১. বেশী বেশী পানি পান করবেন। তবে ঠান্ডা পানি অতিরিক্ত খাবেন না। প্রয়োজন হলে পানির বোতল সঙ্গে রাখুন। খুব প্রয়োজন না হলে বাহিরে থেকে পানি কিনে খাবেন না।
২. অতিরিক্ত ঘাম এর ফলে শরীরে প্রচুর লবন এবং পানির ঘাটতি হয়। এই ঘাটতি পূরণ করাতে পারেন খুব সহজেই। এক্ষেত্রে খাবার স্যালাইন আপনার জন্য খুবই সহায়ক হবে। তবে খাবার স্যালাইনটি মেয়াদউত্তীর্ণ কি না যাচাই করে নিবেন।
৩. তূলনামূলক ঢিলেঢালা কাপড়, সূতি কাপড় আপনার পছন্দের তালিকায় থাকা উচিৎ।
৪. বাহিরে যাওয়ার সময় ছাতা নিতে ভুলবেন না। এটা আপনাকে কিছুটা প্রশান্তি দেবে অন্তত একটু তীব্র দাবদাহ থেকে।
৫. খাবারের তালিকায় শাক সবজির পরিমাণ বাড়ান। এক্ষেত্রে মৌসুমী ফলমূলগুলো আপনাকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।
৬. বাহিরে থেকে এসেই হাত মুখ ধুয়ে ফেলবেন। বাহিরে থেকে এসেই গোসল করবেন না। একটু জিরিয়ে নেবেন। আর যারা দুই বা ততোধিকবার গোসল করার অভ্যাস রাখেন তারা অন্তত মাথার চুলগুলো তাড়াতাড়ি মুছে ফেলবেন।
৭. ত্বকের ব্যাপারে যারা অতিরিক্ত সচেতন, বাজারে অনেক ধরনের সান স্ক্রিন পাওয়া যায়, এসব বেশী ব্যবহার করবেন না। সান স্ক্রিন এর কার্যকারিতা অল্প সময়ের জন্যই হয়। ফেসওয়াস ব্যবহার করুন।
৮. কাপড় নিয়মিত ধুয়ে ফেলুন। ব্যস্ততার কারণে সময় হয়ে ওঠে না ঠিকিই তবুও চেষ্টা অন্তত করাই যায়। প্রতিদিনই পরিধেয় কাপড় পরিবর্তন করুন।
৯. উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ঠজনিত রোগে যারা নিয়মিত ভুগছেন, তারা নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ ও নিয়ম মেনে চলবেন।
১০. বাচ্চা এবং বয়স্ক মানুষের প্রতি খেয়াল রাখবেন। এই দুই বয়সের অথবা দুই প্রজনোম মানুষ অনেক সময় আমাদেরই ব্যস্ততার কারণে অবহেলিত থেকে যায়।
পরিশেষে আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করছি। সতেজ থাকুন এবং সুন্দর থাকুন।
সংগৃহীত