সবাইকে স্বাগতম

এই ব্লগ সাইট ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না এ পেইজ গুরে আসার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলে আবার আসবেন। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। )

শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

কম্পিউটার এর টাইপ করার স্পীড বাড়িয়ে নিন


Image result for টাইপ শুরু করুনবর্তমানে চাকরি বা ব্যবসায়ের বিশাল একটি স্থান জুড়ে আছে কম্পিউটার। এখন চাকরি বা ব্যবসায়ের প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ছাড়া মনে হয় কোন মূল্য নেই। তাই কর্ম ক্ষেত্র বিশেষ কারণে কম বেশী সবাইকে কম্পিউটার কাজ শিখে নিতে হয়। আর কম্পিউটারে কাজ করতে গেলে টাইপিং জানা আবশ্যক। তাই জেনে নিন টাইপিং স্পিড দ্রুত করার কিছু সহজ পদ্ধতি।

শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

দুশ্চিন্তা-মুসিবত ও পেরেশানী দূর করার উপায়

দুশ্চিন্তা-মুসিবত ও পেরেশানী দূর করার উপায়

পার্থিব জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ও স্বাভাবিক ব্যাপার হচ্ছে দুঃখ, দুঃশ্চিন্তা ও পেরেশানী। কারণ, দুনিয়া কষ্ট, মুসিবত ও সঙ্কটপূর্ণ স্থান। দুনিয়া এবং জান্নাতের মধ্যে পার্থক্য এখানেই। জান্নাতে নেই কোন দুঃখ, দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
لَا يَمَسُّهُمْ فِيهَا نَصَبٌ وَمَا هُمْ مِنْهَا بِمُخْرَجِينَ
‘সেখানে তাদেরকক্লান্তি স্পর্শ করবে না এবং তারা সেখান থেকে বহিষ্কৃতও হবে না।’ (  সূরা হিজর : ৪৮)
জান্নাতবাসীদের অন্তর কখনো কলুষিত হবে না এবং কষ্টদায়ক কোন শব্দ তাদের কানে পৌঁছবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا ﴿25﴾ إِلَّا قِيلًا سَلَامًا سَلَامًا ﴿26﴾
‘তারা সেখানে শুনতে পাবে না কোন বেহুদা কথা, এবং না পাপের কথা; শুধু এই বাণী ছাড়া, ‘সালাম, সালাম।’ ( সূরা ওয়াকেয়া : ২৫-২৬)
পক্ষান্তরে দুনিয়াবী জীবনের প্রকৃতি হচ্ছে, দুর্ভোগ, যন্ত্রণা ও অসচ্ছলতা। কী গরীব, কী ধনী; কী মুসলিম, কী অমুসলিম; সবাই এর ভুক্তভোগী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন,

