সবাইকে স্বাগতম

এই ব্লগ সাইট ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না এ পেইজ গুরে আসার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলে আবার আসবেন। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। )

বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৬

ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিস নয়

ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিস নয়

ঘন ঘন প্রস্রাব বা বারবার বাথরুমে যাওয়া—এই উপসর্গ দেখা দিলে সবাই শঙ্কিত হন। তার মানে কি ডায়াবেটিস হয়েছে? বয়স্ক ব্যক্তিদের বারবার বাথরুম যাওয়ার প্রবণতা বেশি। গর্ভবতী নারীরাও এ সমস্যায় ভোগেন। জেনে রাখুন, ডায়াবেটিসের একটি অন্যতম লক্ষণ হলেও ঘন ঘন বা অধিক প্রস্রাব অন্যান্য সমস্যায়ও হতে পারে।

একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি দিনে চার থেকে আটবার মূত্রত্যাগ করে থাকেন। পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, দিনে আটবারের বেশি প্রস্রাব করলে তাকে ঘন ঘন প্রস্রাব হিসেবে গণ্য করা হয়।
বিভিন্ন বয়সে প্রস্রাবের স্বাভাবিক পরিমাণ বিভিন্ন। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় কোনো পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির প্রস্রাবের পরিমাণ ২৪ ঘণ্টায় তিন লিটার বা এর অধিক হলে তা অস্বাভাবিক এবং একে পলিইউরিয়া বলা হয়।
ঘন ঘন প্রস্রাব বা অধিক পরিমাণ প্রস্রাব—উপসর্গ দুটো আলাদা। অনেক ক্ষেত্রেই এ দুটো একসঙ্গে দেখা যায়। কেননা প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে গেলে প্রস্রাব ঘন ঘন হয়ে থাকে।
অনেক সময় ঘন ঘন প্রস্রাবের মূল কারণ হলো শুধু অধিক বা অস্বাভাবিক পরিমাণে পানি বা পানীয় গ্রহণ। একে সাইকোজেনিক পলিডিপসিয়া বলা হয়।
কিছু ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কারণেই বেশি প্রস্রাব হতে পারে। যেমন: অতিমাত্রায় পানীয় বা অ্যালকোহল সেবন, ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় গ্রহণ, শীতকালে যখন ঘামের পরিমাণ কমে যায়, গর্ভাবস্থায়, প্রস্রাব বৃদ্ধিকারক ওষুধ সেবন, ১০ হাজার ফুট ওপরে ভ্রমণের সময়, অধিকমাত্রায় ভিটামিন সি ও বি২ গ্রহণ ইত্যাদি।
ঘন ঘন বা অধিক প্রস্রাবের কারণ
ডায়াবেটিস ছাড়া অন্য যেসব কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, তা হলো:
মূত্রনালি বা মূত্রথলির সংক্রমণ।
গর্ভকালীন প্রথম ও শেষ দিকে।
বয়স্ক পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যায়।
স্ট্রোক ও অন্যান্য স্নায়ুরোগ, মূত্রথলির স্নায়ুবিকলতা, মূত্রথলির ক্যানসার ইত্যাদি।
মস্তিষ্কের টিউমার, বিকিরণ, সার্জারি, আঘাত, কিডনি রোগ ইত্যাদি কারণে মূত্র নিয়ন্ত্রক এডিএউচ হরমোনের অভাব বা অকার্যকারিতা দেখা দেয়।
থাইরয়েড হরমোন বা করটিসল হরমোনের আধিক্য।
রক্তে ক্যালসিয়াম বা পটাশিয়ামের তারতম্য।
ঘন ঘন প্রস্রাব বা অধিক পরিমাণ প্রস্রাব কোনো রোগ নয় বরং রোগের উপসর্গমাত্র। এর কারণে শরীরে পানিশূন্যতা, পানির ভারসাম্যহীনতা, লবণের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই এ সমস্যায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই ডায়াবেটিস বা অন্যান্য সমস্যা আছে কি না, তা পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি। 

মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল।

মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০১৬

দাঁত যত্নিন নিয়ে কথা

দাঁত নিয়ে কথা

দাঁত আমাদের অমূল্য সম্পদ। তাই দাঁত সুস্হ-সবল রাখতে আমাদের নিয়মিত খাদ্য ও দাঁত পরিচর্যার নিয়ম মেনে চলা উচিত। সুস্থ সবল দেহের জন্য দাঁত ও মাড়ি তথা মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা একান্ত প্রয়োজন। দাঁত ও মুখের ভেতরের স্বাস্থ্যকে অবহেলা করে নিরোগ জীবন আশা করা যায় না।
মুখ ও দাঁতের যত্নে করণীয়:—
০ প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ঘুমাবার আগে টুথপেস্ট ও ব্রাশ দিয়ে ওপরের দাঁত ওপর থেকে নিচে এবং নিচের দাঁত নিচ থেকে ওপরের দিকে এবং দাঁতের ভেতর দিকেও মাজবেন।
০ ফ্লুরাইড দেয় যে কোনো টুথপেস্ট দাঁতের জন্য উপকারী। দু-তিন মাস অন-র টুথপেস্ট ও ব্রান্ড বদলাবেন, কারণ বিভিন্ন পেস্টে বিভিন্ন ধরনের উপাদান থাকে।
০ যেসব জায়গা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব নয় সেসব জায়গায় ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করবেন।
০ কয়লা, গুল, টুথ পাউডার, ছাই, মাটি, ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না।
০ অত্যধিক পান-সুপারি খাবেন না- এতে দাঁত ক্ষয় হয়ে যায়।
০ বিড়ি-সিগারেট খাবেন না- এতে মুখ ও দাঁতের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
০ বিশেষ বিশেষ খাদ্য যেমন-পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, টফি লজেন্স, আইসক্রিম ইত্যাদি খাওয়ার পর উত্তমরূপে দাঁত পরিষ্কার করবেন।
০ ঘুমানোর আগে এবং খাবারের মাঝে কখনো বিস্কুট, কেক, টফি লজেন্স খাবেন না, আর খেলেও ভালো করে দাঁত পরিষ্কার করে ফেলবেন।
০ হাঁ করে ঘুমানোর অভ্যাস হলে তা পরিহার করবেন, কারণ হাঁ করে ঘুমানোর ফলে মুখে ও দাঁতের রোগ বেড়ে যায়।
০ আঁশালো ও শক্ত খাদ্য যেমন-গাজর, পেঁয়ারা, আমড়া, আখ, আনারস, নাশপাতি, আপেল, নারকেল ইত্যাদি দাঁত ও মাঢ়ি সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। উপরন্ত- চোয়ালের স্বাভাবিক গঠনে সহায়তা করে।
০ লেবু, আমলকী, কমলা, টমেটো ও বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অন্যান্য ভিটামিন থাকে। ভিটামিন সি দাঁতের ও মাড়ির জন্য উপকারী।
মা ও শিশুদের জন্য :—
০ মায়ের দুধ শিশুদের শরীর ও দাঁতের আদর্শ খাদ্য। যেসব মা শিশুদেরকে ফিডার দিয়ে দুধপান করান, তারা একই নিপল দীর্ঘদিন ব্যবহার করবেন না। ঘুমের মধ্যে শিশুদেরকে কোনোক্রমেই ফিডার দেবেন না; দিলে দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি হবে। দেড় থেকে দুই বছরের শিশুদেরকে ফিডার ছাড়িয়ে পেয়ালায় দুধপান করার অভ্যাস করান।
০ সময়মতো আপনার ছেলে-মেয়েদের দুধের দাঁত ফেলে দেবেন। নচেত স্থায়ী দাঁত বাঁকা-ত্যাড়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
০ শিশু-কিশোর-কিশোরী যদি কোনো কারণে আঙুল চোষার অভ্যস্থ হয় সে ক্ষেত্রে ওই অভ্যাস রোধ করতে হবে। অপরাগতায় ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নিন। নতুবা দাঁত আঁকা-বাঁকা, উঁচু নিচু ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। এ ছাড়া মুখের ও চোয়ালের স্বাভাবিক গঠন ব্যাহত ও বেমানান হতে পারে এবং মুখশ্রীর গঠন ব্যাহত হতে পারে।
০ গর্ভকালীন মায়েরা টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। কারণ এটি শিশুর দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি করে। শিশু জন্মানোর পরেও শিশুকে ওই জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক ১২ বছর পর্যন্ত দেবেন না। কারণ এতে স্থায়ী দাঁতের ক্ষতি হবে।
প্রতিরোধ:— দাঁত নষ্ট হয় শুধু আমাদের বদ অভ্যাস এবং অনিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করার কারণে। তবে এ কথা সত্য যে, সবারই রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা সমান থাকে না। যারা নিয়মিত দাঁতের যত্ন করেন ও দাঁত নিয়মিত পরীক্ষা করান তারাই ভাগ্যবান। বছরে অন্তত: দু’বার একজন অভিজ্ঞ ডেন্টাল সার্জনের কাছে মুখ ও দাঁত পরীক্ষা করানো ভালো। কারণ দন্তক্ষয় বা ডেন্টাল ক্যারিজ প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় করা গেলে চিকিৎসা (ফিলিং) করিয়ে দীর্ঘদিন দাঁতটি বাঁচানো সম্ভব। তেমনি মাঢ়ির রোগ (দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়া) ও প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে স্কেলিং করালে দাঁত নড়ে না বা ফেলে দিতে হয় না। যাদের দাঁত ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে তাদের মনে রাখা উচিত দেহের কোনো অংশের যত্ন নেয়ার দরকার বা প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় না। অস্বাভাবিক দাঁতকে যে ভাবেই হোক চিকিৎসা করিয়ে টিকিয়ে রাখাই শ্রেয়। আজকাল চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে দন-চিকিৎসার প্রয়োগ ও প্রসার অনেক গুণে বেড়ে গেছে। তাই একটি মূল্যবান দাঁতকে ফেলে দেয়ার আগে একটু ভেবে দেখা দরকার নয় কি?

