সবাইকে স্বাগতম

এই ব্লগ সাইট ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না এ পেইজ গুরে আসার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলে আবার আসবেন। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। )

শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৬

*অতিরিক্ত ঘামের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায়

*অতিরিক্ত ঘামের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায়
প্রাকৃতিক উপায়ে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আসুন আমরা প্রথমে প্রাকৃতিক উপায়গুলো জেনে নিই :
#ভিটামিন বি-১২র অভাবে এই রোগ হয়।তাই ভিটামিন বি-১২ যেসব খাদ্যে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় সেসব খাদ্য গ্রহণ করুন ।
ভিটামিন বি পরিবার যেমন, বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫যুক্ত খাদ্য অথবা ভিটামিন বি ট্যাবলেট গ্রহণ করুন।
আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন, এসপারাগাস, ব্রকোলি, টারকি, গরুর মাংস, যকৃৎ, সাদা পেয়াজ, খাবার লবণ প্রভৃতি থেকে এটি হয়ে থাকে ।তাই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
#বেশি বেশি পানি পান করুন। পানি দিয়ে মুখ, হাত, পা বারবার ধুয়ে ফেলুন।
শারীরিক দুর্বলতা থেকে এটি হয়ে থাকে। তাই পুষ্টিকর খাবার, শাকসবজি, ফলমূল বেশি পরিমাণে খান।
চায়ের মধ্যকার টনিক এসিড প্রাকৃতিক ঘামবিরোধী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তাই দেড় লিটার পানির মধ্যে

বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০১৬

অতিরিক্ত ঘামের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চান ?

ত্বকের যত্ন


অতিরিক্ত ঘামের যন্ত্রণা 

থেকে মুক্তি পেতে চান ?

বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ অতিরিক্ত ঘামের যন্ত্রণায় ভুগে থাকেন। হাত, পা, মুখ, বগল ঘামাকে ডাক্তারি ভাষায় হাইপারহিডরোসিস বা মাত্রাতিরিক্ত ঘাম বলা হয়। এটি এমন এক রোগ যা অনিয়ন্ত্রিত স্নায়ুপদ্ধতির জন্য হয়ে থাকে। এর ফলে আমরা প্রায়ই অনুষ্ঠান, পরীক্ষাসহ কোনও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থায় খুব সমস্যায় পড়ে থাকি। প্রতিদিনের কাজকর্ম যেমন গাড়ি চালাতে গিয়ে, টাচ-স্ক্রিন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার সময় বা অন্যান্য কাজ করতে গিয়ে বেশ বিপত্তি ঘটে। খুব বেশি বডি-স্প্রে দিয়েও কোন লাভ হয়না, বরং তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
কোন রকম কেমিকেল ব্যবহার না করেও প্রাকৃতিক উপায়ে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
০১. ভিটামিন বি-১২র অভাবে এই রোগ হয়। তাই ভিটামিন বি-১২ যেসব খাদ্যে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় সেসব খাদ্য গ্রহণ করুন। যেমন কলা, ডিম, দুধ, গাজর, টমেটো, সবুজ শাক, মাছ, কাঠ বাদাম ইত্যাদি।
০২. ভিটামিন বি পরিবার যেমন, বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫যুক্ত খাদ্য। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন বি ট্যাবলেট গ্রহণ করুন।
০৩. বেশি করে পাকা ফলমূল ও শাকসবজি খাবেন। পাকা পেঁপে, তরমুজ, আম, কামরাঙ্গা, ফুলকপি, গাজর, বরবটি খুব উপকারী।
০৪. শারীরিক দুর্বলতা থেকে এটি হয়ে থাকে। তাই পুষ্টিকর খাবার, শাকসবজি, ফলমূল বেশি পরিমাণে খান।
০৫. আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন – এসপারাগাস, ব্রকোলি, টারকি, গরুর মাংস, যকৃত, সাদা পেঁয়াজ, খাবার লবণ প্রভৃতি থেকে এটি হয়ে থাকে। তাই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
০৬. চায়ের মধ্যকার টনিক এসিড প্রাকৃতিক ঘাম বিরোধী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তাই দেড় লিটার পানির মধ্যে পাঁচটি চায়ের ব্যাগ মিশিয়ে সেটার মধ্যে ১০-১৫ মিনিট হাত-পা ভিজিয়ে রাখুন। তাছাড়া সবুজ চা পান করুন। এতেও উপকার পাবেন।
০৭. হাতে-পায়ে কোনও ধরনের পাউডার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটি ঘাম দূর করার পরিবর্তে আরো বাড়িয়ে দেবে।
০৮. পান, ক্যাফেইনযুক্ত কফি, ধূমপান প্রভৃতি থেকে বিরত থাকুন কারণ এগুলো অতিরিক্ত ঘাম উৎপন্ন করে।
০৯. বেশি বেশি পানি পান করুন। পানি দিয়ে মুখ, হাত, পা বারবার ধুয়ে ফেলুন।
১০. শশা লবণ না মেখে খাবেন এতে আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকবে এবং ঘাম কমে যাবে।
মেডিসিন ব্যবহার করে ঘাম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন প্রকার মেডিসিন ব্যবহার করা নিরাপদ নয়।
ঘামের বিরক্তিকর অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে চিকিৎসাবিজ্ঞান মেডিসিনিকল এবং সারজিকল দু উপায়েই চেষ্টা করে কিছু ঘামবিরোধী ক্রিম, ইনজেকশন, ইলেকট্রিক থেরাপি ও ড্রাইসল বের করেছে। সারজিকল চিকিৎসা হিসেবে অতিরিক্ত ঘাম উৎপাদনকারী স্নায়ুর বিশেষ অংশ কেটে ফেলে দেয়া হয়। স্থায়ীভাবে ঘাম দূরীকারক এই পদ্ধতিটি তেমন সুবিধার নয়। কারণ অপারেশনের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত এবং অপারেশন-পরবর্তী ওষুধে যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তাদের জীবনের ঝুঁকি থেকে যায়। তাই অতিরিক্ত ঘাম থেকে রক্ষা পেতে সাময়িক উপশমকারী ড্রাইসল বা অ্যালুমিনিয়াম কোরাইড হেক্সাড্রেট এলকোহোলিক সলুশনজাতীয় (ড্রাইসল) ওষুধ অনেক কার্যকর।
আসুন এবার এসব ওষুধের কিছু ব্যবহার বিধি জেনে নিইঃ
০১. এই ওষুধ আপনি ঘুমাতে যাবার আগে শুষ্ক বগলে মাখুন। সকালে উঠে স্বাভাবিক পানি দিয়ে এটি ধুয়ে ফেলুন। দিনে গন্ধনাশক পদার্থ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এলুমিনিয়াম কোরাইডে আপনার বগলের ত্বক চুলকাতে পারে। সেজন্য আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ব্যবহার করুন। যতদিন ঘাম থেকে মুক্তি না পান ততদিন এটি ব্যবহার করে যান। ঘাম থেকে মুক্তি পাবার পর আপনি দিনে গন্ধনাশক পদার্থ বা ডিওডারান্ট ব্যবহার করতে পারবেন।
০২. ঘুমাতে যাবার সময় হাতের তালুর পাতলা চামড়ায় এটি মাখুন। শুকানোর পর প্লাস্টিকের গ্লাভস পরে নিন । সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। ১০-১৪ দিন ব্যবহারে আপনি এটির ফল বুঝতে পারবেন।
০৩. পায়ের তালুতে এটি মাখুন এবং শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পায়ের তালুর আকারের মতো প্লাস্টিকের ব্যাগ পড়ে ঘুমান। সকালে উঠে স্বাভাবিক পানি দিয়ে পায়ের পাতা ধুয়ে ফেলুন। এক থেকে দু সপ্তাহের মধ্যে আপনি সুফল পাবেন।
টিপসঃ
ঘামের কারণে অনেকেই ব্যায়াম করতে ভয় পান। কিন্তু নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর ঝরঝরে থাকে । সামান্য হাঁটাচলা করে বা বাসার কাজ করার মধ্য দিয়েও ব্যায়াম করা যায়। তাই বসে না থেকে ছোট ছোট কাজ নিজেই করে ফেলুন। প্রচুর পানি খান। সম্ভব হলে পাতলা সুতির জামা পরার চেষ্টা করুন।
সংগৃহীত 

সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০১৬

হাতের চামড়া উঠা বন্ধ করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি

@

হাতের চামড়া উঠা বন্ধ করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি

ধরুন, আপনার প্রিয়জন কোন আবেগঘন মূহুর্তে আপনার হাত স্পর্শ করে তালুতে মরা চামডার খোঁচা খেল ! কেমন হবে ব্যাপারটা ? কিংবা ধরুন, কোন ডিল শেষে আপনার ক্লায়েন্ট আপনার সাথে হ্যান্ডশেক করতে গিয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকাল। ব্যাপারটা কি আপনার জন্য খুব একটা ইতিবাচক হবে ?
শীতের শুরুতে অনেকেই একটা সাধারণ সমস্যায় ভোগেন- হাতের চামড়া মরা অর্থাৎ হাত খসখসে হয়ে চামড়া উঠে যাওয়া। যদিও ছেলে-মেয়ে উভয়ের হাতেই এই সমস্যা হতে পারে, তবে এটা সচারচর ছেলেদের হাতেই বেশি দেখা যায়। যারা এই সমস্যায় ভুগেন, প্রায়ই তাদের বিভিন্ন জায়গায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।

হাতের চামড়া উঠা বন্ধ করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন

♦ প্রথমেই হাতের মরা চামড়া তুলে নিতে হবে। মরা চামড়া তুলতে ঘরে তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। স্ক্রাব তৈরি করতে- ২চা চামচ গুড়ো দুধ, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ টেবিল চামচ চিনি একত্রে খুব ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। ভাল ফলাফল পেতে পেস্টের সাথে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে তা হাতে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। ১০-১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল করে ঘষে ঘষে হাত ধুয়ে নিন।
♦ স্ক্রাবিং শেষে হাতে অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল সমপরিমাণে মিশিয়ে লাগাতে হবে। এতে হাতের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
♦ হাতের চামড়া অত্যাধিক পরিমাণে রুক্ষ হলে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এর বদলে ময়েশ্চারাইজযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। অথবা কাঠ বাদামের মাস্ক লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটা হাতের ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
♦ সপ্তাহে অন্তত ১ দিন হাতে ঘৃতকুমারীর বা অ্যালোভেরার রস মালিশ করে করুন। প্রতি ১০ দিনে একবার হাতে গরম বাষ্পের ভাপ দিন। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে তিলের তেল, গ্লিসারিন আর গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে হাতে মালিশ করতে পারেন। এতে করে হাতের চামড়া কোমল থাকবে।
♦ হাতে চামড়া উঠা সমস্যার আরেকটি কার্যকরী প্রাকৃতিক সমাধান হলো- জবা ফুল। ২-৩ টি জবা ফুল হাতে ঘষে রেখে আপনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারেন। যতক্ষণ সম্ভব ম্যাসেজটা হাতে রাখুন। দিনে দুই বার করে টানা কয়েকদিন জবা ফুল ট্রিটমেন্ট চালাতে পারেন। এটা অবশ্যই কাজ দেবে।
♦ প্রচুর পানি পান করুন। শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি এসিডের (যেমন- ওমেগা-৩) চাহিদা মেটাতে মাছ, বাদাম ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখুন। বেশি করে সবুজ শাক-সবজি আর রঙিন ফলমূল খান।
এসবের পরেও হাতের চামড়া উঠা সমস্যার সমাধান না হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