ঘুমের সমস্যা ও প্রতিকার

ঘুমের সমস্যা ও প্রতিকার

ডা. জিল্লুর কামাল
ঘুম আমাদের জীবনেরই অংশ। সজাগ থাকার পর ঘুম আসবে এটিই নিয়ম। মাঝে মধ্যে ঘুমে ব্যাঘাত সবারই হয় বিশেষ দুশ্চিন্তা বা মনোকষ্টের জন্য কয়েক দিন ঘুম না হওয়ার পর আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। আমরা স্বাভাবিক ঘুমে ফিরে যাই। কিন্তু কখনো যদি ঘুম না হওয়া ব্যাপারটা দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকে তা হলে আমরা মুষড়ে পড়ি, ডাক্তারের কাছে দৌড়াই। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘুম না হওয়ার কারণগুলো খুব সাধারণ ও প্রতিকারযোগ্য।
ঘুমের রকমফের : রাতের বিভিন্ন সময় আমরা বিভিন্ন প্রকারের ঘুম ঘুমাই। এসব ধরনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধরন হলো দ্রুত চক্ষু সঞ্চালন ঘুম। এ ধরনের ঘুম এই আসে এই যায়। আমাদের মোট ঘুমের এক-পঞ্চমাংশ এ ধরনের ঘুম। এ ঘুমের আমাদের মস্তিষ্ক খুব সচল থাকে, চোখ দু’টি এপাশে ওপাশে দ্রুত সঞ্চালিত হয় এবং আমরা স্বপ্ন দেখি।
ঘুমের বাকি চার-পঞ্চমাংশ দ্রুত চক্ষু সঞ্চালনবিহীন ঘুম। এ ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্ক থাকে খুব নিথর। এ সময় বিভিন্ন হরমোন নি:সৃত হয়ে রক্তে মেশে। সারা দিনের কাজে ক্ষয়প্রাপ্ত শরীরের বিভিন্ন অংশ সারিয়ে তোলে এসব হরমোন।
কতটুকু ঘুম দরকার?
আমরা কতটুকু ঘুমাব তা মূলত নির্ভর করে আমাদের বয়স ও পরিশ্রমের মাত্রার ওপর। ছোট্ট শিশুরা দিনে প্রায় ১৭ ঘন্টা ঘুমায়। কিন্তু একটু বড় শিশুরা রাতে ৯ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমায়। রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য যথেষ্ট। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঘুমের প্রয়োজন কিছু কমে যায়। তা ছাড়া দিনে ঘুমালে রাতে ঘুম আসবে না এটিই স্বাভাবিক।
ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে ঘুমের পরিমাণে বেশ তফাত দেখা যায়। কেউ কেউ রাতে মাত্র ৩ ঘন্টা ঘুমিয়েই চলতে পারে। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই তা পারে না। ক’দিন না ঘুমালে বেশির ভাগ মানুষই সারাক্ষণ ঘুম ঘুম বোধ করে, কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে পারে না।
ঘুম না হলে আপনি কষ্ট পাবেন এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু মাঝে মধ্যে দু-এক রাত ঘুম না এলে অতি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। দু-এক রাত ঘুম না হলে তা আমাদের শারীরিক বা মানসিক স্বাস্খ্যের খুব বড় ক্ষতি করে না। তবে যেকোনো কারণে লাগাতার বেশ কিছু দিন ঘুম না হলে সারাক্ষণ ঘুম ঘুম লাগে এবং কোনো কিছুতে মনোযোগ দেয়া যায় না, সিদ্ধান্তহীনতা দেখা দেয় আর বিষণíবোধ হয়। এ সময়ে গাড়ি চালানো বা ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করা খুব বড় বিপদের কারণ হতে পারে। গাড়ি চালানোর সময় ক্ষণিকের জন্য ড্রাইভারের ঘুমিয়ে পড়া অনেক সড়ক দুর্ঘটনার কারণ।
অনিদ্রা
যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তারা প্রায়ই অভিযোগ করেন যে তাদের যথেষ্ট সময় ধরে ঘুম হচ্ছে না বা ঘুমের তৃপ্তি হচ্ছে না। যদিও সময় হিসাব করলে দেখা যাবে ঘন্টার হিসেবে তারা বেশ অনেকক্ষণ ঘুমাচ্ছেন। তবুও এ অভিযোগের কারণ ঘুম ভেঙে ভেঙে যাওয়া। ঘুমের মধ্যে জেগে যাওয়ার অল্প সময়টুকু অনেক লম্বা মনে হয়।
