সবাইকে স্বাগতম

এই ব্লগ সাইট ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না এ পেইজ গুরে আসার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলে আবার আসবেন। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। )

সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০১৬

হাতের চামড়া উঠা বন্ধ করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি

@

হাতের চামড়া উঠা বন্ধ করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি

ধরুন, আপনার প্রিয়জন কোন আবেগঘন মূহুর্তে আপনার হাত স্পর্শ করে তালুতে মরা চামডার খোঁচা খেল ! কেমন হবে ব্যাপারটা ? কিংবা ধরুন, কোন ডিল শেষে আপনার ক্লায়েন্ট আপনার সাথে হ্যান্ডশেক করতে গিয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকাল। ব্যাপারটা কি আপনার জন্য খুব একটা ইতিবাচক হবে ?
শীতের শুরুতে অনেকেই একটা সাধারণ সমস্যায় ভোগেন- হাতের চামড়া মরা অর্থাৎ হাত খসখসে হয়ে চামড়া উঠে যাওয়া। যদিও ছেলে-মেয়ে উভয়ের হাতেই এই সমস্যা হতে পারে, তবে এটা সচারচর ছেলেদের হাতেই বেশি দেখা যায়। যারা এই সমস্যায় ভুগেন, প্রায়ই তাদের বিভিন্ন জায়গায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।

হাতের চামড়া উঠা বন্ধ করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন

♦ প্রথমেই হাতের মরা চামড়া তুলে নিতে হবে। মরা চামড়া তুলতে ঘরে তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। স্ক্রাব তৈরি করতে- ২চা চামচ গুড়ো দুধ, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ টেবিল চামচ চিনি একত্রে খুব ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। ভাল ফলাফল পেতে পেস্টের সাথে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে তা হাতে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। ১০-১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল করে ঘষে ঘষে হাত ধুয়ে নিন।
♦ স্ক্রাবিং শেষে হাতে অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল সমপরিমাণে মিশিয়ে লাগাতে হবে। এতে হাতের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
♦ হাতের চামড়া অত্যাধিক পরিমাণে রুক্ষ হলে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এর বদলে ময়েশ্চারাইজযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। অথবা কাঠ বাদামের মাস্ক লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটা হাতের ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
♦ সপ্তাহে অন্তত ১ দিন হাতে ঘৃতকুমারীর বা অ্যালোভেরার রস মালিশ করে করুন। প্রতি ১০ দিনে একবার হাতে গরম বাষ্পের ভাপ দিন। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে তিলের তেল, গ্লিসারিন আর গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে হাতে মালিশ করতে পারেন। এতে করে হাতের চামড়া কোমল থাকবে।
♦ হাতে চামড়া উঠা সমস্যার আরেকটি কার্যকরী প্রাকৃতিক সমাধান হলো- জবা ফুল। ২-৩ টি জবা ফুল হাতে ঘষে রেখে আপনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারেন। যতক্ষণ সম্ভব ম্যাসেজটা হাতে রাখুন। দিনে দুই বার করে টানা কয়েকদিন জবা ফুল ট্রিটমেন্ট চালাতে পারেন। এটা অবশ্যই কাজ দেবে।
♦ প্রচুর পানি পান করুন। শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি এসিডের (যেমন- ওমেগা-৩) চাহিদা মেটাতে মাছ, বাদাম ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখুন। বেশি করে সবুজ শাক-সবজি আর রঙিন ফলমূল খান।
এসবের পরেও হাতের চামড়া উঠা সমস্যার সমাধান না হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