হাত ও আঙুলের অবশ ভাব ও ব্যথা

হাত ও আঙুলের অবশ ভাব ও ব্যথা
হাত শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি। সূক্ষ্ম থেকে স্থূল সব ধরনের কাজ হাতের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হয়ে থাকে। হাতের সুস্থতা সবারই কাম্য। হাতের বিভিন্ন ধরনের রোগ বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। হাত ও আঙুলের ব্যথা, অবশ ভাব এবং দুর্বলতা উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ধরনের উপসর্গ হাতের লোকাল বা স্থানীয় এবং রেফার্ড বা দূরের কোন রোগ হতে আসতে পারে। ‘কার্পাল টানেল সিনড্রোম' (Carpal Tunnel Syndrome) এমন একটি হাতের স্নায়ু (নার্ভ) রোগ যা অধিকাংশ সময় অবশ ভাব, ব্যথা এবং দুর্বলতা উপসর্গ নিয়ে দেখা দেয়। ‘মিডিয়ান' নামক স্নায়ু (নার্ভ) চামড়ার অনুভূতি প্রদান এবং হাত ও আঙুলের পেশী মুভমেন্ট করে। এই নার্ভটি আরো ৯টি পেশীর টেনডনসহ কব্জির একটি টানেলের ভেতর দিয়ে নিম্নবাহু থেকে হাতে প্রবেশ করে। টানেলেটির তিনপাশে হাড় ও একপাশে লিগামেন্ট থাকে। যে কোন কারণে টানেলের পথ সরু হলে নার্ভের উপর চাপ পড়বে এবং রোগের উপসর্গ দেখা দিবে। ধারণা করা হচ্ছে, মহিলাদের কার্পাল টানেল সরু বিধায় পুরুষদের তুলনায় রোগ তিনগুণ বেশি হয়।
কারণসমূহ : অধিকাংশ ক্ষেত্রে কারণ জানা নেই। বংশানুক্রমিক। গর্ভাবস্থা। আর্থ্রাইটিস- রিউমাটয়েড, গাউটি ও অসটিওআর্থ্রাইটিস। ডায়াবেটিস। ইনফেকশন। টিউমার- লাইপোমা, সিস্ট, গ্ল্যানগ্লিওন ও হাড়ের টিউমার। টেনডিনাইটিস (টেনডনের প্রদাহ) ও টেনডনসিথ সাইনোভিওমা। জয়েন্ট ক্যাপসুল সাইনোভিওমা। গ্রন্থি সমস্যা- হাইপোথাইরোডিজম, একরোমেগালি। ওবেসিটি (অতিরিক্ত ওজন)। হাড়ের ফ্র্যাক্চার ও বিকৃত অবস্থায় জোড়া লাগা। পুনরাবৃত্তি কাজ যেমন কম্পিউটার অপারেটর, কারখানায়, সেলাই ও ফিনিশিং এবং মাংস, পোল্ট্রি ও মাছ প্যাকিং কাজে কর্মরত ব্যক্তি।
উপসর্গ : প্রধান হাতে প্রথম এই রোগ হয়। বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনি ও মধ্য আঙ্গুলে এবং হাতের তালুতে ব্যথা হয়। হাতের তালুতে এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনি ও মধ্য আঙ্গুলে কাঁটা, সুই ফুটানো বা ছিদ্র করার মত অনুভূতি হয়। হাত ও আঙুল জ্বলে বা পুড়ে যাচ্ছে এ রকম মনে হবে। হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠার পর হাত ও আঙুলে অবশ এবং হাত ঝাঁকি দিতে বা নাড়তে ইচ্ছে করে। কখনও কখনও অবশভাব ও ব্যথার সাথে হাত ও আঙুল ফুলে যায়। হাত দিয়ে কিছু শক্ত করে ধরা বা তোলা কষ্টকর এবং হাত থেকে জিনিস পড়ে যায়। হাত ও আঙুলে ঘাম কম হয়। বৃদ্ধাঙ্গুলের গোড়ার পেশীশক্তি শুকিয়ে যায়। বৃদ্ধাঙুলি হাতের তালুর কাছ থেকে দূরে সরানো কষ্টকর হয়। হাতের গরম বা ঠান্ডা অনুভূতি কমে যায়।