প্রতি দিনের অনেক সাধারণ বিষয় আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যেমন­ হয়তো শোবার ঘরটায় আওয়াজ বেশি, ঘরের তাপমাত্রা বেশি বা কম, বিছানা আরামদায়ক নয়, ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট রুটিন মানা হচ্ছে না বা যথেষ্ট শারীরিক পরিশ্রম করা হচ্ছে না। রাতে বেশি খেলে ঘুম আসতে চায় না, আবার পেটে বেশি খিদে থাকলে ঘুম ভেঙে যায়। সিগারেট, অ্যালকোহল ও ক্যাফিনযুক্ত খাবার যেমন­ চা, কফি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। শরীরের কোথাও ব্যথা বা গায়ে জ্বর থাকলেও ঘুম ঠিকমতো হয় না। তবে যদি দীর্ঘ দিন ধরে ঘুমের সমস্যা চলতেই থাকে তা হলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। কারণ তা বেশির ভাগ সময়ই মারাত্মক কিছুর ইঙ্গিত দেয়, হতে পারে তা ব্যক্তিগত বা কর্মক্ষেত্রের কোনো ইমোশনাল সমস্যা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা বিষণíতা।
ওষুধে কাজ হয়?
অনেকেই ঘুমের সমস্যার জন্য ঘুমের বড়ি খান। দীর্ঘ দিন একটানা ঘুমের বড়ি খাওয়া উচিত না। এতে আপনি অবসন্ন বোধ করবেন, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে এবং ধীরে ধীরে বড়ির পরিমাণ না বাড়ালে আগের মতো ভালো ঘুম হবে না। ফলে আপনি বড়ির ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাবেন। তাই ঘুমের বড়ি যত কম সময় ধরে ব্যবহার করা যায় ততই ভালো। ঘুমের বড়ির মতো অ্যালকোহলও ঘুমের সমস্যা করে। তাই এ দু’টিকে পরিহার করুন। ওজন কমানোর জন্য ব্যবহৃত ওষুধ, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য যেমন­ হেরোইন, কোকেন, এমফিটামিন ইত্যাদিও ঘুমের ব্যাঘাত করে। ঘুমের সমস্যা সমাধানের জন্য অনিদ্রার মূল কারণের চিকিৎসা করতে হবে।
? একটানা দীর্ঘ দিন নির্ঘূম কাটাবেন না। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং নির্দিষ্ট সময়ে বিছানা ছেড়ে উঠুন­ তা আপনি ক্লান্ত থাকেন বা না থাকেন।
? শোবার ঘর যথেষ্ট আরামদায়ক কি না নিশ্চিত হোন। ঘরে যেন বেশি আওয়াজ, গরম বা ঠাণ্ডা না থাকে।
? বিছানা আরামদায়ক কি না নিশ্চিত হন। বিছানা বেশি শক্ত হলে কোমর ও কাঁধে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, বেশি নরম হলে শরীর বেশি ডেবে যায়, ফলে ঘুম ভালো হয় না।
? প্রতি দিন শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করুন। অনেকেই নিয়মিত ব্যায়াম না করে হঠাৎ হঠাৎ অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যায়াম করে। এটি ঠিক নয়।
? চা বা কফি অ্যালকোহল পান কমিয়ে দিন, সম্ভব হলে একেবারে বìধ করে দিন। বিশেষত বিকেলের পর চা বা কফি খাবেন না। এ সময় দুগ্ধজাত পানীয় খেতে পারেন।
? বেশি রাত করে খাবেন না। প্রথম রাতের দিকেই খাবার সেরে নিন। রাতে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন না।
? রাতে ঘুম ভালো না হলে তা পুশিয়ে নেয়ার জন্য পরদিন দিনে ঘুমাতে ইচ্ছে করতে পারে। এটি করবেন না, তাহলে আবার রাতে ঘুমের সমস্যা হবে। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান।
? ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু সময় রিলাক্স মুডে থাকুন। হালকা বই পড়ুন, গান শুনুন।
? কোনো বিষয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকলে ঘুম আসতে চায় না। এ ক্ষেত্রে একটি কাগজে আপনার দুশ্চিন্তার বিষয়টি পরিষ্কারভাবে লিখে ফেলুন। বিষয়টি সম্পর্কে আপনি কী করতে চাচ্ছেন এবং কখন থেকে তা করবেন স্পষ্ট করে লিখুন। বিষয়টি সমাধানযোগ্য না হলে এর পরিণতি কী কী তা লিখুন, কোন পরিণতি আপনার জন্য ‘মন্দের ভালো’ হবে তা লিখুন এবং সে বিষয়ে কী করবেন লিখে ফেলুন। এতে দুশ্চিন্তা কমবে ও ঘুম হবে।
? ঘুম না এলে ‘কেন ঘুম হচ্ছে না’ শুয়ে শুয়ে তা ভাববেন না। বরং উঠে পড়ুন, যা করতে ভালো লাগে করুন­ বই পড়ুন, টিভি দেখুন বা হালকা গান শুনুন। কিছুক্ষণ পর ঘুম আসার মতো যথেষ্ট ক্লান্ত বোধ করলে বিছানায় যান।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্খ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা।
সংগৃহীত ।

বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

জেনে নিন- উচ্চ রক্তচাপ ও নিম্ন রক্তচাপ হলে কি করবেন?

জেনে নিন- উচ্চ রক্তচাপ ও নিম্ন রক্তচাপ হলে কি করবেন?


Image result for নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার

হাই ব্লাড প্রেসার : কেন হয়, হলে কী করবেন।
ব্লাড প্রেসার (Blood pressure) নামে অতিপরিচিত রোগটির নাম ডাক্তারি ভাষায় হাইপারটেনশন বলা হয় । রক্ত চাপ যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তখন উচ্চ রক্তচাপ হয়। এই চাপ এর একটি স্বাভাবিক মাত্রা আছে আর যখন তা স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখনি তাকে বলা হয় হাইপারটেনশন (Hypertension) বা উচ্চ রক্তচাপ। আর বেশী করে বলতে গেলে, মস্তিস্ক মেরুজল হৃৎপিণ্ডের তৃতীয় অংশ থেকে ওপরে উঠে স্নায়ুতন্ত্রে প্রবেশ করে। যখন মস্তিষ্ক মেরুজলে লবণের পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন বহির্গত নালির বাল্বের ভেতরে অবস্থিত চুলের মতো সূক্ষ কোষগুলো শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে মস্তিষ্ক মেরুজলের প্রবাহ ব্যাহত হয়। হৃৎপিণ্ডের তৃতীয় অংশে এই মস্তিষ্ক মেরুজলকে ওপরে ঠেলার জন্য যে চাপের সৃষ্টি হয় তাই উচ্চ রক্তচাপ। অনেক সময় দুশ্চিন্তাজনিত কারণ থেকেও এটি হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজ, হার্টফেল, স্ট্রোক, কিডনি অকেজো ইত্যাদি মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। 

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তের চাপ বা ব্লাড প্রেসার হবে ১২০/৭৫ মিলি মিটার । ইহা দু ভাগে ভিবক্ত ১- সিস্টেলিক ( মেশিনের উপরের উপরের লেভেল ) ৯০ + ৩০ =১২০ ( +/- ১০/১৫ কম বেশী হলে তেমন অসুবিধা নাই ২- মেশিনের নিচের লেভেল ( বা বয়সের কারণে এর কিছু বেতিক্রম হয় যা ( বয়স + ৯০ ) ঠিক তদ্রুপ ২- ডায়াস্টিলিকের বেলায় ৯০- ৩০=৬০ ( +-১০/১৫ ) এর উপরে হলেই মনে করতে হবে হাই ব্লাডপ্রেশার – অর্থাৎ ১২০/৭৫ নরমাল প্রেসার মনে করে , যে কোন মানুষের একবার প্রেশার মাপার পর পুনরায় ১/২ মিনিট অপেক্কা করে আবার প্রেসার চেক করে দেখবেন সামান্য কিছু পরিবর্তন আছে তাই তিন বার এক সাথে মাপা উচিৎ – ঠিক সেভাবে দিনে দুবার করে ৩/৫ দিন এক সপ্তাহ চেক করার পর ও যদি দেখেন আপনার বয়সের সাথে যোগ করে রক্তের চাপ একটু বেশী আছে তখন আপনার উচিৎ আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নেওয়া