হাত ও আঙুলের অবশ ভাব ও ব্যথা

হাত ও আঙুলের অবশ ভাব ও ব্যথা
হাত শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি। সূক্ষ্ম থেকে স্থূল সব ধরনের কাজ হাতের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হয়ে থাকে। হাতের সুস্থতা সবারই কাম্য। হাতের বিভিন্ন ধরনের রোগ বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। হাত ও আঙুলের ব্যথা, অবশ ভাব এবং দুর্বলতা উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ধরনের উপসর্গ হাতের লোকাল বা স্থানীয় এবং রেফার্ড বা দূরের কোন রোগ হতে আসতে পারে। ‘কার্পাল টানেল সিনড্রোম' (Carpal Tunnel Syndrome) এমন একটি হাতের স্নায়ু (নার্ভ) রোগ যা অধিকাংশ সময় অবশ ভাব, ব্যথা এবং দুর্বলতা উপসর্গ নিয়ে দেখা দেয়। ‘মিডিয়ান' নামক স্নায়ু (নার্ভ) চামড়ার অনুভূতি প্রদান এবং হাত ও আঙুলের পেশী মুভমেন্ট করে। এই নার্ভটি আরো ৯টি পেশীর টেনডনসহ কব্জির একটি টানেলের ভেতর দিয়ে নিম্নবাহু থেকে হাতে প্রবেশ করে। টানেলেটির তিনপাশে হাড় ও একপাশে লিগামেন্ট থাকে। যে কোন কারণে টানেলের পথ সরু হলে নার্ভের উপর চাপ পড়বে এবং রোগের উপসর্গ দেখা দিবে। ধারণা করা হচ্ছে, মহিলাদের কার্পাল টানেল সরু বিধায় পুরুষদের তুলনায় রোগ তিনগুণ বেশি হয়।
কারণসমূহ : অধিকাংশ ক্ষেত্রে কারণ জানা নেই। বংশানুক্রমিক। গর্ভাবস্থা। আর্থ্রাইটিস- রিউমাটয়েড, গাউটি ও অসটিওআর্থ্রাইটিস। ডায়াবেটিস। ইনফেকশন। টিউমার- লাইপোমা, সিস্ট, গ্ল্যানগ্লিওন ও হাড়ের টিউমার। টেনডিনাইটিস (টেনডনের প্রদাহ) ও টেনডনসিথ সাইনোভিওমা। জয়েন্ট ক্যাপসুল সাইনোভিওমা। গ্রন্থি সমস্যা- হাইপোথাইরোডিজম, একরোমেগালি। ওবেসিটি (অতিরিক্ত ওজন)। হাড়ের ফ্র্যাক্চার ও বিকৃত অবস্থায় জোড়া লাগা। পুনরাবৃত্তি কাজ যেমন কম্পিউটার অপারেটর, কারখানায়, সেলাই ও ফিনিশিং এবং মাংস, পোল্ট্রি ও মাছ প্যাকিং কাজে কর্মরত ব্যক্তি।
উপসর্গ : প্রধান হাতে প্রথম এই রোগ হয়। বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনি ও মধ্য আঙ্গুলে এবং হাতের তালুতে ব্যথা হয়। হাতের তালুতে এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনি ও মধ্য আঙ্গুলে কাঁটা, সুই ফুটানো বা ছিদ্র করার মত অনুভূতি হয়। হাত ও আঙুল জ্বলে বা পুড়ে যাচ্ছে এ রকম মনে হবে। হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠার পর হাত ও আঙুলে অবশ এবং হাত ঝাঁকি দিতে বা নাড়তে ইচ্ছে করে। কখনও কখনও অবশভাব ও ব্যথার সাথে হাত ও আঙুল ফুলে যায়। হাত দিয়ে কিছু শক্ত করে ধরা বা তোলা কষ্টকর এবং হাত থেকে জিনিস পড়ে যায়। হাত ও আঙুলে ঘাম কম হয়। বৃদ্ধাঙ্গুলের গোড়ার পেশীশক্তি শুকিয়ে যায়। বৃদ্ধাঙুলি হাতের তালুর কাছ থেকে দূরে সরানো কষ্টকর হয়। হাতের গরম বা ঠান্ডা অনুভূতি কমে যায়।
ডায়াগনোসিস : দ্রুত ডায়াগনোসিস করে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করলে চিরস্থায়ী ক্ষতি হতে রক্ষা পাওয়া যাবে। রোগীর অসুবিধা শুনে, রোগীকে শারীরিকভাবে পরীক্ষা (যেমন- ফেলেন, টিনেল ও ডারকান টেস্ট) করে এবং ল্যাবরেটরী পরীক্ষার মাধ্যমে কার্পাল টানেল সিড্রোম ও এর কারণ নির্ণয় করা সম্ভব।
রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা। কবজির এক্স-রে নার্ভ কনডাকশন (ভেলোসিটি) টেস্ট। ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি। আল্ট্রাসনোগ্রাফি এমআইআই।
কনজারভেটিক চিকিৎসা : দ্রত চিকিৎসা শুরু করতে হবে এবং কমপক্ষে ২ সপ্তাহ বিশ্রাম প্রয়োজন। প্রাথমিক রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। কাজকর্মের ধরন পরিবর্তন করতে হবে। হাত সোজা রাখার জন্য ব্রেসিং ও স্লিপিং ব্যবহার করতে হবে। বরফ/ঠান্ডা সেফ ব্যবহারে ফুলা কমে আসবে। ননস্টেরোইডাল এন্টিইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ সেবন। লোকাল স্টেরয়েড ও এনেসথেটিক ইনজেকশন পুশ করলে উপসর্গ লাঘব হবে। ভিটামিন বি-৬ এবং বি-১২ থেরাপি। ফিজিওথেরাপি- মেসেজ, স্ট্রেসিং ও পেশী শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম। ওকোপেশনাল থেরাপি- কনুই ও কিবোর্ড একই লেবেলে হতে হবে এবং মনিটর সোজা সম্মুখে রাখতে হবে।
কখন শল্য চিকিৎসার প্রয়োজন?
৬ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ভালো না হলে। অবশ ভাব বাড়তে থাকলে। হাতের পেশী শুকিয়ে গেলে হাত ও আঙুলের দুর্বলতা বৃদ্ধি পেলে।
শল্য চিকিৎসা : ওপেন কার্পাল টানেল রিলিজ- পামার ফাসা ও পামার কার্পাল লিগামেন্ট বিচ্ছেদ করা এন্ডোস্কোপিক/আর্থ্রোস্কোপিক কার্পাল টানেল রিলিজ।
শল্য চিকিৎসার পর রোগীকে স্ট্রেসিং ও পেশী শক্তিশালী হবার ব্যায়াম করতে হবে। এন্ডোস্কোপিক বা আর্থ্রের্াস্কোপিক পদ্ধতিতে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। ৯০% রোগী সার্জারীর পর পূর্বের কাজ করতে পারে। ফলাফল ভালো না হওয়ার মূল কারণ ভুল ডায়াগনোসিস। রোগের পুনরাবৃত্তি খুবই কম এবং পুনরাবৃত্তি হলে বুঝতে হবে ডায়াগনোসিস সঠিক ছিল না।
ডা. জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন
হাড় ও জোড়া বিশেষজ্ঞ এবং আর্থ্রোস্কোপিক সার্জন
ডিজি ল্যাব মেডিকেল সার্ভিসেস, মিরপুর (ইনডোর স্টেডিয়ামের সামনে), ঢাকা।
ফোন : ০১৭৪৬৬০০৫৮২

মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০১৬

২৫ বছর বয়সের আগে,যে ৮ টি কারণে বিয়ে করা উচিত নয়

২৫ বছর বয়সের আগে,যে ৮টি কারণে বিয়ে করা উচিত নয়
rupcare_woman
সকলেই ভাবেন বিয়ের সঠিক বয়স কতো? ছেলে, মেয়ে ভেদে বিয়ের বয়স সামাজিক ভাবে আলাদা তা আমরা সকলেই জানি। ছেলেরা একটু বেশি বয়সে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য, অন্যদিকে মেয়েদের পরিবারের চাপে পড়ে অনেক আছেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। যদিও আজকাল এই প্রথার কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি সমাজে।
তাহলে সত্যিকার অর্থে বিয়ের সঠিক সময় কোনটি? নারী হোক বা পুরুষ, একজন মানুষের বয়স অন্তত ২৫ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করা উচিত নয় একেবারেই। জানতে চান কী কারণে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
১) পুরোপুরি ম্যাচিউরড হয়ে বিয়ে করা উচিত
১৮ বছর বয়সে একজন মানুষ পূর্ণবয়স্ক হয়ে থাকেন। কিন্তু নারী বা পুরুষ দুজনেরই নিজের একটি সংসার সামলানোর দায় দায়িত্ব নেয়ার ক্ষমতা ২৫ এর পরই আসে এবং এটি শারীরিক নয় পুরোপুরি মানসিক ব্যাপার।
২) নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ তৈরি করতে
আমাদের দেশে ২৫ এর আগে নয় বরং ২৫ এর পরেই একজন মানুষকে একটি খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার মতো চাকুরি পেতে দেখা যায়। পুরুষদের এই সুযোগটি দেয়া হলেও অন্যের স্ত্রী হতে হয় বলে নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর এই সুযোগ বেশ কমই দেয়া হয়। কিন্তু আসলেই প্রতিষ্ঠিত হতে হলে ২৫ এর পরই বিয়ের চিন্তা করা উচিত।
৩) আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে বিয়ে করা উচিত
শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত নয় একজন মানুষের জীবনযাপনের জন্য আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমাদের সমাজে শুধুমাত্র পুরুষের এই দিকটি দেখা হয়। কিন্তু একজন নারী হিসেবেও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া উচিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
৪) পরিবারের মূল্য বুঝে বিয়ের জন্য রাজি হওয়া উচিত
২৫ বছর বয়সের আগে একজন মানুষের পক্ষে পরিবারের মূল্য কতোখানি তা সঠিকভাবে বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। প্রমাণ পেতে আশেপাশেই একটু নজর বুলিয়ে দেখুন। সদ্য গ্র্যাজুয়েট একজন মানুষ নিজেকে বুঝতেই তো সময় পার করে দেন, তিনি পরিবার কি জিনিস তা বুঝবেন কীভাবে?
৫) নিজের ভবিষ্যৎ ঠিক করে নিয়ে বিয়ের কথা ভাবা উচিত
ভবিষ্যতে কী করছেন, কোন লক্ষ্যে গিয়ে পৌঁছুবেন এবং সঠিক পথে হাঁটা শুরু করে তবেই বিয়ের কথা চিন্তা করা উচিত। তা না হলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
৬) নিজের জন্য সঠিক মানুষটি খুঁজে নিয়ে বিয়ে করুন
লাভ বা আরেঞ্জ যেভাবেই বিয়ে করুন না কেন সেটি হবে পুরো জীবনের একটি বন্ধন। সুতরাং ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। নিজের জন্য সঠিক মানুষ কোনজন তা বুঝতেও ম্যাচিউরিটির প্রয়োজন রয়েছে।
৭) দায়িত্ব নিতে শিখে বিয়ের কথা ভাবা উচিত
২৫ বছর বয়সের আগে ছাত্রজীবনে প্রায় সকলকেই একটু দায়সারা গোছের জীবনযাপন করতে দেখা যায়। তাই প্রথমে দায়িত্ব নেয়ার বিষয়টি শিখে নেয়া উচিত বিয়ের কথা ভাবার আগে।
৮) নিজেকে গুছিয়ে নিতে শিখে বিয়ে করা উচিত
বিয়ে কোনো ছেলে খেলা নয়। অনেক বড় একটি দায়িত্ব জড়িয়ে আছে এতে। বাপের বাড়ি, শ্বশুর বাড়ি এবং নিজের সংসার স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই ৩ টি সংসার সামাল দিতে হবে। তাই প্রথমে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিতে শেখা উচিত। আর এই গুছানো ২৫ বছরের পরেই দেখা যায় সকলের মধ্যে।