ডায়াগনোসিস : দ্রুত ডায়াগনোসিস করে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করলে চিরস্থায়ী ক্ষতি হতে রক্ষা পাওয়া যাবে। রোগীর অসুবিধা শুনে, রোগীকে শারীরিকভাবে পরীক্ষা (যেমন- ফেলেন, টিনেল ও ডারকান টেস্ট) করে এবং ল্যাবরেটরী পরীক্ষার মাধ্যমে কার্পাল টানেল সিড্রোম ও এর কারণ নির্ণয় করা সম্ভব।
রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা। কবজির এক্স-রে নার্ভ কনডাকশন (ভেলোসিটি) টেস্ট। ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি। আল্ট্রাসনোগ্রাফি এমআইআই।
কনজারভেটিক চিকিৎসা : দ্রত চিকিৎসা শুরু করতে হবে এবং কমপক্ষে ২ সপ্তাহ বিশ্রাম প্রয়োজন। প্রাথমিক রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। কাজকর্মের ধরন পরিবর্তন করতে হবে। হাত সোজা রাখার জন্য ব্রেসিং ও স্লিপিং ব্যবহার করতে হবে। বরফ/ঠান্ডা সেফ ব্যবহারে ফুলা কমে আসবে। ননস্টেরোইডাল এন্টিইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ সেবন। লোকাল স্টেরয়েড ও এনেসথেটিক ইনজেকশন পুশ করলে উপসর্গ লাঘব হবে। ভিটামিন বি-৬ এবং বি-১২ থেরাপি। ফিজিওথেরাপি- মেসেজ, স্ট্রেসিং ও পেশী শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম। ওকোপেশনাল থেরাপি- কনুই ও কিবোর্ড একই লেবেলে হতে হবে এবং মনিটর সোজা সম্মুখে রাখতে হবে।
কখন শল্য চিকিৎসার প্রয়োজন?
৬ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ভালো না হলে। অবশ ভাব বাড়তে থাকলে। হাতের পেশী শুকিয়ে গেলে হাত ও আঙুলের দুর্বলতা বৃদ্ধি পেলে।
শল্য চিকিৎসা : ওপেন কার্পাল টানেল রিলিজ- পামার ফাসা ও পামার কার্পাল লিগামেন্ট বিচ্ছেদ করা এন্ডোস্কোপিক/আর্থ্রোস্কোপিক কার্পাল টানেল রিলিজ।
শল্য চিকিৎসার পর রোগীকে স্ট্রেসিং ও পেশী শক্তিশালী হবার ব্যায়াম করতে হবে। এন্ডোস্কোপিক বা আর্থ্রের্াস্কোপিক পদ্ধতিতে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। ৯০% রোগী সার্জারীর পর পূর্বের কাজ করতে পারে। ফলাফল ভালো না হওয়ার মূল কারণ ভুল ডায়াগনোসিস। রোগের পুনরাবৃত্তি খুবই কম এবং পুনরাবৃত্তি হলে বুঝতে হবে ডায়াগনোসিস সঠিক ছিল না।
ডা. জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন
হাড় ও জোড়া বিশেষজ্ঞ এবং আর্থ্রোস্কোপিক সার্জন
ডিজি ল্যাব মেডিকেল সার্ভিসেস, মিরপুর (ইনডোর স্টেডিয়ামের সামনে), ঢাকা।
ফোন : ০১৭৪৬৬০০৫৮২

মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০১৬

২৫ বছর বয়সের আগে,যে ৮ টি কারণে বিয়ে করা উচিত নয়

২৫ বছর বয়সের আগে,যে ৮টি কারণে বিয়ে করা উচিত নয়
rupcare_woman
সকলেই ভাবেন বিয়ের সঠিক বয়স কতো? ছেলে, মেয়ে ভেদে বিয়ের বয়স সামাজিক ভাবে আলাদা তা আমরা সকলেই জানি। ছেলেরা একটু বেশি বয়সে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য, অন্যদিকে মেয়েদের পরিবারের চাপে পড়ে অনেক আছেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। যদিও আজকাল এই প্রথার কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি সমাজে।
তাহলে সত্যিকার অর্থে বিয়ের সঠিক সময় কোনটি? নারী হোক বা পুরুষ, একজন মানুষের বয়স অন্তত ২৫ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করা উচিত নয় একেবারেই। জানতে চান কী কারণে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
১) পুরোপুরি ম্যাচিউরড হয়ে বিয়ে করা উচিত
১৮ বছর বয়সে একজন মানুষ পূর্ণবয়স্ক হয়ে থাকেন। কিন্তু নারী বা পুরুষ দুজনেরই নিজের একটি সংসার সামলানোর দায় দায়িত্ব নেয়ার ক্ষমতা ২৫ এর পরই আসে এবং এটি শারীরিক নয় পুরোপুরি মানসিক ব্যাপার।
২) নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ তৈরি করতে
আমাদের দেশে ২৫ এর আগে নয় বরং ২৫ এর পরেই একজন মানুষকে একটি খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার মতো চাকুরি পেতে দেখা যায়। পুরুষদের এই সুযোগটি দেয়া হলেও অন্যের স্ত্রী হতে হয় বলে নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর এই সুযোগ বেশ কমই দেয়া হয়। কিন্তু আসলেই প্রতিষ্ঠিত হতে হলে ২৫ এর পরই বিয়ের চিন্তা করা উচিত।
৩) আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে বিয়ে করা উচিত
শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত নয় একজন মানুষের জীবনযাপনের জন্য আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমাদের সমাজে শুধুমাত্র পুরুষের এই দিকটি দেখা হয়। কিন্তু একজন নারী হিসেবেও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া উচিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
৪) পরিবারের মূল্য বুঝে বিয়ের জন্য রাজি হওয়া উচিত
২৫ বছর বয়সের আগে একজন মানুষের পক্ষে পরিবারের মূল্য কতোখানি তা সঠিকভাবে বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। প্রমাণ পেতে আশেপাশেই একটু নজর বুলিয়ে দেখুন। সদ্য গ্র্যাজুয়েট একজন মানুষ নিজেকে বুঝতেই তো সময় পার করে দেন, তিনি পরিবার কি জিনিস তা বুঝবেন কীভাবে?
৫) নিজের ভবিষ্যৎ ঠিক করে নিয়ে বিয়ের কথা ভাবা উচিত
ভবিষ্যতে কী করছেন, কোন লক্ষ্যে গিয়ে পৌঁছুবেন এবং সঠিক পথে হাঁটা শুরু করে তবেই বিয়ের কথা চিন্তা করা উচিত। তা না হলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
৬) নিজের জন্য সঠিক মানুষটি খুঁজে নিয়ে বিয়ে করুন
লাভ বা আরেঞ্জ যেভাবেই বিয়ে করুন না কেন সেটি হবে পুরো জীবনের একটি বন্ধন। সুতরাং ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। নিজের জন্য সঠিক মানুষ কোনজন তা বুঝতেও ম্যাচিউরিটির প্রয়োজন রয়েছে।
৭) দায়িত্ব নিতে শিখে বিয়ের কথা ভাবা উচিত
২৫ বছর বয়সের আগে ছাত্রজীবনে প্রায় সকলকেই একটু দায়সারা গোছের জীবনযাপন করতে দেখা যায়। তাই প্রথমে দায়িত্ব নেয়ার বিষয়টি শিখে নেয়া উচিত বিয়ের কথা ভাবার আগে।
৮) নিজেকে গুছিয়ে নিতে শিখে বিয়ে করা উচিত
বিয়ে কোনো ছেলে খেলা নয়। অনেক বড় একটি দায়িত্ব জড়িয়ে আছে এতে। বাপের বাড়ি, শ্বশুর বাড়ি এবং নিজের সংসার স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই ৩ টি সংসার সামাল দিতে হবে। তাই প্রথমে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিতে শেখা উচিত। আর এই গুছানো ২৫ বছরের পরেই দেখা যায় সকলের মধ্যে।