উচ্চ রক্তচাপ এর লক্ষণ
* মাথাব্যথা, 
বিশেষ করে পেছনের দিকে ব্যথা। অনেক সময় সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ব্যথা অনুভূত হয়। দু-চার ঘণ্টা পর কমে যায় 
* মাথা ঘোরা 
* বুক ধড়ফড় করা 
* মনোযোগের অভাব 
* অল্পতে হাঁপিয়ে যাওয়া 
* মাংসপেশির দুর্বলতা 
* পা ফোলা 
* বুকে ব্যথা 
* নাক দিয়ে রক্ত পড়া 
* ক্লান্তিবোধ 
* ঘাড় ব্যথা। 

উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার কিছু কারণ  
* ধূমপান 
* ওজন বেশি 
* অলস জীবন-যাপন 
* খাবারের সঙ্গে বেশি লবণ গ্রহণ 
* নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন 
* বংশগত কারণে 
* ক্রনিক কিডনি রোগ 
* অ্যাড্রেনাল ও থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা। 

উচ্চ রক্তচাপ হলে যা খেলে উপকার হবে
* এক মাস সকাল ও সন্ধ্যায় দুই চামচ করে থানকুনি পাতার রস সেবন করুন। অথবা রসুন ১ কোয়া করে দুবেলা ভাতের সঙ্গে ১৫ দিন খান। 
* ৪টি তুলসীপাতা ও ২টি নিমপাতা ১ চা চামচ পানিতে চটকিয়ে খেয়ে নিন। 
* ১০০ গ্রাম পানিতে মাঝারি আকারের অর্ধেকটা লেবু চিপে দিনে ২-৩ বার পান করতে হবে। 

উচ্চ রক্তচাপ হলে যা না খেলে নিজের উপকার হবেঃ 
হাই ব্লাড প্রেসারে বেশি লবণ খেতে পারবেন না। কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার যেমন ক্রিম, মাংস, ডিমের কুসুম, মাখন, ফ্রেঞ্জ ফ্রাইজ সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলতে হবে। প্রচুর পরিমাণ ফল ও সবজি খেতে হবে। সল্টেড বাটার, চিপস জাতীয় খাবার না খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ব্লাড প্রেসার। ড্রিপ ফ্রায়েড খাবার, জাংক ফুড সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলতে হবে।

উচ্চ রক্তচাপ হলে যা করতে পারেন  
* ওজন কামানো 
* লবণ ও সোডিয়ামযুক্ত খাদ্য কম গ্রহণ 
* হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা ও শারীরিক পরিশ্রম করা 
* রেড মিট বর্জন করা।
টিপস
উচ্চ রক্তচাপ হলে চোখ বন্ধ করে দুই হাতের কনিষ্ঠ আঙুল কানের মধ্যে দিয়ে ২-৩ মিনিট কান ঝাঁকুনি দিন।


নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসারঃ প্রেসার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। 
আমরা উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন নিয়ে সব সময় বেশী উদ্বিগ্ন থাকি। ছুটে যাই চিকিত্সকের কাছে। কিন্তু নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার বা হাইপোটেনশন নিয়ে খুব একটা ভাবি না। যাদের লো ব্লাড প্রেসার তাদের একদিকে যেমন সুবিধা আছে অন্যদিকে অসুবিধাও কম নয়। উপকারিতার মধ্যে রয়েছে লো ব্লাড প্রেসারের রোগীদের স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা, হূদরোগ সমস্যা হবার ঝুঁকি কম থাকে। তবে ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী কমে গেলে মাথা ব্যথা, দুর্বলতা, এমনকি অজ্ঞান পর্যন্ত হবার ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে শকে যায় রোগী, বিপদ হবার ঝুঁকি পর্যন্ত থাকে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০। অন্যদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ বা এর আশেপাশে থাকে তাহলে তা লো ব্লাড প্রেসার হিসেবে ধরা হয়। প্রেসার যদি অতিরিক্ত নেমে যায় তাহলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃদপিন্ডে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না, ফলে ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই প্রেসার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। 
শুধু স্বাস্থ্যহীন হলেই যে লো প্রেসার হবে তাই নয়, মোটা মানুষেরও লো প্রেসার থাকতে পারে। 
লো প্রেসার হওয়ার বিভিন্ন কারণ যেমনঃ অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় ও স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো ব্লাড প্রেসার হতে পারে। 
লক্ষণঃ লো প্রেসার হলে কিছু লক্ষণ যেমনঃ প্রেসার লো হলে মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড় করা, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা ও স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা দেখা দেয়।