গরমে ছেলেদের ত্বকের যত্ন

গরমে ছেলেদের ত্বকের যত্ন

গরমে ত্বকের তৈলাক্ততা বেড়ে যায়। তৈলাক্ততা কমাতে ডিপ ক্লিনজিং করতে পারেন।
যেভাবে করবেন
* প্রতিদিন দুইবার মুখ পরিস্কার করুন।
* সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেসওয়াশ বা ভালো মানের সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
* বেসন বা মসুর ডাল বাটাও হতে পারে মুখ ধোয়ার উপকরণ।
* আবার বেবিসোপ, ডাভ, নিভিয়া, নিউট্রোজেনো সোপ দিয়েও মুখ ধুতে পারেন।
পারফেক্ট শেভিং
* যাদের মুখে ব্রণ রয়েছে তাদের শেভ করে ফেলা উচিত।
* শেভ করলে আবার ত্বক শুষ্ক হয়। তাই শেভের আগে গরম পানির ভাপ নিতে হবে। অথবা একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে মুখের ওপর ধরে রাখুন।
* ব্লেড সব সময় একদিকে চালাবেন।
* শেভের পর অবশ্যই আফটার শেভ লোশন লাগাতে হবে। তা যেন নন-অ্যালকোহলিক হয়।
ময়েশ্চারাইজিং
* শেভের ফলে মুখের আর্দ্রতা চলে যায়। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ক্ষেত্রে ওয়াটার বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
* ল্যাভেন্ডার অয়েল, স্যাগি, মিন্ট, টি ট্রি তেল স্কিন টোনার হিসেবে লাগাবেন।
* বাইরে রোদে যাওয়ার আগে নূ্যনতম পিএইচপি ১৫ আছে এমন সানক্রিম লাগিয়ে বেরুবেন।
লক্ষ্য রাখুন
* সম্ভব হলে ঘণ্টায় একবার মুখে পানির ঝাপটা দিন।
* বাসায় শেভ করার চেষ্টা করুন।
* ব্লক হেডস উঠাতে স্ক্র্যাব ব্যবহার করুন।
* ব্রণ হলে খোঁটাখুঁটি করবেন না।
* ভাজাপোড়া বেশি খাবেন না। অ্যালকোহল ও সিগারেটের অভ্যাস থাকলে পরিত্যাগ করা উচিত।
* বাসায় সপ্তাহে দুই দিন মাস্ক বা উপটান লাগাতে পারেন।
* মুখে কোনো প্রসাধন ব্যবহারের ফলে যদি ব্রণ দেখা দেয় তবে তা ব্যবহার করবেন না।

