সবাইকে স্বাগতম

এই ব্লগ সাইট ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না এ পেইজ গুরে আসার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলে আবার আসবেন। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। )

শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬

দুশ্চিন্তা ও ঋণভার থেকে মুক্তির দোয়া:-

দুশ্চিন্তা ও ঋণভার থেকে মুক্তির দোয়া:-

আবু সাঈদ খুদরী (রা) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
মসজিদে প্রবেশ করে আবু উমামা (রা)
নামক জনৈক আনসার
সাহাবীকে দেখতে পান।
মহানবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
তাঁকে (আনসারীকে)
জিজ্ঞাসা করেনঃ হে আবু উমামা!
আমি তোমাকে নামাযের সময়
ব্যতীত মসজিদে উপবিষ্ট কেন
দেখছি? তিনি বলেন, সীমাহীন
দুশ্চিন্তা ও ঋণভারে জর্জরিত হওয়ার
কারণে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (আমি এই
অসময়ে মসজিদে উপনীত
হয়ে তা থেকে আল্লাহর নিকট
মুক্তি কামনা করছি।
মহানবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেনঃ আমি কি তোমাকে এমন

রবিবার, ৫ জুন, ২০১৬

রমজান মাস সম্পর্কিত কিছু হাদিসঃ জেনে নিন


হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
আল্লাহ তাআলার কসম! মুসলমানদের জন্য রমযানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমযান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনগণ এ মাসে (গোটা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনীমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ।-মুসনাদে আহমদহাদীস ৮৩৬৮মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহাদীস-৮৯৬৮সহীহ ইবনে খুযাইমাহাদীস-১৮৮৪তাবারানী হাদীস-৯০০৪বাইহাকী শুয়াবুল ঈমানহাদীস-৩৩৩৫

হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
إذا جاء رمضان فتحت أبواب الجنة، وغلقت أبواب النار، وصفدت الشياطين.
যখন রমযান মাসের আগমন ঘটেতখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।-সহীহ বুখারীহাদীস-১৮৯৮সহীহ মুসলিমহাদীস-১০৭৯ (১)মুসনাদে আহমদ হাদীস-৮৬৮৪সুনানে দারেমীহাদীস-১৭৭৫


হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘রোযা এবং কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোযা বলবেআমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও প্রবৃত্তির চাহিদা মেটানো থেকে বিরত রেখেছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। কুরআন বলবেআমি তাকে রাতে ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। সুতরাং আমার সুপারিশ কবুল করুন। তখন দুজনের সুপারিশই গ্রহণ করা হবে।-মুসনাদে আহমদ হাদীস : ৬৫৮৯তবারানীমাজমাউয যাওয়াইদ ৩/৪১৯


হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন,

শনিবার, ৪ জুন, ২০১৬

দরুন এক গল্প চোর থেকে আল্লাহ্‌র খাটী বান্দা ।


চুরি করা মোহাপাপ

মসজিদে জুতা চুরি করে এক চোর। কিন্তু একদিন সে  ঘোষনা শোনলো যেতাকবীর ওয়ালার সাথে ৪০ দিন ওয়াক্ত নামাজ আল্লাহর খুশির জন্য মনোযোগ দিয়ে পড়বে তার কাছে বাদশা তার একমাএ মেয়ে বিয়ে দিবে।   তাই, জুতা চোর, জুতা চুরি বাদ দিয়ে  এখন প্রতিদিন ওয়াক্ত নামাজ সুন্দর করে আদায় শুরু করে। ভাবে চলতে চলতে বাদশা ৩৯ দিন খবর নিয়ে জানতে পারলো জুতা চোর যুবকটিই একটানা ৩৯ দিন এক টানা ওয়াক্ত নামাজ সময়মত আদায় করেছে।  তাই বাদশা আগামিকাল এসে তাকে রাজ দরবারে এসে, বাদশার মেয়েকে বিয়ে করতে বলে। কিন্তু, যুবকের ৪০ দিন, ৪১, ৪২ দিন যায় সে আর আসেনা। বাদশা তালাশ করতে করতে যুবককে খুজে বলতে লাগলো - "তোমাকে জোর করে বিয়ে করতে বলছিনা, কেন আসলেনা তুমি''
 যুবক বলতে লাগলো : ", বাদশা

শুক্রবার, ৩ জুন, ২০১৬

বিয়ে নিয়ে বিশেষ কিছু কথা



বিয়ে প্রতিটি মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু ছেলেদের থেকে মেয়েদের জীবনে বিয়ে একটু বিশেষ গুরুত্ব রাখে। তাই বিয়ের আগে মেয়েদের মনে কোনো প্রশ্ন জাগলে সেটার উত্তর জেনে নেয়া জরুরি। না হলে বিয়ের পরে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। শুধু মেয়েরাই বা কেন, ছেলেদেরও এই বিষয়গুলো জেনে নেয়া ভালো। এতে সংসারে সমস্যা কম হয়। বিশেষ করে সম্বন্ধ করে বিয়ের সময় ধরনের সমস্যা বেশি সৃষ্টি হয়। জেনে নেওয়া যাক কোন বিষয়গুলো বিয়ের আগেই জেনে নিতে হবে-
প্রথমেই জেনে নিন বিয়েটা পাত্র/পাত্রীর নিজের ইচ্ছায় হচ্ছে, নাকি পরিবারের চাপে। পরিবারের চাপে হলে বিয়ের পরে সংসারে পাত্র/পাত্রীর মন নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে বিষয়টা জেনে নেওয়া ভালো আপনি যদি

বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১৬

কে বেশী চালাক বাবা নাকি ছেলে ?