কফি :- স্ট্রং কফি, হট চকলেট, কোলাসহ যেকোনো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ায়। হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেতে পারেন। যারা অনেকদিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন তারা সকালে ভারি নাশতার পর এক কাপ স্ট্রং কফি খেতে পারেন। তবে সবসময় লো প্রেসার হলে কোলা না খাওয়াই ভালো। কারণ এর অন্যান্য ক্ষতিকারক দিকও রয়েছে।

লবণ পানি :- লবণে রয়েছে সোডিয়াম যা রক্তচাপ বাড়ায়। তবে পানিতে বেশি লবণ না দেওয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয়, এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ চিনি ও এক-দুই চা চামচ লবণ মিশিয়ে খেলে। তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চিনি বর্জন করতে হবে।

কিসমিস :- হাইপোটেনশনের ওষুধ হিসেবে অতি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে কিছমিস। এক-দুই কাপ কিছমিছ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালিপেটে সেগুলো খান। সঙ্গে কিছমিছ ভেজানো পানিও খেয়ে নিন। এছাড়াও পাঁচটি কাঠবাদাম ও ১৫ থেকে ২০টি চীনাবাদাম খেতে পারেন।

পুদিনা :- ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান যা দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূর করে। পুদিনা পাতা বেঁটে তাতে মধু মিশিয়ে পান করুন।

যষ্টিমধু :- যষ্টিমধু আদিকাল থেকেই নানা রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দিয়ে পান করুন। এছাড়াও দুধে মধু দিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

বিটের রস :- বিটের রস হাই প্রসার ও লো প্রেসার উভয়ের জন্যই সমান উপকারী। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। হাইপোটেনশনের রোগীরা দিনে দুই কাপ বিটের রস খেতে পারেন। এভাবে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন। 


বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

এইস এস সি পরিক্ষার রেজাল্ট

এইস এস সি  পরিক্ষার রেজাল্ট 
বাংলাদেশ উন্মক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রেজাল্ট পেতে নীচের লিংক এ ক্লিক করুন ।
http://exam.bou.edu.bd/  রুটিন ।

জমি মাপার নিয়ম

গুগল থেকে খুজা খুজি করে জমি মাপার নিয়ম- ভূমির পরিমাণ পদ্ধতি বাহীর করলাম। আমার মত হয়ত অনেকেই জমি মাপার নিয়ম কিছু জানেনা। তাদের জন্য কাজে লাগবে আশা করি। যাহারা জমি মাপার নিয়ম জানেন পোস্টে ভুল থাকলে কমেন্ট করে জানালে উপকৃত হবো। এইবার মূল বিষয়ে পিরে যাওয়া হোক।    

ভূমির পরিমাণ পদ্ধতি
ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় দলিলাদি লিখন, সরকারি হিসাব ও অফিসের কাজ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে ভূমির পরিমাপ হলো:
ক) ডেসিমেল বা শতাংশ বা শতক।
খ) কাঠা,
গ) বিঘা এবং
ঘ) একর
এই পরিমাপ সর্ব এলাকায় সর্বজন গৃহীত। এটা "সরকারি মান"( Standerd Measurement) বলে পরিচিত।

