে তা ব্যাকটেরিয়াকে হাইড্রজেন সালফারে পরিনত করতে পারে।
 
· আপেল সিডার ভিনেগার যখন ডিওডারেন্ট এর বদলে বগলের নীচে ব্যবহার করা হয় তখন এটি  বাজে গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে কারণ এটি চামড়ার pH (অম্লতা মাপার একক) মান কমিয়ে দেয়। ব্যাকটেরিয়া নিম্ন pH মান সম্বলিত অংশে জন্মাতে পারে না। আপনার বগল বা পায়ে তুলাতে অল্প একটু ভিনেগার নিয়ে মেখে নিয়ে পরের দিন সকালে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
 
· গন্ধ কমানোর জন্য পা এবং বগল বেকিং সোডা দিয়ে পরিস্কার করুন। বগলের নীচে শুধু বেকিং সোডা পাউডার মেখে নিন, এটি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করবে এবং ঘাম শুষে নিতে সাহায্য করবে। অল্প একটু বেকিং সোডা জুতাতে দিয়ে গন্ধ কমাতে পারেন এবং মুখের গন্ধ দূর করতে মুখে নিয়ে কুলি করতে পারেন।
 
· রোজমেরি (Rosemary) এর জীবাণু নাশক কার্যকারিতার কারণে শরীরের বাজে গন্ধ দূর করার জন্য বেশ সুপরিচিত। এই ভেষজটির মনোমুগ্ধকর সুগন্ধ আপনার পাকস্থলিকে স্বস্তি দান করতে ব্যবহার করা যায়। আপনার খাদ্য তালিকার চা তে এটি মিশিয়ে গ্রহণ করলে পৌষ্টিক নালীর বেশ উপকার হয় এবং এর জীবাণু নাশক বৈশিষ্ট্যের কারণে চামড়ার উপরের অপ্রত্যাশিত ক্ষুদ্র জৈব জীবাণু থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এক আউন্স পরিমাণ পানিতে ৮-১০ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে প্রয়োগ করুন।


জেনে নিন গরমে ঘামের দূর্গন্ধ দূর করার কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়

গরমের দিনে দেহে এতো বেশি ঘাম হয় যে যে মাঝে মাঝে এই ঘামের দুর্গন্ধ অসহ্যকর হয়ে ওঠে এবং অনেক জায়গাতেই অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়। তবে সকলের দেহের ঘামের পরিমাণ একরকম হয়না। কেউ বেশি ঘেমে থাকেন আবার কেউ কম। দেহে ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধির কারণেই ঘামে দুর্গন্ধ দেখা দেয়। তাই দেহের এই অস্বস্তিকর সমস্যা রোধ করার জন্য ঘরোয়া উপায়েই কয়েকটি কাজ করে নিন।
শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ প্রতিরোধে করনীয়ঃ

০১. আর্ম পিট- আর্ম পিট বা বগলে এপোক্রাইন গ্ল্যান্ড অনেক বেশি থাকে। ফলে ঘামের উৎপত্তি এখানে অনেক বেশি।

• আর্ম পিট পরিষ্কার রাখুন – প্রতিদিন anti-bacterial সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন। এতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন কম হবে আর ঘামও কম হবে। ফাইনাল ফলাফল শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ কম হবে।

• আর্ম পিটের লোম পরিষ্কার করুন – বগলের লোম জমে থাকা ঘামকে বাষ্পীভূত হতে দেয় না, ব্যাকটেরিয়া অনেক সময় ধরে দূর্গন্ধ তৈরি করে। তাই নিয়মিত আর্ম পিট ওয়াক্স করুন।

• diodarent ব্যবহার – diodarent ত্বককে আরও বেশি এসিডিক করে তোলে, যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য অগ্রহণযোগ্য অবস্থা। Antiperspirant গ্লান্ডের sweating কার্যকারিতাকে বন্ধ করে দেয় ফলে শরীরে কম ঘাম হয়।

বেকিং সোডা
বেকিং সোডা পেস্ট বানিয়ে বগলে লাগিয়ে নিন। এটি ঘামের খারাপ গন্ধ দূর করে বগল হতে। তাছাড়া বগলের অতিরিক্ত ঘাম রোধ করার জন্য বেকিং সোডার সাথে কর্ণ ফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিতে পারেন।

গোলাপজল
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হল গোলাপজল। গোসলের পানির সাথে পরিমাণ মতো গোলাপজল মিশিয়ে নিন এবং এই উপায়টি দীর্ঘক্ষণ দেহকে ঘামের দুর্গন্ধ হতে দূরে রাখে। এবং এটিই প্রাকৃতিক ডিউডোরেন্ট হিসেবে খুব উপকারী।