রাগ ও মানসিক সমস্যা |

রাগ ও মানসিক সমস্যা |


 অ্যাংগার অ্যান্ড সাইকোলজিক্যাল ডিসটারবেন্স
প্রথমেই বলা হয়েছে যে, রাগ একটি সুস্থ মানুষের স্বাভাবিক আবেগ বা ইমোশন, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। রাগ যেমন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় তেমনি তা নানা প্রকার মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রেও দেখতে পাওয়া যায়। ঘনঘন ও প্রচণ্ড রাগের সাথে মানসিক সমস্যার পরসপর যোগসূত্রতা বা স?পর্ক লক্ষ করা যায়। কেউ হয়তো বেশি আবেগপ্রবণ (সেনসিটিভ), আবার কেউ কেউ অস্বাভাবিক নীরব-পানসে, কোনো কিছুতেই কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া দেখায় না। আবেগপ্রবণতা বা নির্লিপ্ততা কমবেশি হয়তো সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের মধ্যেও দেখা যায়। কিন্তু সাইকোটিক রিঅ্যাকশন তখনই বোঝা যায় যখন ঘটনার সাথে অতিরিক্ত আবেগের প্রকাশ বা অপ্রকাশের কোনো প্রাসঙ্গিক স?পর্ক বা কারণ থাকে না এবং যেখানে আবেগের প্রকাশ হয় তীব্র এবং নীরবতাটাও হয় অস্বাভাবিক এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তা হয় সামঞ্জস্যবিহীন। এ ধরনের রোগী অকারণে তুচ্ছ ব্যাপারে হঠাৎ রেগে গিয়ে-
  • অন্য লোককে যখন-তখন আক্রমণ করে বসতে পারে
  • ক্রোধান্বিত বা রাগান্বিত হয়ে হঠাৎ উঁচু স্থান থেকে লাফ দিয়ে পড়ে হাত-পা ভাঙতে পারে
  • আবার নিজেকে আঘাত করতে পারে
  • অন্যকেও ব্যতিব্যস্ত করে তুলতে পারে
আর এদের এরকম আচরণের আগাম হদিসও পাওয়া যায় না বা বোঝা যায় না যে, অন্যের কাছে এরা কখন মারাত্মক, বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। মানসিক সমস্যায় রাগের বহিঃপ্রকাশ দারুণভাবে লক্ষ করা যায়। নানা প্রকার মানসিক সমস্যায় রাগের মাত্রাও নানা গতির, নানা প্রকৃতির হয়ে থাকে।
অনেকের ধারণা, মানসিক রোগী মাত্রই সব সময় বিপজ্জনক এবং সব সময়ই এরা উত্তেজিত বা রাগান্বিত হয়ে অন্যদের আক্রমণ করে বসে। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে এ ধরনের প্রচণ্ড রাগী মনোভাব মানসিক রোগীদের বেলায় অপেক্ষাকৃত কদাচিৎ দেখা যায়। সাধারণত দুটি কারণে মানসিক রোগীদের মধ্যে আক্রমণাত্মক ভাব ও প্রচণ্ড রাগের উদয় হয়-
  • একটি হচ্ছে, ভ্রান্ত ধারণা বা ডিলিউশন-এর বশে রোগী মনে করে যে, অন্য লোক তার ক্ষতি করবে, তাকে মেরে ফেলবে, তখন সেই কাল্পনিক শত্রুকে প্রতিহত করতে কখনো কখনো তারা প্রচণ্ড মাত্রায় উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
  • অন্যটি হচ্ছে মানসিক অসুখের কারণে উদ্ভট, আজগুবি সব চিন্তা-ভাবনার বশে রোগীর মনে হয় যে, সে বুঝি নিজেকে আপন আয়ত্তে রাখতে পারবে না, তাই এ কারণে সে হয় নিজের নয়তো অন্যের ক্ষতি করে ফেলবে-এ দ্বিধা তাকে পেয়ে বসে।