উক্ত পরিমাপের কতিপয় নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
ইঞ্চি, ফুট ও গজঃ
১২'' ইঞ্চি = ১ ফুট
৩ ফুট= ১ গজ

ভূমি যে কোন সাইজের হোক কেন ভূমির দের্ঘ্য ও প্রস্থে যদি ৪৮৪০ বর্গগজ হয় তাহলে এটা ১.০০ একর (এক একর) হবে। যেমনঃ ভূমির দৈর্ঘ্য ২২০ গজ এবং প্রস্থ ২২ গজ সুতরাং ২২০ গজ×২২ গজ= ৪৮৪০ বর্গগজ।


বর্গগজ/বর্গফুট অনুযায়ী শতাংশ ও একরের পরিমাণঃ
৪৮৪০ বর্গগজ = ১ একর ধরে
৪৮৪০ বর্গগজ = ১ একর
৪৩৫৬০ বর্গফুট= ১ একর
১৬১৩ বর্গগজ= ১ বিঘা
১৪৫২০বর্গগজ= ১ বিঘা
৪৮.৪০ বর্গফুট= ০১ শতাংশ
৪৩৫.৬০ বর্গফুট= ০১ শতাংশ
৮০.১৬ বর্গগজ= ১ কাঠা
৭২১.৪৬ বর্গগজ= ১ কাঠা
৫.০১ বর্গগজ = ১ ছটাক
৪৫.০৯ বর্গফুট= ১ কাঠা
২০ বর্গহাত = ১ ছটাকা
১৮ ইঞ্চি ফুট= ১ হাত (প্রামাণ সাই)

কাঠা, বিঘা ও একরের মাপঃ
১৬ ছটাক = ১/ কাটা
০.০১৬৫ অযুতাংশ = ১/কাঠা
০.৩৩ শতাংশ বা ০.৩৩০০ অযুতাংশ = ১ বিঘা
২০ (বিশ) কাঠা = ১ বিঘা
৩ বিঘা = ১.০০ একর।

নবজাতকের নাম এর তালিকা ( ছেলে মেয়েদের সুন্দর নাম )

 নবজাতকের নাম এর তালিকা ( ছেলে মেয়েদের সুন্দর নাম )



"""আল্লাহ্‌ সর্ব শক্তিমান"" 

আপনি কি নবজাতক ছেলে মেয়েদের নাম খুজ করতেছেন? ছেলে মেয়েদের সুন্দর অর্থসহ ইসলামি নাম রাখা, পিতা মাতা হিসাবে আপনার কর্তব্য। আর এই কর্তব্য পালন করতে গিয়ে ইসলামিক নাম রাখার জন্য ছেলে মেয়েদের নাম খুজ করতছেন?? 

চিন্তার কোন কারণ নাই, আপনার পচন্দের নামটি খুজে নিতে পারেন নিচের লিংক গুলি থেকে। এইখানে পাবেন হাজার হাজার নামের অর্থসহ ছেলে মেয়েদের সুন্দর নাম। 
কিছু ছেলেদের সুন্দর নাম ও অর্থসহ নিচে দেওয়া হল। 
আব্দুল আযীয (عبد العزيز- পরাক্রমশালীর বান্দা)
 আব্দুল মালিক (عبد المالك)
আব্দুল কারীম (عبد الكريم-সম্মানিতের বান্দা)
আব্দুর রহীম (عبد الرحيم-করুণাময়ের বান্দা)
আব্দুল আহাদ (عبد الأحد- এক সত্তার বান্দা)
আব্দুস সামাদ (عبد الصمد- পূর্ণাঙ্গ কর্তৃত্বের অধিকারীর বান্দা)
আব্দুল ওয়াহেদ (عبد الواحد-একক সত্তার বান্দা)
আব্দুল কাইয়্যুম (عبد القيوم-অবিনশ্বরের বান্দা)
 আব্দুস সামী (عبد السميع-সর্বশ্রোতার বান্দা)
আব্দুল হাইয়্য (عبد الحي-চিরঞ্জীবের বান্দা)
আব্দুল খালেক (عبد الخالق-সৃষ্টিকর্তার বান্দা)
 আব্দুল বারী (عبد الباري-স্রষ্টার বান্দা)
আব্দুল মাজীদ (عبد المجيد-মহিমান্বিত সত্তার বান্দা) 