রাগ ও মানসিক সমস্যা |

রাগ ও মানসিক সমস্যা |


 অ্যাংগার অ্যান্ড সাইকোলজিক্যাল ডিসটারবেন্স
প্রথমেই বলা হয়েছে যে, রাগ একটি সুস্থ মানুষের স্বাভাবিক আবেগ বা ইমোশন, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। রাগ যেমন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় তেমনি তা নানা প্রকার মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রেও দেখতে পাওয়া যায়। ঘনঘন ও প্রচণ্ড রাগের সাথে মানসিক সমস্যার পরসপর যোগসূত্রতা বা স?পর্ক লক্ষ করা যায়। কেউ হয়তো বেশি আবেগপ্রবণ (সেনসিটিভ), আবার কেউ কেউ অস্বাভাবিক নীরব-পানসে, কোনো কিছুতেই কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া দেখায় না। আবেগপ্রবণতা বা নির্লিপ্ততা কমবেশি হয়তো সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের মধ্যেও দেখা যায়। কিন্তু সাইকোটিক রিঅ্যাকশন তখনই বোঝা যায় যখন ঘটনার সাথে অতিরিক্ত আবেগের প্রকাশ বা অপ্রকাশের কোনো প্রাসঙ্গিক স?পর্ক বা কারণ থাকে না এবং যেখানে আবেগের প্রকাশ হয় তীব্র এবং নীরবতাটাও হয় অস্বাভাবিক এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তা হয় সামঞ্জস্যবিহীন। এ ধরনের রোগী অকারণে তুচ্ছ ব্যাপারে হঠাৎ রেগে গিয়ে-
  • অন্য লোককে যখন-তখন আক্রমণ করে বসতে পারে
  • ক্রোধান্বিত বা রাগান্বিত হয়ে হঠাৎ উঁচু স্থান থেকে লাফ দিয়ে পড়ে হাত-পা ভাঙতে পারে
  • আবার নিজেকে আঘাত করতে পারে
  • অন্যকেও ব্যতিব্যস্ত করে তুলতে পারে
আর এদের এরকম আচরণের আগাম হদিসও পাওয়া যায় না বা বোঝা যায় না যে, অন্যের কাছে এরা কখন মারাত্মক, বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। মানসিক সমস্যায় রাগের বহিঃপ্রকাশ দারুণভাবে লক্ষ করা যায়। নানা প্রকার মানসিক সমস্যায় রাগের মাত্রাও নানা গতির, নানা প্রকৃতির হয়ে থাকে।
অনেকের ধারণা, মানসিক রোগী মাত্রই সব সময় বিপজ্জনক এবং সব সময়ই এরা উত্তেজিত বা রাগান্বিত হয়ে অন্যদের আক্রমণ করে বসে। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে এ ধরনের প্রচণ্ড রাগী মনোভাব মানসিক রোগীদের বেলায় অপেক্ষাকৃত কদাচিৎ দেখা যায়। সাধারণত দুটি কারণে মানসিক রোগীদের মধ্যে আক্রমণাত্মক ভাব ও প্রচণ্ড রাগের উদয় হয়-
  • একটি হচ্ছে, ভ্রান্ত ধারণা বা ডিলিউশন-এর বশে রোগী মনে করে যে, অন্য লোক তার ক্ষতি করবে, তাকে মেরে ফেলবে, তখন সেই কাল্পনিক শত্রুকে প্রতিহত করতে কখনো কখনো তারা প্রচণ্ড মাত্রায় উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
  • অন্যটি হচ্ছে মানসিক অসুখের কারণে উদ্ভট, আজগুবি সব চিন্তা-ভাবনার বশে রোগীর মনে হয় যে, সে বুঝি নিজেকে আপন আয়ত্তে রাখতে পারবে না, তাই এ কারণে সে হয় নিজের নয়তো অন্যের ক্ষতি করে ফেলবে-এ দ্বিধা তাকে পেয়ে বসে।