কে বেশী চালাক বাবা নাকি ছেলে ? 

গ্রাম থেকে বাপ নিজের ছেলের সাথে দেখাকরতে শহরে এল। গিয়ে দেখলো, তারছেলের সাথেএকটা খুব সুন্দরী মেয়েও থাকে। রাতে তিন জন যখন এক সাথে ডিনার টেবিলে বসলো, বাবা জিজ্ঞেস করলো--

"তোর সাথে এই মেয়েটি কে রে..?"
ছেলে : বাবা, সে আমার রুম পার্টনার আর আমার সাথেই থাকে। তুমি এটা নিয়ে কি কি ভাবছ, সেটা আমি জানি। কিন্তু আমাদের দুজনের মধ্যে সে রকম কোন সম্পর্ক নেই। আমাদের দুজনেরই আলাদা আলাদা কামড়া আর আমরা দুজনে আলাদা আলাদা বেডে ঘুমাই। আমরা দু'জন শুধু খুব ভাল বন্ধু। 
বাপ : ঠিক আছে বেটা। পরের দিন বাপ নিজের গ্রামে চলে গেল। 

এক সপ্তাহ পর মেয়েটি ছেলেটিকে বলছে-- "শুনো, গত রবিবার তোমার বাবা যে প্লেটে ডিনার করেছিলেন, ওই প্লেটটা খুঁজে পাচ্ছিনা। আমার সন্দেহ তোমার বাবাই এটা চুরি করে নিয়ে গেছেন। ছেলেটি রেগে গিয়ে বলল--"শাট আপ...তুমি এসব কি বলছো..?" 
মেয়েটি বলল--"তুমি একবার তোমার বাবাকে জিজ্ঞেস করে দেখোনা, জিজ্ঞেস করতে কি আপত্তি..?" ছেলেটি বলল--"OK,

এক রাজা এবং তার চাকরের গল্প সব সময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখ


এক রাজার এক চাকর ছিল। চাকরটা সবসময় যেকোন অবস্থাতেই রাজাকে বলত, “রাজা মশাই, কখনো মন খারাপ করবেন না। কেননা আল্লাহ যা করেন তার সব কিছুই নিখুঁত সঠিক। 

একবার তারা শিকারে যেয়ে নিজেরাই এক হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের শিকার হলো। রাজার চাকর সেই প্রাণীকে মারতে পারলেও, ততক্ষণে রাজা তার একটা আঙুল খুইয়ে বসেছেন। রাগে- যন্ত্রণায়-ক্ষোভে রাজা ক্ষিপ্ত হয়ে বলে ওঠে, “আল্লাহ যদি ভালোই হবে তাহলে আজকে শিকারে এসে আমার আঙুল হারাতে হতো না। 
চাকর বলল, “এতকিছুর পরও আমি শুধু আপনাকে এটাই বলব, আল্লাহ সব সময়ই ভালো সঠিক কাজই করেন; কোনো ভুল করেন না। চাকরের এই কথায় আরও বিরক্ত হয়ে


রাজা তাকে জেলে পাঠানোর হুকুম দিলেন। এরপর একদিন রাজা আবার শিকারে বের হলেন। এবার তিনি একদল বন্য মানুষের হাতে বন্দি হলেন। এরা তাদের দেবদেবীর উদ্দেশ্যে মানুষকে বলি দিত। বলি দিতে যেয়ে তারা দেখল যে, রাজার একটা আঙুল নেই। তারা এমন বিকলাঙ্গ কাউকে তাদের দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে রাজি হলো না। তাই তারা রাজাকে ছেড়ে দিল। প্রাসাদে ফিরে এসে তিনি তার সেই পুরোনো চাকরকে মুক্ত করে দেওয়ার হুকুম দিলেন। চাকরকে এনে বললেন,”ভাই, আল্লাহ আসলেই ভালো। আমি আজ প্রায় মরতেই বসেছিলাম। কিন্তু আঙুল না-থাকার কারণে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছি।তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে। আল্লাহ ভালো, এটা তো বুঝলাম। কিন্তু তাহলে তিনি আমাকে দিয়ে তোমাকে জেলে পুরলেন কেন?”চাকর বলল, “রাজামশাই, আমি যদি আজ আপনার সাথে থাকতাম, তাহলে আপনার বদলে আজ আমি কোরবান হয়ে যেতাম। আপনার আঙুল ছিল না, কিন্তু আমার তো ছিল। কাজেই আল্লাহ যা করেন সেটাই সঠিক, তিনি কখনো কোনো ভুল করেন না।