গরম পানি দিয়ে গোসল করুন – প্রতিদিন অন্তত একবার গোসল করুন। মনে রাখবেন গরম পানি শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে আর যদি আবহাওয়া গরম থাকে তাহলে চেষ্টা করবেন কয়েকবার গোসল করে নিতে।

ন্যাচারাল ফাইবার যুক্ত কাপড় পরিধান করুন – সিল্ক, সুতি জাতীয় কাপড় ত্বককে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দেয়। ফলে ঘাম সহজে বাস্পায়িত হতে পারে।

লেবু এবং মধু – লেবুর সাথে মধুর সংমিশ্রণ ঘামের দুর্গন্ধ প্রতিরোধের অন্যতম প্রধান ঘরোয়া উপায়। খুবই সিম্পল ,একটি বাটিতে হালকা গরম পানি নিন, তাতে ২ টেবিল চামচ মধু আর ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস নিন। তারপর আপনার যেসব স্থান ঘামে সে সব জায়গায় এই সলিউশন দিয়ে রিন্স করে নিন। তারপর শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। লেবু শরীরে ঘামের পরিমান কমিয়ে আনে।

ঘামযুক্ত পায়ের ট্রিটমেন্ট – পায়ে ঘামের দুর্গন্ধ থাকলে জুতা খোলার সঙ্গে সঙ্গে সবার সামনে নিজেকে কি বিব্রতকর অবস্থাতেই না পড়তে হয়।

• পায়ের তালুতে গরম পানির ছোঁয়া – আগেই বলেছি গরম পানি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। তাই প্রতিদিন অন্তত একবার হালকা গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন।

• মোজা – মোজার কাপড় টা এমন হওয়া উচিত যেন বাতাস এর ভেতর দিয়ে আসা যাওয়া করতে পারে। উল আর ম্যানমেড ফাইবারের সংমিশ্রণে তৈরি মোজাই উৎকৃষ্ট। প্রতিদিন পরিষ্কার ভাবে ধোয়া মোজা পরবেন।

• জুতা – চামড়ার জুতা পায়ের ঘাম বাষ্পীভূত হতে সাহায্য করে। পর পর দুইদিন একই জুতা পরবেন না, কারণ জুতার ভেতরের ঘাম শুকানোর জন্য এক রাত যথেষ্ট না।

ভিনেগার: আপনি শুনে হয়ত অবাক হবেন যে ভিনেগার অতিরিক্ত ঘামের পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনে। রাতে ঘুমানোর আগে ভিনেগার আপনার আর্ম পিটে লাগিয়ে ঘুমান আর সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে আস্তে আস্তে আপনি ঘামের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।

নিম পাতা: নিম পাতার ব্যবহারেও ঘামের দুর্গন্ধ রোধ করা যায় সহজেই। ঘামের দুর্গন্ধ হওয়ার জন্য দেহে যে ব্যাকটেরিয়া জন্মে তা রোধ করার জন্য নিম পাতা খুব উপকারী। কিছু নিমপাতা নিয়ে তা পানিতে সিদ্ধ করে নিন। গোসল করার সময় এই পানি ব্যবহার করুন। এই পদ্ধতিটি দেহের টক্সিন রোধ করে এবং ঘামের বাজে গন্ধ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

টি ট্রি অয়েল- যদিও এটা আমাদের দেশে সহজলভ্য নয় তবুও কেও যদি পেয়ে থাকেন তবে ঘামের দুর্গন্ধ সারাবার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। টি ট্রি অয়েল ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার জন্য উপকারী। একটি স্প্রে বোতলে পানি ভরুন তারপর এর সাথে ৩ ফোটা অয়েল মিশান। প্রতিদিন গোসল করার আগে ব্যবহার করুন।

সব সময় নিজেকে শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। গোসল করার পর ভালো ভাবে শরীর শুকিয়ে ভালো মানের diodarent ব্যবহার করুন।

শশাতে পানির ভাগ বেশি থাকে যা শরীরের গন্ধ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন একটি করে শশা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ডায়টেশিয়ানের মতে সালফিউরিক সম্মৃধ খাবার যেমন ব্রকলি, বাধাকপি, ফুলকপি পরিমাণে কম খেতে হবে। কারণ এগুলোতে মিনারেল সালফার থাকে যা গন্ধযুক্ত গ্যাস আমাদের ত্বকের সাহায্যে নির্গত করে।

তাহলে কিভাবে শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করবেন এই ব্যাপারে আর কোন সংশয় থাকার কথা না। কারণ উপরের সাধারন প্রাকৃতিক উপায় আর টিপস আপনাকে মুক্তি দিবে সকল বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে আর আপনিও থাকবেন প্রতিনিয়ত ক্লিন, ফ্রেশ। লিঙ্ক 

মুখ বেশি ঘেমে যায়?