এসব উগ্র-উত্তেজিত, রাগান্বিত, ক্ষুব্ধ রোগীদের হাবভাব দেখে তাদের আপনজন এবং প্রতিবেশীরাও ভয় পেয়ে যান। তাই কখনো কখনো ঘরের মধ্যে রোগীকে আটকে রাখেন, কখনো বা তালা দিয়ে আটকে রাখেন, যাতে এরা নিজেদের এবং অন্যদের কোনো প্রকার ক্ষতি বা বিপদ ঘটাতে না পারে।
উত্তেজিত অবস্থায় রোগী যা করে তার পরিণাম বিচারের ক্ষমতা তখন তার মধ্যে থাকে না, উত্তেজনাকর সময় রোগীর মধ্যে প্রবল শক্তি দেখা গেলেও ক্রমে ক্রমে এরা আহার-নিদ্রার অভাবে শক্তিহীন হয়ে পড়ে।
নানা রকম মানসিক ব্যাধিতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হতে দেখা যায়। যেসব মানসিক রোগে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হতে দেখা যায়, যেসব মানসিক অসুখে এবং অবস্থার মধ্যে রোগীর প্রচণ্ড রাগ-উত্তেজনা দেখা যায় তা পাঠক/পাঠিকাদের বোঝার সুবিধার্থে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করা হলো-
শরীরভিত্তিক নয় এমন কঠিন মানসিক রোগ যেমন-
  • সিজোফ্রেনিয়া
  • ম্যানিয়া
  • বিষণ্নতা
  • বাইপোলার ডিসঅর্ডার
  • ইন্টারমিটেন্ট এক্সপ্লোসিভ ডিসঅর্ডার ইত্যাদি এরকম মনোব্যাধিতে প্রচণ্ড মাত্রার রাগের সৃষ্টি হতে পারে। এই রোগগুলো সাধারণত হঠাৎ করে হয়ে যায় না, একটু খোঁজ-খবর নিলেই দেখা যাবে যে এসব রোগের অন্যান্য উপসর্গ বা লক্ষণ-ইঙ্গিত আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল, পরিবারের সদস্য বা অন্যরা হয়তো তা বুঝতেই পারেনি।
শরীরভিত্তিক তীব্র স্বল্পস্থায়ী মানসিক ব্যাধি-এসব রোগে প্রচণ্ড রাগ ছাড়াও স্থান-কাল এবং পাত্রের জ্ঞান লুপ্ত হয় এবং চেতনার অবনতি ঘটে।
নানা প্রকার মাদকদ্রব্যের ব্যবহার এবং মদ্যপানের ফলে উচ্ছৃঙ্খল ও রাগান্বিত অবস্থা দেখা দিয়ে থাকে।
এপিলেপসি বা মৃগীরোগীদের ফিটের পরিবর্তে অথবা ফিটের অব্যবহিত পরে কখনো কখনো প্রচণ্ড উন্মত্ত রাগ দেখা যায়।
হিস্টিরিয়া রোগেও কোনো কোনো সময়ে ব্যক্তির বিশৃঙ্খলভাব ও প্রচণ্ড মাত্রার রাগান্বিত অবস্থা লক্ষ করা যায়।

সরাসরি দেখুন ক্রিকেট ও অন্যান্য সব খেলা

সরাসরি দেখুন ক্রিকেট ও অন্যান্য সব খেলা

আমরা যারা বিশেষ করে মেচে থাকি, ইচ্ছে থাকা সত্যেও ক্রিকেট বা অন্যান্য  খেলা দেখতে পারিনা কারন সব মেচে টিভি থাকেনা। তখন এক মাত্র ভরসা এফ এম রেডিও বা পাশের চায়ের দোকান, যেখানে টিভি আছে। যাই হোক এই সব না বলে মুল কথায় আসি। আপনি চাইলে ঘরে কিংবা বাইরে বসেও খেলা দেখতে পারেন। এখানে
দেখুন
bdlive24.ml কোন অ্যাড ছাড়াই। ধির গতির নেটেও চলবে।
আজকে বাংলাদেশ VS পাকিস্তানের খেলা দেখুন । 

