বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২০
শীতে হাত-পা ঘামা ও দুর্গন্ধ রোধে
শীতে হাত-পা ঘামা ও দুর্গন্ধ রোধে
হাত-পা ঘামার কারণহাত-পা কেন ঘামে তার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও বের করা যায়নি। তবে বংশগতভাবে এ রোগ থাকা, শরীরের ভেতরের ভারসাম্যহীনতা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা প্রভৃতি কারণে হাত-পা ঘামতে পারে। পা ঘামা কোনো রোগ নয় বরং এ থেকে নানা ধরনের রোগের উদ্ভব ঘটে থাকে। অনেকের শুষ্ক আবহাওয়ায় পা ঘামে আবার কারও কারও ক্ষেত্রে বছরজুড়ে। এ কারণেই পায়ে দুর্গন্ধ হয়।
সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে কি করবেন জানেন কি ?
স্বপ্নদোষের হওয়ার সাথে যৌন উত্তেজক কোনো স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে অথবা নাও থাকতে পারে।
আবার অনেক সময় পুরুষদের লিঙ্গ উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটে যেতে পারে।
যদিও স্বপ্নদোষ হওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু এটি যখন অতিরিক্ত পরিমানে হতে থাকে তখন কিন্তু
রোগেরই পূর্বাবাস দেয়।
আর সেই সময় স্বপ্নদোষের কারনে পুরুষের নানা প্রকার শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় হস্তমৈথুন এবং স্বপ্নদোষ আনুপাতিক হারে বিপরীতমুখী। অর্থাৎ হস্তমৈথুন করলে কিছু কিছু পুরুষের স্বপ্নদোষ হ্রাস পায়। কিন্তু এটা করা আরো ক্ষতিকর। একসময় হস্তমৈথুন করার অভ্যাসটাই একজন পুরুষের যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলে। অতিরিক্ত হ্স্তমৈথুনের ফলেও কিছু শারীরিক, মানসিক এবং হরমোনজনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে যা এই ধরনের স্বপ্নদোষকে পুরুষের স্থায়ী পুরুষত্বহীনতা এবং লিঙ্গত্থানহীনতার মত মারাত্মক জটিল রোগের সৃষ্টি করতে পারে। পুরুষের শরীরে বীর্য প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীতে শারীরিক মিলন বা হস্তমৈথুনের সময় চরম তৃপ্তির পর্যায়ে পুরুষের শরীর থেকে নির্গত হয়ে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে পুরুষের টেষ্টষ্টোরেন হরমোন অধিক পরিমান অর্থাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত বীর্য তৈরি করে এবং একই সাথে স্পিংটার পেশী এবং স্নায়ু দুর্বল করে দেয় যার ফলে বীর্য যৌনতন্ত্রে আটকে যায়।
রবিবার, ৫ মে, ২০১৯
এস এস সি - এইস এস সি রেজাল্ট মার্কসিট সহ দেখুন
বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
চোখের রোগ ক্রেনিয়াল নার্ভ পালসি
ক্রেনিয়াল নার্ভ পালসি
ক্রেনিয়াল নার্ভ পালসি চোখের এমন একটি সমস্যা যেখানে এক বা একাধিক ক্রেনিয়াল নার্ভ সংযুক্ত থাকে। মাংসপেশি অবশ হয়ে গেলে অথবা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এ রোগ দেখা দেয়। ফলে মাংসপেশিতে হঠাৎ করে খিঁচুনিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। ক্রেনিয়াল নার্ভের সঙ্গে সংযুক্ত মাংসপেশিগুলো সহজেই চিহ্নিত করা যায়। যেমন মুখের মাংসপেশির সঙ্গে যুক্ত থাকে। এতে এ রোগ হলে মুখের আকারের পরিবর্তনে দেখা যায়। এ রোগে আক্রান্তদের হাসতে, চোখ নড়াচড়া করতে এবং অন্যান্য মুখভঙ্গি করতে ভীষণ অসুবিধায় পড়তে হয়।
মুখ বাঁকা রোগ
মুখ বাঁকা রোগ
সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধোয়ার জন্য বেসিনের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অবাক, একি! এক দিকের চোখ বন্ধ হচ্ছেনা, হা করতেই মুখ বেঁকে যাচ্ছে, মুখে পানি নিলে মুখ থেকে পড়ে যাচ্ছে, গাল ফোলাতে পারছেন না, কপাল বা ভ্রু কুচকাতে পারছেন না, কী হল? নিশ্চই ঘাবড়ে গেছেন।
ঘাবড়ানোর কিছুই নেই। এরকম সমস্যায় যদি কেউ পড়েন তবে বুঝতে হবে মুখের নার্ভে এমন কোনো সমস্যা হয়েছে যার ফলে মুখের মাংশপেশী স্বাভাবিক কাজ কর্মের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। যাকে ডাক্তারী ভাষায় বেল’স পলসি বলে। এটি মুখ অবশ রোগ নামেও খ্যাত।