এসব উগ্র-উত্তেজিত, রাগান্বিত, ক্ষুব্ধ রোগীদের হাবভাব দেখে তাদের আপনজন এবং প্রতিবেশীরাও ভয় পেয়ে যান। তাই কখনো কখনো ঘরের মধ্যে রোগীকে আটকে রাখেন, কখনো বা তালা দিয়ে আটকে রাখেন, যাতে এরা নিজেদের এবং অন্যদের কোনো প্রকার ক্ষতি বা বিপদ ঘটাতে না পারে।
উত্তেজিত অবস্থায় রোগী যা করে তার পরিণাম বিচারের ক্ষমতা তখন তার মধ্যে থাকে না, উত্তেজনাকর সময় রোগীর মধ্যে প্রবল শক্তি দেখা গেলেও ক্রমে ক্রমে এরা আহার-নিদ্রার অভাবে শক্তিহীন হয়ে পড়ে।
নানা রকম মানসিক ব্যাধিতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হতে দেখা যায়। যেসব মানসিক রোগে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হতে দেখা যায়, যেসব মানসিক অসুখে এবং অবস্থার মধ্যে রোগীর প্রচণ্ড রাগ-উত্তেজনা দেখা যায় তা পাঠক/পাঠিকাদের বোঝার সুবিধার্থে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করা হলো-
শরীরভিত্তিক নয় এমন কঠিন মানসিক রোগ যেমন-
  • সিজোফ্রেনিয়া
  • ম্যানিয়া
  • বিষণ্নতা
  • বাইপোলার ডিসঅর্ডার
  • ইন্টারমিটেন্ট এক্সপ্লোসিভ ডিসঅর্ডার ইত্যাদি এরকম মনোব্যাধিতে প্রচণ্ড মাত্রার রাগের সৃষ্টি হতে পারে। এই রোগগুলো সাধারণত হঠাৎ করে হয়ে যায় না, একটু খোঁজ-খবর নিলেই দেখা যাবে যে এসব রোগের অন্যান্য উপসর্গ বা লক্ষণ-ইঙ্গিত আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল, পরিবারের সদস্য বা অন্যরা হয়তো তা বুঝতেই পারেনি।
শরীরভিত্তিক তীব্র স্বল্পস্থায়ী মানসিক ব্যাধি-এসব রোগে প্রচণ্ড রাগ ছাড়াও স্থান-কাল এবং পাত্রের জ্ঞান লুপ্ত হয় এবং চেতনার অবনতি ঘটে।
নানা প্রকার মাদকদ্রব্যের ব্যবহার এবং মদ্যপানের ফলে উচ্ছৃঙ্খল ও রাগান্বিত অবস্থা দেখা দিয়ে থাকে।
এপিলেপসি বা মৃগীরোগীদের ফিটের পরিবর্তে অথবা ফিটের অব্যবহিত পরে কখনো কখনো প্রচণ্ড উন্মত্ত রাগ দেখা যায়।
হিস্টিরিয়া রোগেও কোনো কোনো সময়ে ব্যক্তির বিশৃঙ্খলভাব ও প্রচণ্ড মাত্রার রাগান্বিত অবস্থা লক্ষ করা যায়।

সরাসরি দেখুন ক্রিকেট ও অন্যান্য সব খেলা

সরাসরি দেখুন ক্রিকেট ও অন্যান্য সব খেলা

আমরা যারা বিশেষ করে মেচে থাকি, ইচ্ছে থাকা সত্যেও ক্রিকেট বা অন্যান্য  খেলা দেখতে পারিনা কারন সব মেচে টিভি থাকেনা। তখন এক মাত্র ভরসা এফ এম রেডিও বা পাশের চায়ের দোকান, যেখানে টিভি আছে। যাই হোক এই সব না বলে মুল কথায় আসি। আপনি চাইলে ঘরে কিংবা বাইরে বসেও খেলা দেখতে পারেন। এখানে
দেখুন
bdlive24.ml কোন অ্যাড ছাড়াই। ধির গতির নেটেও চলবে।
আজকে বাংলাদেশ VS পাকিস্তানের খেলা দেখুন ।