এই গরমে চুল ও ত্বকের যত্ন

এই গরমে চুল ও ত্বকের যত্ন 

হঠাত্ই যেন বেশ গরম পড়েছে, ত্বক ও চুলের চাই বাড়তি যত্ন। মডেল: জয়া, ছবি: নকশাপ্রখর রোদে অতিষ্ঠ জনজীবন। রোদের তাপে পুড়ে যায় ত্বক। বাইরে বেরোলেই যেন ঘেমে নেয়ে একাকার। এমন বিরূপ পরিবেশে ত্বক ও চুলের চাই বিশেষ যত্ন। এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন। 
জেনে নিন তাঁর কিছু পরামর্শ—
 বাইরে বেরোলে ছাতা ব্যবহার করুন। ব্যবহার করতে পারেন সানস্ক্রিন ক্রিমও। এমন সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করুন, যার এসপিএফ ৩০-এর বেশি।
 এ সময় ঘাম হয় খুব বেশি, তাই ত্বক রাখতে হবে পরিষ্কার।
 তবে সাবান বা ফেসওয়াশ দিনে একবারের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।
এই সময়ে চুল ও ত্বকের যত্ন প্রসঙ্গে আরও কথা বলেছেন হারমনি স্পার আয়ুর্বেদ রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। তাঁর পরামর্শ হলো—
 এ সময় শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
 তরমুজ, বাঙ্গি, বেলসহ অন্যান্য ফল খেতে হবে।
 এসব ফলের রসও চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী। তাজা ফলমূল কিনে এনে বাড়িতেই সেগুলোর রস তৈরি করে নেওয়া ভালো।
 প্রতিদিন চুল ধুতে পারেন, তবে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার এক দিন পর পর লাগানো উচিত।
 মাসে অবশ্যই অন্তত দুইবার চুলে তেল লাগিয়ে রাখতে হবে। এটি চুলের ডিপ কন্ডিশনিংয়ের কাজ করবে।
 চুলে তেল লাগানোর আগে তেলের সঙ্গে একটু লেবুর রস মিশিয়ে নিলে চুল খুশকিমুক্ত থাকবে।
রাহিমা সুলতানা জানিয়েছেন ত্বক ও চুলের যত্নে কিছু প্যাক তৈরির পদ্ধতি।

চুলের জন্য পাকা কলা, আমলকীর রস, মধু এবং মেথি গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন। এটি একই সঙ্গে চুল নরম করবে এবং রোদে পুড়ে লালচে হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাবে।
 এই গরমে ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা) মাথা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। আর এর পাশাপাশি এটি চুল পড়াও কমাবে। চুলে প্রথমে তেল লাগিয়ে নিন। তারপর এর রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চুল পরিষ্কার করে ফেলুন।
 ঘৃতকুমারীর রস, মেথি গুঁড়া ও ত্রিফলা (আমলকী, হরীতকী ও বহেরা) একসঙ্গে মিশিয়েও প্যাক তৈরি করতে পারেন।
 তেলের সঙ্গে আমলকীর রস মিশিয়েও চুলে লাগাতে পারেন। এটিও চুলের জন্য বেশ উপকারী। আমলকীর রস ও নারকেল তেল একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে সারা রাত লাগিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে।
ত্বকের যত্নে রাহিমা সুলতানা আরও কিছু প্যাক তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন—
ত্বকের জন্য
 তরমুজ, লাল আতা, দুধ ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগাতে পারেন।
 বাঙ্গি, দুধ, মধু ও লাল আতার সঙ্গে টকদই মিশিয়েও প্যাক তৈরি করতে পারেন।
সব ধরনের ত্বকের জন্য
প্যাক তৈরি করার জন্য হাতের কাছে তেমন কিছু না পেলেও শুধু তরমুজের রস তুলার সাহায্যে ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে আপনার ত্বক ঠান্ডা থাকবে ও তা উজ্জ্বল দেখাবে। আর রোদে পোড়া ভাবও কমে আসবে।
সংগৃহীত 