গুরুত্বপূর্ণ বাংলা প্রবাদ বাক্য- ইংলিশ সহকারে




গুরুত্বপূর্ণ বাংলা প্রবাদ বাক্য- ইংলিশ সহকারে

Image result for প্রবাদ বাক্য
বোকা লোকদের শিক্ষা দিন প্রবাদ দিয়ে। বোকার মত যাহারা আপনার গায়ের ওপর এসে ঝগড়া করতে চায় তাদেরকে বুদ্ধির যোড়ে প্রবাদ বাক্য দিয়ে শিক্ষা দিয়ে দিন। 

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাংলা প্রবাদ বাক্য- ইংলিশ সহকারে 
  • অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। ⇨Too much courtesy, too much craft.
  • অতি চালাকের গলায় দরি। ⇨Too much cunning overreaches itself.
  • অতি লোভে তাঁতী নষ্ট। ⇨ Grasp all, lose all.
  • অতি দর্পে হত লঙ্কা। ⇨ Pride goes before a fall.
  • অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। ⇨A little learning is a dangerous thing.
  • অভাবে স্বভাব নষ্ট। ⇨ Necessity knows no law.
  • অসারের তর্জন গর্জন সার। ⇨Empty vessels sound much.
  • অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। ⇨ Too many cooks spoil the broth.
  • আপনা ভাল তো জগৎ ভালো। ⇨ To the pure all things are pure.
  • আপনি বাঁচলে বাপের নাম। ⇨ Self-preservation is the first law of nature.
  • আয় বুঝে ব্যয় কর। ⇨ Cut your coat according to your cloth.
  • ই‛ছা থাকলে উপায় হয়। ⇨ Where there is a will, there is a way.
  • উঠন্ত মূলো পত্তনেই চেনা যায়। ⇨ Morning shows the day.
  • উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে। ⇨ One doth the scathe, another hath the scorn.
  • উলুবনে মুক্তা ছড়ানো / বানরের গলায় মুক্তার হার। ⇨ To cast pearls before swine.
  • এক ঢিলে দুই পাখি মারা / রথ দেখা কলা বেচা। ⇨ To kill two birds with one stone.
  • এক মুখে দুই কথা। ⇨ To blow hot and cold in the same breath.
  • এক হাতে তালি বাজে না। ⇨ It takes two to make a quarrel.
  • এক মাঘে শীত যায় না। ⇨ One swallow does not make a summer.
  • কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না / দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে? ⇨ No pains, no gains.
  • কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না। ⇨ Black will take no other hue.
  • কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাস ঠাস। ⇨ Strike the iron while it is hot.
  • কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা। ⇨ To set a thief to catch a thief.
  • কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা / মরার উপর খাড়ার ঘা। ⇨ To add insult to injury.
  • কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ। ⇨ What is sports to the cat is death to the rat. OR , Nero fiddles while Rome burns. OR, Some have the hop, some stick in the gap.
  • গরু মেরে জুতো দান। ⇨ To rob Peter to pay Paul.
  • গতস্য শোচনা নাসিত্ম। ⇨ Let bygones, be bygones.
  • গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল। ⇨ To count chickens before they are hatched.
  • গায়ে মানে না আপনি মোড়ল। ⇨ A fool to others, himself a sage.
  • গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাইতে বাজাইতে বায়েন। ⇨ Practice makes a man perfect.
  •  পেটে খেলে পিঠে সয় ➫ Give me roast meat and beat with the spit.
  • লাই দিলে কুকুর মাথায় ওঠে / বসতে পেলে শুতে চায় ➫ Give him an inch and he'll take an ell.
  • হাতী ঘোড়া গেল তল , পিঁপড়া বলে কত জল / বিজ্ঞ যেথা ভয় পায় , অজ্ঞ সেথা আগে ধায় Fools rush in where angels fear to tread.  
  • কথায়  চিড়ে ভিজে না Fine words butter no parsnips.
  • বেশি মাখামাখি করলে মান থাকে না Familiarity breeds contempt. 
  •   চাচা আপন প্রাণ বাঁচা Every man is for himself. 
  •  শুণ্য কলসী বাজে বেশী । Empty vessels sound much 
  • পরিশ্রমই সৌভাগ্যের প্রসূতি Diligence is the mother of good luck. / Industry is the mother of success. 
  • পরিশ্রমই সৌভাগ্যের মূল । Diligence is the mother of good luck
  • নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা Cut off one's nose to spite one's face.
  •  উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায় Child is father to the man. 
  • তেলে মাথায় তেল দেওয়া Carry coal to Newcastle. 
  • চোরে চোরে মাসতুতো ভাই Birds of a same feather flock together. 
  • দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভাল Better an empty house than an ill tenant. 
  • ভিক্ষার চাল কাঁড়া আর আকাড়াঁ Beggars must not be choosers. 
  • ন্যাংটার নেই বাটপারের ভয় Beggar may sing before a pick- pocket. 
  •  যত গর্জে তত বর্ষে না । Barking dogs seldom bite 
  •  মাথা নেই তার মাথা ব্যাথা Bachelor's wife and maid's children are always well taught. 
  •  চক্ চক্ করলেই সোনা হয় না । All that glitters is not gold 
  • যত হাসি তত কান্না After sweetmeat comes sauce. 
  • চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে After death comes the doctor 
  •  নুন আনতে পান্তা ফুরায় । After meat comes mustard 
  • দুঃখের পর সুখ আসে After cloud comes fair weather. 
  •  ধরি মাছ না ছুঁই পানি A cat loves fish but is loath to wet her feet.
  • নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা A bad workman quarrels with his tools
  • শেষ ভাল যার সব ভাল তার ➫All's well that ends well.