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন, ডিপিআরসি হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান।
মানুষের মুখমণ্ডল এক বিশেষ ধরনের মাংশপেশী দিয়ে তৈরি। যার সাহায্যে মানুষ মুখের মাংসপেশীর সংকোচন ও প্রসারণ করে কথা না বলেও মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। মুখমণ্ডলে মানুষের সৌন্দর্য ও দৈনন্দিন কাজের সুবিধার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অঙ্গ যেমন- মুখ, নাক, চোখ, কপাল, কান ইত্যাদি রয়েছে। যেগুলোর সাহায্যে মানুষ খাওয়া-দাওয়া, কথা বলা, শ্বাস গ্রহণ করা, দেখা, শোনার মতো কাজগুলো করে থাকে।
এ সব কাজ সঠিক ভাবে সম্পাদনের জন্য মুখে কিছু সংখ্যক নির্দিষ্ট মাংশপেশী রয়েছে। যেগুলোকে আদেশ নির্দেশ প্রদানের জন্য মগজ থেকে কানের পাশ দিয়ে নেমে সপ্তম ক্রেনিয়াল বা ফেইশল নার্ভ ৫টি ভাগে বিভক্ত হয়ে মুখমণ্ডলের বিভিন্ন মাংশপেশীকে সচল রাখে। কোনো কারণে মস্তিষ্কের ক্রেনিয়েল বা ফেইশল নার্ভে প্রদাহ, প্রতিবন্ধকতা বা যদি আঘাত পায় তবে মাংশপেশী স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়া
মুখ বাঁকা রোগ
একদিন ঘুম থেকে জেগে দেখলেন হঠাৎ মুখের এক দিক বেঁকে গেছে। কথা বলতে গিয়ে বা হাসতে গেলে ঠোঁটটা বিশ্রীভাবে একদিকে ঝুলে পড়ছে, মুখের এক দিক আর নাড়তে পারছেন না। এমন অবস্থাকে সবাই বলে থাকেন যে ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়েছে।আসলে স্ট্রোক বা পক্ষাঘাতেও মুখ বেঁকে যেতে পারে বইকি, যখন দেহের একটি দিক পুরোপুরি পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা প্যারালাইসিস হয়ে যায় তখন এর সঙ্গে মুখও আক্রান্ত হয়। কিন্তু পক্ষাঘাত ছাড়াও এমন ঘটনার কারণ স্নায়ুগত সমস্যা। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর নাম বেলস পালসি।
কী হয় বেলস পালসিতে?
ফেশিয়াল নার্ভ বা মুখমণ্ডলের স্নায়ু আমাদের মুখের পেশিগুলোতে নিয়ন্ত্রণ করে। কোনো কারণে এই স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে মুখের পেশি শক্তি হারায় ও মুখ বেঁকে যায়। এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো হারপিস ভাইরাস সংক্রমণ। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, স্ট্রোক ইত্যাদি কারণেও ফেশিয়াল নার্ভ অকার্যকর হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো কারণ নির্ণয় করা যায় না। তখনই একে বলা হয় বেলস পালসি। বেলস পালসি হলে মুখের এক দিকটা ঝুলে পড়ে, পেশি নাড়ানো যায় না, চোখ খুলতে ও বন্ধ করতে সমস্যা হয়। অনেক সময় চোখ খুলেই থাকে। খেতে গিয়ে মুখের এক দিক দিয়ে সব পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। চেষ্টা করেও কপাল কোঁচকানো যায় না। কখনো কানের ভেতর বা পেছনে ব্যথা হয়, কানে বেশি শোনা যায়। জিবের স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
চিকিৎসা কী?
যত দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন, ততই ভালো। কেননা, স্টেরয়েড বা অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শুরু করলেই সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়া চিকিৎসক বিশেষ ধরনের ব্যায়াম শিখিয়ে দেবেন, যা দিনে কয়েকবার করতে হবে। এই সময় চোখ ও মুখের যত্ন নিতে হবে। যেহেতু চোখ সহজে বন্ধ হয় না, তাই তা শুষ্ক হয়ে যায়। চোখের ড্রপ ব্যবহার ছাড়াও বিশেষ প্যাচ ব্যবহার করে চোখ বন্ধ রাখা হয়। খাবার খেতে সমস্যা হলে ধীরে ধীরে তরল বা আধা তরল খাবার খেতে হবে। বেশির ভাগ বেলস পালসি কয়েক দিন বা কয়েক মাসের মধ্যেই সেরে যায়। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যাটা দীর্ঘমেয়াদিও হতে পারে। বেলস পালসি গুরুতর গোছের কোনো রোগ নয়, তবে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়াটাই উত্তম। মেডিসিন বিভা, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ|
সংগ্রেহিত
রবিবার, ২০ মে, ২০১৮
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)