রবিবার, ২০ মার্চ, ২০১৬

সানি-তাসকিনের বিশ্বকাপ শেষ

অবৈধ বোলিং অ্যাকশন

সানি-তাসকিনের বিশ্বকাপ শেষ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | আপডেট: | প্রিন্ট সংস্করণ
তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানিগতকাল দুপুরে প্রথম দুঃসংবাদটি এল আরাফাত সানিকে ঘিরে। বাঁহাতি এই স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করেছে আইসিসি! সন্ধ্যায় এল আরেকটি দুঃসংবাদ—আইসিসি ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশনকেও বলেছে অবৈধ। তার মানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের হল্যান্ড ম্যাচে আম্পায়াররা যে সন্দেহ করেছিলেন, দুজনের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করে সেটাই সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। তাই চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখানেই শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশ দলের এই দুই বোলারের।
বাঁহাতি স্পিনার সানির বিকল্প হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে আরেক বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজীবকে। তবে তাসকিনের বিকল্প অফ স্পিনার ও ব্যাটসম্যান শুভাগত হোম চৌধুরী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুভাগতর অভিষেক হয়েছে আগেই। সাতটি টেস্ট ছাড়াও ওয়ানডে খেলেছেন চারটি ও টি-টোয়েন্টি দুটি। তবে সাকলাইন এখনো আছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায়, যদিও ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি যথেষ্টই অভিজ্ঞ। ৬৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ছাড়াও খেলেছেন ৫৯টি লিস্ট ‘এ’ ও ৩২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটেও সানির বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। তাঁর অ্যাকশনে ত্রুটি থাকাটা তাই অনুমিতই ছিল। কিন্তু ভারতে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট এবং বিসিবিসহ সবাই মোটামুটি নিশ্চিত ছিলেন যে, তাসকিনের অ্যাকশন চেন্নাইয়ের রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগার থেকে শুদ্ধতার ছাড়পত্র নিয়ে ফিরবে। শেষ পর্যন্ত এক যাত্রায় দুই ফল হলো না তাসকিন-সানির। কাল সন্ধ্যায় আইসিসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয়, দুজনের বোলিং অ্যাকশনই অবৈধ। অ্যাকশন শুদ্ধ প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন না তাঁরা। আইসিসির সদস্যদেশগুলোর ঘরোয়া ক্রিকেটেও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। তবে বিসিবি চাইলে পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁদের বোলিংয়ের সুযোগ দিতে পারে।
হল্যান্ড ম্যাচে আম্পায়াররা সন্দেহ প্রকাশ করার পর ১২ মার্চ স্পিন কোচ রুয়ান কালপাগের সঙ্গে সানি ও ১৫ মার্চ বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের সঙ্গে তাসকিন চেন্নাইয়ে গিয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন। কাল সেগুলোরই চূড়ান্ত রিপোর্ট আসে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বেশির ভাগ বলেই সানির কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকা হয়ে যায়। তবে তাসকিনের ক্ষেত্রে সব বলে সমস্যাটা হয় না। কিছু কিছু বলে হয়।
নিয়ম অনুযায়ী তাসকিন-সানিকে এখন বিসিবির অধীনে বোলিং অ্যাকশন শুদ্ধ করার কাজ করে আবারও পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা থাকে না। বোলিং অ্যাকশন শুদ্ধ করে কখন পরীক্ষা দেওয়া যাবে, সে সিদ্ধান্ত নেবেন সানি-তাসকিন এবং তাঁদের পুনর্বাসন পরিচালনা করা কোচরাই।
সানির বিকল্প মোটামুটি ঠিক করাই ছিল। আইসিসির ঘোষণা আসার পরই তাঁর জায়গায় বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজীবকে পাঠানোর কথা জানান নির্বাচক হাবিবুল বাশার, ‘সানির বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়েছে। আমরা সাকলাইন সজীবকে তার বিকল্প হিসেবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ কিন্তু পরে তাসকিনের অ্যাকশনও অবৈধ ঘোষিত হলে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যান নির্বাচকেরা। প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে হাবিবুল এবং আরেক নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন শুভাগতকে তাসকিনের বিকল্প হিসেবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।
একজন পেস বোলারের বিকল্প ব্যাটিং অলরাউন্ডার কেন—জানতে চাইলে মুঠোফোনে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মিনহাজুল, ‘ধর্মশালার কন্ডিশনের কথা চিন্তা করে প্রথমে আমরা দলে পাঁচ পেসার রেখেছিলাম। কিন্তু এখন কন্ডিশন ভিন্ন। এক ম্যাচে তিন পেসার খেলানোর চিন্তা নেই টিম ম্যানেজমেন্টের। তারা একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার চেয়েছে। সে চাহিদা অনুযায়ীই শুভাগতকে পাঠানো হচ্ছে।’ শুভাগত বিশ্বকাপের দলের স্ট্যান্ডবাই তালিকায় থাকলেও সাকলাইন ওই চারজনের মধ্যে ছিলেন না।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সময় সূচী