( সংগৃহীত) লিংক সুত্রঃ

আজ অধিবর্ষ বা ‘লিপ ইয়ার’ ফেব্রুয়ারির ২৯, ২০১৬ ইং

আজ অধিবর্ষ বা ‘লিপ ইয়ার’ ফেব্রুয়ারির ২৯, ২০১৬ ইং



Image result for ফেব্রুয়ারির ২৯
আজ অধিবর্ষ বা ‘লিপ ইয়ার’। চার বছর পর ফেব্রুয়ারি মাস এবার বাড়তি এক দিন পাচ্ছে। এ জন্য চলতি বছর আজ ক্যালেন্ডারের পাতায় যুক্ত হয়েছে ২৯ ফেব্রুয়ারি। আজ যে শিশুর জন্ম হবে, তাকে নিজের জন্মদিন পালন করতে হবে চার বছর পর পর। লিপ ইয়ারের দিনটি বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী উদ্যাপিত হবে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে। লিপ ইয়ার নিয়ে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে ভালো-মন্দ নানা রকম ধারণা চালু আছে। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখকে জ্যোতিষীরা ‘শুভ দিন’ বলে মনে করেন। তবে বাংলাদেশের জ্যোতিষীরা জানিয়েছেন, পাশ্চাত্য ধারণা থেকেই বাংলাদেশে লিপ ইয়ার নিয়ে কিছুটা উচ্ছ্বাস কাজ করে। তবে এই দিনের আলাদা করে কোনো প্রভাব বা গুরুত্ব নেই। লিপ ইয়ার শব্দের বাংলা অর্থ ‘অধিবর্ষ’। এটি একটি বিশেষ বছর, যাতে সাধারণ বছরের তুলনায় একটি দিন জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বছরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য বেশি থাকে। শেষ লিপ ইয়ার ছিল ২০১২ সালে।

লিপ ইয়ার কেন হয়?