উসামা (أسامة-সিংহ)
আফীফ (عفيف-পুতপবিত্র)
হামদান (প্রশংসাকারী)
লাবীব (لبيب-বুদ্ধিমান)
রাযীন (رزين-গাম্ভীর্যশীল)
রাইয়্যান (ريَّان-জান্নাতের দরজা বিশেষ)
মামদুহ (ممدوح-প্রশংসিত)
নাবহান (نبهان- খ্যাতিমান)
নাবীল (نبيل-শ্রেষ্ঠ)
নাদীম (نديم-অন্তরঙ্গ বন্ধু)
আব্দুল ইলাহ (عبد الإله- উপাস্যের বান্দা)
ইমাদ (عماد- সুদৃঢ়স্তম্ভ)
মাকহুল (مكحول-সুরমাচোখ)
মাইমূন (ميمون- সৌভাগ্যবান)
তামীম (تميم),
হুসাম (حُسَام-ধারালো তরবারি)
হাম্মাদ (حماد-অধিক প্রশংসাকারী)
হামদান (حمدان-প্রশংসাকারী)
সাফওয়ান (صفوان-স্বচ্ছ শিলা)
গানেম (غانم-গাজী, বিজয়ী)
খাত্তাব (خطاب-সুবক্তা)
সাবেত (ثابت-অবিচল)
জারীর (جرير)
খালাফ (خلف)
জুনাদা (جنادة)
ইয়াদ (إياد)
ইয়াস (إياس)
যুবাইর (زبير)
শাকের (شاكر-কৃতজ্ঞ)
আব্দুল মাওলা (عبد المولى- মাওলার বান্দা)
আব্দুল মুজিব (عبد المجيب- উত্তরদাতার বান্দা)
আব্দুল মুমিন (عبد المؤمن- নিরাপত্তাদাতার বান্দা)
কুদামা (قدامة)
সুহাইব (صهيب) ইত্যাদি।
আব্দুল্লাহ (عبد الله)
মুনযির (منذر)
উরওয়া (عروة)
হামযা (حمزة)
জাফর (جعفر)
মুসআব (مصعب)
উবাইদা (عبيدة)
খালেদ (خالد)
উমর (عمر)

আল্লাহর নাম নয় এমন কোন নামের সাথে গোলাম বা আব্দ (বান্দা) শব্দটিকে সম্বন্ধ করে নাম রাখা হারাম। যেমন,
  • আব্দুল মোত্তালিব (মোত্তালিবের দাস), 
  • আব্দুল কালাম (কথার দাস), 
  • আব্দুল কাবা (কাবাগৃহের দাস), 
  • আব্দুন নবী (নবীর দাস), 
  • গোলাম রসূল (রসূলের দাস), 
  • গোলাম নবী (নবীর দাস), 
  • আব্দুস শামছ (সূর্যের দাস), 
  • আব্দুল কামার (চন্দ্রের দাস), 
  • আব্দুল আলী (আলীর দাস), 
  • আব্দুল হুসাইন (হোসাইনের দাস), 
  • আব্দুল আমীর (গর্ভনরের দাস), 
  • গোলাম মুহাম্মদ (মুহাম্মদের দাস), 
  • গোলাম কাদের (কাদেরের দাস) ইত্যাদি। 
ওপরে নাম গুলি এইখান থেকে সংগৃহীত। খুব সুন্দর ভাবে এইখানে ছেলে এবং মেয়ে শিশু বা বাচ্চাদের সুন্দর ইসলামী নাম এবং এর গুরত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ভালো লাগলে ভিজিট করে আসতে পারেন।