বাংলাদেশ রেলওয়ের সময় সূচী 
বাংলাদেশের অনেকে রেলওয়ের সময় সূচী না জানার কারনে ভ্রমন করতে যেতে চায় না ।
 আবার সময় সূচী জানতে হলে যেতে হবে রেলওয়ে স্টেশনে , তায় এতো জামেলা না করে এক ক্লিক এ দেখে নিন । বাংলাদেশ রেলওয়ের সময় সূচী দেখতে এখানে ক্লিক করুন ।  
 

শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৬

জেনে নিন কোন ধরণের মাথা ব্যথা মারাত্মক রোগের লক্ষণ


জেনে নিন কোন ধরণের মাথা ব্যথা মারাত্মক রোগের লক্ষণ

কম বেশি সকলেই মাথা ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন। রোদে ঘোরাঘুরি, ঠাণ্ডা-সর্দি, মাইগ্রেন সহ অন্যান্য অনেক কারণেই মাথা ব্যথার সমস্যা হতে পারে। আমরা অনেকেই মাথা ব্যথার সমস্যা একেবারেই অবহেলা করে থাকি। ভেবে থাকি ঘুম এবং ব্যথানাশক ঔষধ খেলেই মাথা ব্যথার সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। হ্যাঁ, মাথা ব্যথার সমস্যা এই দুটি উপায়ে ঠিক করা সম্ভব। কিন্তু যদি তা মারাত্মক কোনো রোগের লক্ষণ হয়ে থাকে তাহলে কি আপনি ভুল করছেন না? হয়তো আপনার অবহেলার কারণে মারাত্মক সমস্যাটি বেড়েই চলেছে। তাই জেনে রাখা ভালো কোন ধরণের মাথা ব্যথা মারাত্মক রোগের লক্ষণ। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।
# হুট করে শুরু হয়ে মাত্র ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে অসম্ভব রকমের মাথা ব্যথার সমস্যা শুরু হওয়া অনেক মারাত্মক একটি সমস্যা। আর এই মাথা ব্যথার কারণ মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণ, স্ট্রোক এবং অ্যানিউরিজম। সুতরাং, সাবধান। সতর্ক থাকলে বেঁচে যেতে পারে জীবন।
# মাথায় কোনো আঘাত পাওয়ার পর থেকে মারাত্মক ব্যথা শুরু হলে তা মোটেই অবহেলা করবেন না। অনেকেই ভাবেন আঘাত পেলে ব্যথা তো করবেই, কিন্তু আপনার অবহেলার কারণে আপনি পড়তে পারেন মারাত্মক সমস্যায়। খুব সামান্য আঘাতের কারণেও অদৃশ্য ব্লিড হতে পারে যা মাথার খুলিতে চাপের সৃষ্টি করে।
# সকালে উঠে মাথা ব্যথার সমস্যায় ভোগা এবং সেই সাথে বমি করার সমস্যা অনেক মারাত্মক একটি রোগের লক্ষণ।