মুখ বেশি ঘেমে যায়?

mukh-3ঢাকা: গ্রীষ্মের এই দিনে যখন তখনই ঘেমে ভিজে যায় আমাদের শরীর। অথচ, গরমের যত ধকল তা যেন মুখেই সবচেয়ে বেশি। অতিরিক্ত ঘামে মুখের ত্বকে দেখা দেয় ব্রণ, হোয়াইট হেডস, ব্ল্যাক হেডস ইত্যাদির মতো সমস্যা। তাই গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া থেকে নিজের মুখকে রক্ষা করতে জেনে নিন কিছু সহজ সমাধান। * গরমের সময় ত্বকে লাগাতে পারেন ত্বককে ঠাণ্ডা রাখতে সক্ষম ময়শ্চারাইজার। তবে গরমের কষ্ট রুখতে ময়েশ্চারাইজার লাগানোর আগে ত্বকে বরফ ঘষে নিতে পারেন। * সপ্তাহে দুই দিন বাড়িতে তৈরি ফেসিয়াল স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। চালের গুঁড়ার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট অপেক্ষার পর হালকা ম্যাসেজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুখে ঘাম হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে সহজেই। * প্রতিদিন এক চামচ মধুর সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। পনের মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। * বাহিরে বের হওয়ার ১৫ মিনিট আগে এসপিএফ ৩০ এর উপরে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন, তাহলে আর মুখ ঘেমে যাওয়ার প্রবণতা থাকবে না। * বাহিরে বের হওয়ার সময় সঙ্গে পানি রাখুন। পর্যাপ্ত পানি পানে ত্বকের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়। লিঙ্ক 

গরমে করণীয় জেনে নিন

গরমে করণীয় 

ডাঃ মো: সাদিকুর রাহমান ( রেসিম), ঢাকা: তীব্র গরমে জনজীবন পুরোই অস্থির। অসহ্য গরমে নিজেকে আড়ালে রাখা প্রায় অসম্ভব। তবুও নিয়ম করে কিছু নিয়ম পালন করলে আমরা কিছুটা উপকৃত হব নিশ্চয়….

১. বেশী বেশী পানি পান করবেন। তবে ঠান্ডা পানি অতিরিক্ত খাবেন না। প্রয়োজন হলে পানির বোতল সঙ্গে রাখুন। খুব প্রয়োজন না হলে বাহিরে থেকে পানি কিনে খাবেন না।
২. অতিরিক্ত ঘাম এর ফলে শরীরে প্রচুর লবন এবং পানির ঘাটতি হয়। এই ঘাটতি পূরণ করাতে পারেন খুব সহজেই। এক্ষেত্রে খাবার স্যালাইন আপনার জন্য খুবই সহায়ক হবে। তবে খাবার স্যালাইনটি মেয়াদউত্তীর্ণ কি না যাচাই করে নিবেন।
৩. তূলনামূলক ঢিলেঢালা কাপড়, সূতি কাপড় আপনার পছন্দের তালিকায় থাকা উচিৎ।
৪. বাহিরে যাওয়ার সময় ছাতা নিতে ভুলবেন না। এটা আপনাকে কিছুটা প্রশান্তি দেবে অন্তত একটু তীব্র দাবদাহ থেকে।
৫. খাবারের তালিকায় শাক সবজির পরিমাণ বাড়ান। এক্ষেত্রে মৌসুমী ফলমূলগুলো আপনাকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।
৬. বাহিরে থেকে এসেই হাত মুখ ধুয়ে ফেলবেন। বাহিরে থেকে এসেই গোসল করবেন না। একটু জিরিয়ে নেবেন। আর যারা দুই বা ততোধিকবার গোসল করার অভ্যাস রাখেন তারা অন্তত মাথার চুলগুলো তাড়াতাড়ি মুছে ফেলবেন।
৭. ত্বকের ব্যাপারে যারা অতিরিক্ত সচেতন, বাজারে অনেক ধরনের সান স্ক্রিন পাওয়া যায়, এসব বেশী ব্যবহার করবেন না। সান স্ক্রিন এর কার্যকারিতা অল্প সময়ের জন্যই হয়। ফেসওয়াস ব্যবহার করুন।
৮. কাপড় নিয়মিত ধুয়ে ফেলুন। ব্যস্ততার কারণে সময় হয়ে ওঠে না ঠিকিই তবুও চেষ্টা অন্তত করাই যায়। প্রতিদিনই পরিধেয় কাপড় পরিবর্তন করুন।
৯. উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ঠজনিত রোগে যারা নিয়মিত ভুগছেন, তারা নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ ও নিয়ম মেনে চলবেন।
১০. বাচ্চা এবং বয়স্ক মানুষের প্রতি খেয়াল রাখবেন। এই দুই বয়সের অথবা দুই প্রজনোম মানুষ অনেক সময় আমাদেরই ব্যস্ততার কারণে অবহেলিত থেকে যায়।
পরিশেষে আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করছি। সতেজ থাকুন এবং সুন্দর থাকুন।
সংগৃহীত 

সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৬

শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৬

না পড়লে বুঝতে পারবেন না দেশে কি চলতেছে ।

না পড়লে বুঝতে পারবেন না দেশে কি চলতেছে ।


১৭ মার্চ বিকেল বেলা আমরা বন্ধুরা মিলে সংসদ ভবন এলাকায় আড্ডা দিতে গেলাম, ওখানে গল্প করতে করতে রাত প্রায় ৮টা বাজে, আড্ডা শেষে সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে আসতেছি এমন সময় চোখে পরলো এক ঘটনা , লাইনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে যৌন কর্মী মহিলারা । ওরা এমন পরিবেশে দাঁড়িয়ে আছে যেন কোন মুসলিম পরিবারের সুন্দরী পর্দা শীল নারী । অথছ সংসদ ভবনের এমন একটা এলাকায় যৌন কর্মীর মেলা । যেখানে সারাদিন পুলিশ হাটাচলা করে, আমার কথা সেখানে না, আমার কথা হচ্ছে তাদের কারনে কি আমাদের মা বোনদের পর্দা করে গর থেকে বের হলে সমস্যায় পড়তে হয়না ? এটা কি আসলে কারো চোখে পড়ে না নাকি দেখেও না দেখার বান করে থাকে ? অরাতো পর্দার মানসম্মান সব দুলয় মিসিয়ে দিল । এ বিষয়ে কারো মাথা বেথা আছে । এদের বিরুদ্দে কি আমরা মুসলিম ভাইয়েরা কোন পতিবাদ করতে পারি না । আমি মনে করি আপনারা যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে আমার কথাটা গুরুত্তের সাথে দেখবেন ।

মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৬

নতুন এবং পুরাতন সবার জন্য বাংলা যুক্তবর্ণ লেখার লিস্ট

নতুন এবং পুরাতন সবার জন্য বাংলা যুক্তবর্ণ লেখার ফাইনাল লিস্ট


কি র্বোডে বাংলা টাইপ করতে হয়ে যুক্তবর্ণ  জানা আবশ্যক। যুক্তবর্ণ  বলতে একাধিক ব্যঞ্জনবর্ণের সমষ্টিকে বোঝানো হয়েছে। বাংলা লিখনপদ্ধতিতে যুক্তবর্ণের একটি বিশেষ স্থান আছে। এগুলি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উপাদান বর্ণগুলির চেয়ে দেখতে ভিন্ন, ফলে নতুন শিক্ষার্থীর এগুলি লেখা আয়ত্ত করতে সময়ের প্রয়োজন হয়।
যুক্তবর্ণগুলি বাংলা লিখন পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য। উচ্চারিত ধ্বনির সাথে এগুলির উপাদান ব্যঞ্জনবর্ণের নির্দেশিত ধ্বনির সবসময় সরাসরি সম্পর্ক না-ও থাকতে পারে। যেমন - পক্ব -এর উচ্চারণ পক্‌কো; বানানে ব-ফলা থাকলেও উচ্চারণে ব ধ্বনিটি অনুপস্থিত। রুক্ষ-এর উচ্চারণ রুক্‌খো; বানানের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষ যুক্তবর্ণটি ক ও ষ-এর যুক্তরূপ হলেও উচ্চারণ হয় ক্‌খ। বানান ও ধ্বনির এই অনিয়মও শিক্ষার্থীর জন্য যুক্তবর্ণের সঠিক ব্যবহারে একটি বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
নিচের যুক্তবর্ণের তালিকাটি বাংলা সঠিকভাবে লিখতে সহায়ক হতে পারে। এখানে বাংলায় ব্যবহৃত ২৮৫টি যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন যুক্তবর্ণ সম্ভবত বাংলায় প্রচলিত নয়।
1. ক্ক = ক + ক; যেমন- আক্কেল, টেক্কা
2. ক্ট = ক + ট; যেমন- ডক্টর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
3. ক্ট্র = ক + ট + র; যেমন- অক্ট্রয়
4. ক্ত = ক + ত; যেমন- রক্ত
5. ক্ত্র = ক + ত + র; যেমন- বক্ত্র
6. ক্ব = ক + ব; যেমন- পক্ব, ক্বণ