লিপ ইয়ার শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। লিপ ইয়ার হচ্ছে সাধারণ ধারণায় সেই বছর যা ৩৬৫ দিনের পরিবর্তে ৩৬৬ দিনে হয়। লিপ ইয়ার সম্পর্কে এই হচ্ছে আমাদের সাধারণ জ্ঞান, চলুন এবার এ সম্পর্কে আরেকটু বিশদভাবে জানি।
প্রথমেই জানা যাক, লিপ ইয়ার কেন হয় – প্রতিটি সৌর বছর ৩৬৫ না বরং প্রকৃতপক্ষে ৩৬৫.২৪২ দিনে সম্পূর্ণ হয়। এই অতিরিক্ত সময়টুকুর ভারসাম্য রক্ষার্থে বিভিন্ন ক্যালেন্ডার একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর একটি নির্দিষ্ট নিয়মে অতিরিক্ত দিন বা মাস যোগ করে। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫ সালে জুলিয়াস সিজার লিপ ইয়ার ধারণার প্রবর্তন করেন। পূর্বে রোমানদের ৩৫৫ দিনের ক্যালেন্ডার ছিল এবং বিভিন্ন উৎসব একই ঋতুতে রাখার জন্য একটি ২২ অথবা ২৩ দিনের মাস প্রতি দ্বিতীয় বছরে যোগ করা হত। সিজার নিয়মটাকে সহজ করার জন্য বিভিন্ন মাসে দিন যোগ করে ৩৬৫ দিনের বছর সৃষ্টি করলেন। মূল গণনা করেন সিজারের জ্যোতির্বিজ্ঞানী সোসিজেনেস। প্রতি ৪ বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮তম দিনের পর একটি দিন যোগ করার নিয়ম করা হয়। অর্থাৎ প্রতি চতুর্থ বছরকে লিপ ইয়ার করা হয়। ১৫৮২ সালে পোপ অস্টম গ্রেগরী ক্যালেন্ডারটিকে পরিমার্জন করেন এই নিয়মে যে লিপ ইয়ার সে বছরগুলোতে আসবে যে সকল বছর ৪ দ্বারা সম্পূর্ণরূপে বিভাজিত। কিন্তু যেহেতু একটি বছর ৩৬৫.২৫ দিনের চেয়ে একটু কম , প্রতি ৪ বছরে ১ দিন যোগ করার ফলে ৪০০ বছরে প্রায় ৩টি অতিরিক্ত দিনের সৃষ্টি হয়। তাই ৪টির মধ্যে কেবলমাত্র একটি শতাব্দী বছর লিপ ইয়ার হিসেবে পরিগণিত হয়। এ কারণে ১৭০০,১৮০০ ও ১৯০০ সাল লিপ ইয়ার ছিল না এবং ২১০০ সাল লিপ ইয়ার হবে না। কিন্তু ১৬০০ এবং ২০০০ লিপ ইয়ার ছিল কারণ ওই বছরগুলো ৪০০ দ্বারা সম্পূর্ণরূপে বিভাজিত।
বিভিন্ন ক্যালেন্ডার অনুযায়ী লিপ ইয়ার :
গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার – এই ক্যালেন্ডারই বিশ্বব্যাপী সাধারণ ক্যালেন্ডার হিসেবে প্রচলিত। এটিতে উপরোক্ত নিয়মানুসারে প্রতি ৪ বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ হয়, যা “লিপ ডে” নামে পরিচিত।
হিজরি ক্যালেন্ডার – এ ক্যালেন্ডারে বছরের শেষ মাসে প্রতি ৪ অথবা ৫ বছর অন্তর একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়।
হিব্রু ক্যালেন্ডার – হিব্রু ক্যালেন্ডার একটি চান্দ্র ক্যালেন্ডার। এই ক্যালেন্ডারে একটি ত্রয়োদশ চান্দ্র মাস যোগ করা হয় ৭ বার ১২টি চান্দ্র মাসের সাথে প্রতি ১৯ বছরে যাতে ঋতু পরিবর্তনের সাথে ক্যালেন্ডার বছরের মিল থাকে।
চাইনিজ ক্যালেন্ডার- এটিও একটি চান্দ্র ক্যালেন্ডার তাই লিপ ইয়ার এ এতে একটি অতিরিক্ত মাস যোগ করা হয় একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী।
হিন্দু ক্যালেন্ডার- সকল চান্দ্র ক্যালেন্ডারের মত এটিতেও একটি অতিরিক্ত মাস যোগ করা হয় প্রতি ২ অথবা ৩ বছর অন্তর। এই অতিরিক্ত মাসটি “অধিক মাস” নামে পরিচিত।
ইসলামিক ক্যালেন্ডার- সাধারণ ইসলামিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত “লিপ ডে” নেই তবে মধ্যযুগে ব্যবহৃত এবং বর্তমানেও কিছু মুসলিম দ্বারা ব্যবহৃত “ট্যাবুলার ইসলামিক ক্যালেন্ডার” এ একটি নিয়মিত “লিপ ডে” আছে। এই অতিরিক্ত দিন ৩০ বছর চক্রের প্রতি ১১ বছরে যোগ করা হয়।
বাংলা ক্যালেন্ডার- বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী লিপ ইয়ার এমনভাবে সাজানো হয় যাতে লিপ ডে সর্বদা গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার এর ২৯ ফেব্রুয়ারির কাছাকাছি থাকে। এতে করে উভয় ক্যালেন্ডারের মধ্যে তারিখ পরিবর্তন করা সহজ হয়।

এভাবে প্রতিটি ক্যালেন্ডারেই লিপ ইয়ার সংঘটিত হয়।
যেসব শিশুর জন্ম লিপ ইয়ারে তাদেরকে লিপার বা লিপ্লিং বলা হয়। এসকল শিশুরা তাদের প্রকৃত জন্মদিন ৪ বছর অন্তর পালন করতে পারে এবং সাধারণ বছরগুলোতে ২৮ ফেব্রুয়ারি অথবা ১ মার্চ তারা জন্মদিন পালন করে। কিছু দেশে এ সম্পর্কে নীতি নির্ধারণ করা আছে। চীনে ১০ অক্টোবর ১৯২৯ থেকে সিভিল কোড অনুযায়ী একজন লিপ্লিং এর আইনগত জন্মদিন সাধারণ বছরগুলোতে ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৯৯০ থেকে হংকং এ একজন লিপ্লিং এর সাধারণ বছরগুলোর জন্য জন্মদিন ১ মার্চ নির্ধারিত। 

২০১৬ অর্থাৎ বর্তমান বছরটি লিপ ইয়ার ছিল। গত কালকে বেস্ত কারনে পোষ্টটি দিতে পারিনা । 

সংগৃহীত- লিংক সুত্রঃ